Saturday, September 7, 2013

তামাক নিয়ন্ত্রন আইন বাস্তবায়নে দ্রুত বিধিমালা প্রণয়ন প্রয়োজন

তামাক নিয়ন্ত্রন আইন বাস্তবায়নে দ্রুত বিধিমালা প্রণয়ন প্রয়োজন 
‘‘তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়ন, বিধিমালা প্রণয়নে প্রত্যাশা’’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা

দেশে তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম বেগবান করতে সংশোধিত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৩  বাস্তবায়নে দ্রুত বিধিমালা প্রণয়ন জরুরী। আজ সকাল ১১.০০ টায় ধানমন্ডির বিলিয়া সেন্টারে ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট আয়োজিত “তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়ন: বিধিমালা প্রণয়নে প্রত্যাশা” শীর্ষক সেমিনারে আলোচকরা এ দাবী জানান। উক্ত সেমিনারে সম্মানিত আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরা বাহিনীর উপ-মহাপরিচালক (অপারেশন) এ. কে. এম মিজানুর রহমান, বিশেষ অতিথি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (গোয়েন্দা দণি) কৃষ্ণপদ রায়, বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) এম. আব্দুর সালাম, বাংলাদেশ ডাক বিভাগের ডিরেক্টর ট্রেনিং এন্ড রিসার্চ অফিসার প্রশান্ত কুমার মন্ডল, র‌্যাপিড একশান ব্যাটেলিয়ান (র‌্যাব) এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আল আমীন। সভাপতিত্ব করেন ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট্রের পরিচালক (প্রোগ্রাম এ্যান্ড প্ল্যান) এডভোকেট সৈয়দ মাহবুবুল আলম। ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের প্রোজেক্ট কো-অর্ডিনেটর আমিনুল ইসলাম সুজন এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের ন্যাশনাল এডভোকেসি অফিসার সৈয়দা অনন্যা রহমান। 

এম.আব্দুর সালাম বলেন, তামাক শুধু স্বাস্থ্যের তি করেনা তার সাথে সম্পদেরও তি করে। তাই আমাদের দেশের জনস্বাস্থ্য ও সম্পদ রার্থে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে স্থানীয় পর্যায়ের জেলা-উপজেলা টাস্কফোর্স সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনা, আইন মনিটরিং, প্রয়োগ, বাস্তবায়ন, অভিযোগ গ্রহণ ও জনসচেতনতা, গবেষণাসহ অন্যান্য কার্যক্রম বিধি দ্বারা সুনির্দিষ্ট করা জরুরী। 

এডভোকেট সৈয়দ মাহবুবুল আলম বলেন, আইন বাস্তবায়ন কার্যক্রম গতিশীলকরণে এ আইনের বিধিমালায় পাবলিক প্লেস এবং পাবলিক পরিবহনের মালিক, তত্ত্বাবধায়ক বা নিয়ন্ত্রণকারী ব্যক্তির মতা ও কার্যক্রম নির্দিষ্ট থাকা জরুরী। নিয়মিত তদারকি ও মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা প্রয়োজনবোধে এক/একাধিক দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা চিহ্নিত করা প্রয়োজন। 

কৃষ্ণপদ রায় বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনের প্রেেিত ধূমপানমুক্ত স্থানের পরিধি বৃদ্ধি পেয়েছে। আইনের প্রয়োগ নিশ্চিতে সীমিত সংখ্যক কর্মকর্তার দ্বারা আইন বাস্তবায়নে উদ্যোগ গ্রহণ সম্ভব নয়। বাংলাদেশ পুলিশ জনগণের জান মাল রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।  জনস্বাস্থ্য রায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে পুলিশকে ক্ষমতায়ন করে আইনটির প্রয়োগ আরো জোড়ালো করা সম্ভব। 

