
তামাক কোম্পানীগুলোর ভ্রান্ত প্রচারনার কারণে প্রায় ২ বছর বিলম্বের পর পাশ হয়েছে বহুল প্রত্যাশিত ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০০৫ সংশোধনীর পরবর্তী বিধিমালাটি। বিধিমালায় ছবিসহ সতর্কবানী প্রদানে তামাক কোম্পানীগুলোকে অনেক বেশী (১২ মাস) সময় প্রদান করা হয়েছে। যাহা এই আইন বাস্তবায়নের জন্য গড়িমসি করার পায়তারা মাত্র। মৃত্যুঘাতী তামাক কোম্পানিগুলোর নানা অপতৎপরতার কারনেই এ বিলম্ব। অনুষ্ঠানে সকল তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে আইন অনুসারে সকর্তবানী নিশ্চিতের দাবী জানানো হয়। আলোচনায় যে সকল দাবি উত্থাপন হয়েছে তার মধ্যে-
১। সকল তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে ছবিসহ সতর্কবাণী প্রদান করতে হবে।
২। সকল তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে মূল প্রদর্শনীর তলের ৯০% জুড়ে তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহারের কারণে সৃষ্ট তি সম্পর্কে রঙ্গিন ছবি ও লেখা সম্বলিত স্বাস্থ্য সতর্কবাণী প্রদান করতে হবে।
বক্তারা বলেন বিশ্বব্যাপি প্রমানিত যে তামাকের তিকর বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি, তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার কমিয়ে আনাসহ তামাকজনিত মৃত্যু কমাতে ছবিসহ সতর্কবাণী সর্বাধিক কার্যকর। বিশ্বে তামাক নিয়ন্তণে আমাদের সুনাম ধরে রাখতে এখনই সকল তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে ৯০% ছবিসহ স্বাস্থ্য সকর্তবাণী প্রদানের উদ্যোগ নিতে হবে। যাহা বিদ্যমান আইন অনুসারেই সম্ভব। মানুষের কল্যানে অবশ্যই এ ধরনের উদ্যোগ স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় সহ সংশ্লিষ্ট সকলে গ্রহন করবেন বলে বক্তারা অভিমত পোষন করেন।
নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন এর ভাইস প্রেসিডেন্ট এ্যাডভোকেট সুলতান মাহমুদ বান্না‘র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন এনডিএফ এর চেয়ারম্যান ইবনুল সাঈদ রানা, ডব্লিউবিবি ট্রাস্ট এর ন্যাশনাল এ্যাডভোকেসি অফিসার সৈয়দা অনন্যা রহমান, গ্রীন মাইন্ড সোসাইটির নির্বাহী আমির হাসান, আর্থ ফোরাম এর আমিনা ইয়াসমিন ইতি, ডব্লিউবিবি ট্রাস্ট এর সহকারী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার, এসইএল ভলান্টিয়ার্স এর জাকির হোসেন, তাবাস্সুম, সালমা আক্তার, সানবিন, উচ্ছাস সহ অনেকে। অনুষ্ঠানটি সঞ্চলনা করেন শুভ কর্মকার, এ্যাডভোকেসী অফিসার ডব্লিউবিবি ট্রাস্ট।
No comments:
Post a Comment