মোহাম্মদ আল আমীন বলেন, অধিকাংশ মাদকাসক্ত ব্যক্তি তামাক গ্রহণের মাধ্যমে নেশা জগতে পা রাখে। মাদকের ভয়াবহতা রুখতে তামাক নিয়ন্ত্রণ জরুরি। তামাক নিয়ন্ত্রণে শুধু মাত্র আইন হলেই চলবে না। আইন বাস্তবায়ন প্রক্রিয়াকে সহজ করতে দ্রুত আইনের ব্যাখ্যা সম্বলিত বিধিমালা প্রণয়ন জরুরি। দ্রুত বিধিমালা প্রণয়নের পাশাপাশি তামাক নিয়ন্ত্রণ মনিটরিং সেলকে আরো শক্তিশালী করতে হবে। 

এ. কে.এম মিজানুর রহমান বলেন, তামাক ও তামাকজাত দ্রব্যের কারণে প্রতিবছর পৃথিবীতে ৬০ ল মানুষ মারা যায়। এই মৃত্যু হ্রাসে তামাক চাষ বন্ধ ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনটি সঠিকভাবে বাস্তবায়নে এবং সচেতনতা বৃদ্ধিতে তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে হবে। দেশে তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম জোরদার করতে সরকারকে এ আইন বাস্তবায়নে সক্রিয়ভাবে সহযোগিতা করা আমাদের সকলের কর্তব্য।  

প্রশান্ত কুমার মন্ডল,  তামাক নিয়ন্ত্রণে আমাদের সকলকে ভূমিকা নিতে হবে। আইন প্রয়োগ সংস্থার পাশাপশি অভিভাবকদের সচেতন হওয়া প্রয়োজন। তামাক নিয়ন্ত্রণে পরিবার থেকেই প্রথম আইন বাস্তবায়নে এগিয়ে আসতে হবে। 

মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন, প্রত্যাশা মাদক বিরোধী সংগঠনের সেক্রেটারী জেনারেল হেলাল আহমেদ, নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট এর নির্বাহী পরিচালক ইবনুল সাইদ রানা, গ্রীণ মাইন্ড সোসাইটির চেয়ারম্যান মো. আমির হাসান, শিাবিদ অধ্য কামাল আতাউর রহমান, পবা নির্বাহী কমিটির সদস্য একে এম সিরাজুল ইসলাম, সিটিএফকে এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার ইভা নাজনীন, নারী গ্রন্থ প্রবর্তনার মাহমুদা বেগম এবং ইসি বাংলাদেশ এর কর্মকর্তা এমদাদুল হক প্রমুখ। 







Wednesday, August 28, 2013

তামাকের যে ভয়াবহতা


বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গবেষণায় বলা হয়েছে, বিড়ি-সিগারেটসহ তামাকজাত দ্রব্যে নিকোটিন, ডিডিটি, কার্বন মনোক্সাইড, টার বা আলকাত্রা, আর্সেনিক, মিথানল, ন্যাপথালিন, বেনজোপাইরিন, সায়ানাইড, এমোনিয়া, অক্সিডেন্টসহ ৪০০০এর বেশী ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ রয়েছে। যার মধ্যে ৬০টি সরাসরি ক্যান্সার সৃষ্টির সাথে জড়িত। তামাক সেবন ও ধূমপানে বিভিন্ন প্রকারের ক্ষতি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে ধূমপানসহ তামাকজাত দ্রব্যের নেতিবাচক দিক সম্পর্কে খুব সংক্ষেপে আলোকপাত করা হলো। নিম্নে তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কিছু আলোচিত হলো।

তামাকের ভয়াবহতা এবং বাংলাদেশ
২০০৯ সালে গ্লোবাল এডাল্ট টোব্যাকো সার্ভে (গ্যাটস) এর পরিসংখ্যান মতে, বাংলাদেশে ৪৩.৩% মানুষ (পুরুষ ও নারী) তামাক (বিড়ি-সিগারেট, জর্দা, গুল ইত্যাদি) ব্যবহার করে। এতে দেখা যায়, দরিদ্র (৫৫.৬%) ও নিরক্ষরদের (৬২.৯%) মধ্যে তামাক সেবনের হার হার বেশি। এ বিপুলসংখ্যক মানুষের ধূমপান ও তামাক সেবনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশের অর্থনীতি, পরিবেশ, জনস্বাস্থ্য ও উন্নয়নের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।

এছাড়া খাদ্যেও জমিতে তামাক চাষ খাদ্য নিরাপত্তা, পরিবেশ, জনস্বাস্থ্যকে মারাত্মক হুমকির মুখে ফেলছে। বিড়ি কারখানা নারী, শিশুসহ শ্রমিকদেও মারাত্মক রকম কম মজুরি দিয়ে কাজ করিয়ে নিচ্ছে। যে কারণে তাদের দরিদ্রতা দূর হচ্ছে না। বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলে এত তামাক চাষ হয়, অসংখ্য বিড়ি কারখানা রয়েছে তারপর সে এলাকার মানুষ ঠিকমত খেতে পায় না। মঙ্গার প্রভাব সেখানে ব্যাপক। এসব দিক বিবেচনা করে তামাকের ব্যবহার ও তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি।
তামাকের যে ভয়াবহতা বিদ্যমান তা খুব সংক্ষেপে এখানে তুলে ধরা হল। যেমন:


  • ২০০৪ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক গবেষণায় বলা হয়, তামাক সেবন ও ধূমপানের কারণে দেশে ১২ লক্ষ মানুষ ৮টি প্রধান রোগে (ক্যান্সার, যক্ষা, ডায়াবেটিস, হাঁপানি, হৃদরোগ, বার্জাজ ডিজিজ ইত্যাদি) আক্রান্ত হচ্ছে। যার মধ্যে বছরে ৫৭,০০০ হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করছে এবং ৩,৮২,০০০ মানুষ পঙ্গত্ব বরণ করছে। যদিও সে সময়ে তামাক ব্যবহারকারীর হার ও সংখ্যা-দুটোই কম ছিল। তবু সে পরিসংখ্যান অনুযায়ীও বিপুল সংখ্যক মানুষের মধ্যে যদি ২৫ ভাগ মানুষও সরকারী স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে সেবা গ্রহণ করে তবে যে ব্যয় হয় তা তামাক খাত থেকে প্রাপ্ত রাজস্বেও চেয়ে অনেক অনেক বেশি। 

  • ২০০৪ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উপরিল্লিখিত গবেষণার আলোকে ২০০৭ সালে অধ্যাপক আবুল বারাকাত এর নেতৃত্বে এইচডিআরসি’র গবেষণায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশে সরকার সকল প্রকার তামাক থেকে রাজস্ব পায় ৫,০০০ কোটি টাকা। কিন্তু তামাকজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে শুধু ২৫ ভাগ রোগীর চিকিৎসাবাবদ সরকারী ব্যয় ১১,০০০ কোটি টাকা। যেখানে ঘাটতি ৬,০০০ কোটি টাকা। এছাড়া ধূমপান ও তামাকজনিত রোগে আক্রান্তদের ব্যক্তিগত আর্থিক ক্ষতিও অনেক।  

  • তামাক সেবীদের তামাকের জন্য ব্যয় করা অর্থের ৬৯ভাগ যদি খাদ্যের পেছনে ব্যয় করা হয় তবে অপুষ্টির কারণে যেসব শিশু অকালে মারা যায় তার ৫০ভাগ শিশুকে বাঁচানো সম্ভব। 

  • ২০০৯ সালে ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট এর এক গবেষণায় বলা হয়েছে, দরিদ্র বিড়ি সেবনকারীরা প্রতিদিন গড়ে ৮ কোটি টাকা এবং প্রতিবছর প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে। এ বিপুল পরিমাণ অর্থ দিয়ে দেশে ৭২ লাখ অপুষ্ট শিশুর প্রত্যেককে এক গ্লাস দুধ অথবা ৫৩ লাখ অপুষ্ট শিশুর প্রত্যেককে এক গ্লাস দুধ ও একটি ডিম দেয়া সম্ভব, যা অপুষ্টিজনিত মৃত্যু নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখবে।

  • তামাক নিয়ন্ত্রণ করলে অনেক লোক চাকরি হারাবেÑতামাক কোম্পানিগুলোর এ বক্তব্য সঠিক নয়। কারণ কেউ যদি তামাক সেবন বন্ধ করে তবে ঐ অর্থ দিয়ে তিনি অন্য কোন পণ্য ক্রয় করবেন এবং ঐ পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি পাবে। চাহিদা বৃদ্ধি পেলে উৎপাদন বাড়াতে হবে, উৎপাদন বাড়াতে হলে অনেক শ্রমিক দরকার হবে। তাছাড়া বাজারজাত করণেও অনেক কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি পাবে। বিশ্ব ব্যাংক এর এক গবেষণায় বলা হয়, বাংলাদেশ যদি কার্যকরভাবে তামাক নিয়ন্ত্রণ করতে পারে তবে ১৮.৭ভাগ কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি পাবে। 

  • প্রতি কেজি তামাক শুকানোর জন্য ২৫কেজি কাঠ পোড়াতে হয়। এতে ধ্বংস হচ্ছে বনজ সম্পদ ফলে ভারসাম্য হারাচ্ছে পরিবেশ। 

  • তামাক পাতা একটি চুল্লির মধ্যে আগুনের তাপের সাহায্যে শুকানো হয়। এতে বাংলাদেশের বনজ সম্পদ ধবংশ হয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশে প্রতিবছর যত পরিমাণ বৃক্ষ নিধন হয়, তার ৩০ভাগ ব্যবহার শুধু তামাক পাতা শুকানোর কাজে। বিশেষ করে পার্বত্য অঞ্চলে ব্যাপক হারে বৃক্ষনিধন হচ্ছে। এভাবে বৃক্ষনিধন চলতে থাকলে আগামী ১০ বছর পর পার্বত্য অঞ্চলে কোন গাছ থাকবে না বলে পরিবেশবিদরা আশঙ্কা করছেন। 

  • তামাক চাষ আমাদের পরিবেশ এর জন্য ব্যাপক ক্ষতিকর। তামাক চাষ এর ফলে কৃষি জমি দখল হচ্ছে, সেখানে তামাক চাষ হচ্ছে। হুমকির মুখে পড়ছে খাদ্য নিরাপত্তা। খাদ্য নিরাপত্তার স্বার্থে আমাদের তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণ করা দরকার। সারাদেশে যে জমিতে তামাক চাষ হচ্ছে সে জমিতে তামাক চাষের পরিবর্তে খাদ্য চাষ করা হলে তবে দেশে কোন খাদ্য ঘাটতি থাকবে না। 
  • তামাক গাছ মাটি থেকে অধিক পরিমাণ পানি শোষন করে এতে জমির উর্বরতা শক্তি কমে যায়। যেজন্য তামাক উৎপাদিত জমিতে অন্য কোন শস্য উৎপাদিত হয়না। 

ক্স তামাকজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে অনেকে অকালে মৃত্যুবরণ করে। এতে করে ঐ পরিবার আর্থিক ক্ষতিসহ নানা সমস্যায় আক্রান্ত হয়।

স্বাস্থ্যগত ক্ষতি:
ধূমপানজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতি ৬.৪ সেকেন্ডে ১ জন এবং প্রতিবছর ৫৪ লক্ষ মানুষ মারা যাচ্ছে। উন্নয়নশীল দেশসমূহে যেভাবে ধূমপানের প্রবণতা ১.১হারে কমছে, সেখানে আমাদের মত উন্নয়নশীল দেশগুলোতে ধূমপানের প্রবণতা ২.১ হারে বাড়ছে।

  • কার্বন মনোক্সাইড আমাদের দৃষ্টিশক্তি ও শ্রবণশক্তিকে অবদমিত করে এবং আমাদের মেধার পরিধি কমিয়ে দেয়।
  • নিকোটিন আসক্তি সৃষ্টিকারক উপাদান এবং আসক্তি সৃষ্টির দিক থেকে তা হিরোইন, কোকেন, মারিজুয়ানা, এলকোহল এর চাইতেও বেশী শক্তিশালী। এছাড়া নিকোটিন আমাদের দেহের রক্ত সংবহনতন্ত্রের মারত্মক ক্ষতি ডেকে আনতে পারে, ফলে হৃদরোগ, স্ট্রোক, ক্যান্সার, হাঁপানী, বার্জাজ ডিজিজ(পায়ের পচন রোগ)সহ নানাবিধ কঠিন রোগ হয়ে থাকে।   তামাকের মধ্যে থাকা বিষাক্ত অক্সিডেন্ট শরীরের বিভিন্ন জৈব অণুর(প্রোটিন, লিপিড, ডিএনএ) ক্ষতি(অক্সিডেটিভ ড্যামেজ) করছে। 
  • তামাক ব্যবহারের ফলে যেসব রোগ হয় তা হলো-ক্যান্সার (ব্ল¬াডার, মুখ গহ্বর, ল্যারিংস, ফুসফুস, ইউসোফেগাস, প্যানক্রিয়াস, রেনাল পেলভিস, পাকস্থলী এবং সারভিস), পেরিফেরাল ভাসকুলার রোগ, হৃদরোগ, স্ট্রোক, ক্রনিক অবসট্রাকটিভ ফুসফুসের রোগ, শ্বাসযন্ত্রের রোগ, পেপটিক আলসার ইত্যাদি।
  •  বিশ্বব্যাপী মোট ক্যান্সারের প্রায় ৫০ভাগের জন্য দায়ী ধূমপান ও তামাক সেবন এবং ৯৫% ফুসফুস ক্যান্সারের জন্য দায়ী ধূমপান। প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসা না করালে এ ক্যান্সার মানেই নিশ্চিত মৃত্যু। 
  • তামাক সেবনের ফলে মহিলাদের জরায়ুর ক্যান্সার, গর্ভবতীদের ক্ষেত্রে অকাল গর্ভপাত-কম ওজনের কিংবা মৃত শিশুর জন্ম ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে। 
  • এছাড়া পরোক্ষ ধূমপানের ফলে মহিলাদের উক্ত স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দেয়। 
  • শিশুদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম। পরোক্ষ ধূমপানের ফলে শিশুদের কানে পচা রোগ, চর্মরোগ, হাঁপানীর ঝুকি অনেকাংশে বেড়ে যায়। 
  • বিড়ি, সিগারেটের ধোঁয়াও মানুষের জন্য ক্ষতিকর। যা ধীরে ধীরে মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। 




৩১ মে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস ও আমাদের প্রত্যাশা
১৯৮৭ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ৩১ মে, বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস হিসাবে ঘোষণা করে। তারপর থেকে সারা পৃথিবীতে দিবসটি গুরুত্বসহকারে তামাক বিরোধী সচেতনতা সৃষ্টিতে সরকারী-বেসরকারি পর্যায়ে পালন হচ্চে। তামাকের ভয়াবহতা নিয়ন্ত্রণ করতে ২০০৩ সালে চুড়ান্ত হয় ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোল (এফসিটিসি)। এটি হচ্ছে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে প্রথম আন্তর্জাতিক চুক্তি, যে চুক্তিতে বাংলাদেশ প্রথম স্বাক্ষরকারী দেশ। বাংলাদেশ ২০০৪ সালে এটি র‌্যাটিফাই করে। এফসিটিসির কয়েকটি আর্টিকেল অনুসারে দেশে “ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০০৫” প্রণয়ন করা হয়। আইনের কয়েকটি ধারার ব্যাখ্যাসহ ২০০৬ সালে বিধিমালা, ২০০৭ সালে আইন বাস্তবায়ন প্রক্রিয়াকে জোরালো করতে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ের প্রতিষ্ঠানকে সম্পৃক্ত করে জাতীয়-জেলা ও উপজেলা পর্যাযের টাস্কফোর্স কমিটি গঠন করা হয়।

এ বছর বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে এফসিটিসিকে কেন্দ্র করে। যে কারণে এফসিটিসির আলোকে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন উন্নয়ন করাটা আমাদের দায়িত্ব হয়ে পড়েছে। কারণ আমরা এ আন্তর্জাতিক চুক্তিটির প্রথম স্বাক্ষরকারী দেশ। বিগত ৬ বছরে তামাক নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষেত্রে ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি দুর্বলতা চিহ্ণিত হয়েছে।

বিদ্যমান আইনের সাদাপাতা, জর্দা, গুলসহ চর্বনযোগ্য তামাককে অন্তর্ভূক্ত করা হয়নি। যে কারণে চর্বনযোগ্য তামাক সেবনের হার বেড়ে গেছে। এসব তামাকও মানুষের মৃত্যুর জন্য দায়ী। তাই চর্বনযোগ্য তামাককে আইন ও করের আওতায় আনা জরুরি।

গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশে দরিদ্র ও নিরক্ষর মানুষের মধ্যে তামাক সেবনের হার বেশি। তাই এসব নিরক্ষর মানুষকে তামাকের ক্ষতিকর বিষয়ে সচেতন করতে বিড়ি-সিগারেট-জর্দা-গুলসহ সব তামাককে মোড়কের আওতায় আনা এবং এসব মোড়কে ছবিসহ সতর্কবাণীর প্রচলন করতে হবে। এফসিটিসিতেও ছবিসহ সতর্কবাণীর পরামর্শ দেয়া হয়েছে। বর্তমানে পৃথিবীর ৪৩টি দেশে ছবিসহ সতর্কবাণী দেয়া হচ্ছে।

বিভিন্নভাবে আইন ভঙ্গ করলেও তামাক কোম্পানিগুলোকে শাস্তির আওতায় আনা হয়নি। তাছাড়া আইন ভঙ্গের জন্য তামাক কোম্পানির ক্ষেত্রে শাস্তির পরিমাণও খুব কম। তাই কোম্পানগুলোকে কঠোর শাস্তির আওতায় আনা ও জরিমানা লক্ষাধিক করতে হবে। কোন কোম্পানি একই অপরাধ দ্বিতীয়বার করলে শাস্তিও দ্বিগুণ হবে। তৃতীয়বার করলে শাস্তিও পর্যায়ক্রমে বাড়বে এবং চতুর্থবার অপরাধ করলে শাস্তিস্বরূপ কোম্পানির লাইসেন্স বাতিল করা যেতে পারে।
বিদ্যমান আইন বাস্তবায়ন খুব জটিল ও সময়সাপেক্ষ। স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আইন বাস্তবায়নকারী কর্মকর্তা হলেও তার মোবাইল কোর্ট পরিচালনা ও জরিমানা বা শাস্তি প্রদানের কোন ক্ষমতা নাই। আইন বাস্তবায়নকারী কর্মকর্তার পরিধি বৃদ্ধি করতে হবে। পাশাপাশি আইন ভঙ্গের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষ বা যে কাউকে মামলা করার অধিকার প্রদান করতে হবে।

পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহনগুলো শতভাগ ধূমপানমুক্ত করা এবং এগুলো ধূমপানমুক্ত করার জন্য স্ব স্ব পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহনের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে ক্ষমতা প্রদান করতে হবে। পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহনে ধূমপানমুক্ত সাইনবোর্ড স্থাপন বাধ্যতামূলক করাও দরকার।

খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও পরিবেশ রক্ষায় খাদ্যের জমি এবং বর্তমানে তামাক চাষ হয় না এমন কৃষি জমিতে তামাক চাষ নিষিদ্ধ করতে হবে। তামাক পাতা চুল্লীতে আগুনের তাপে শুকানোর জন্য গাছ কাটা নিষিদ্ধ এবং এজন্য শাস্তির ব্যবস্থা করা দরকার। তামাক চাষীদের অন্যান্য ফসল উৎপাদনে উৎসাহিত করতে প্রয়োজনীয় নীতি প্রণয়ন করতে হবে। মোদ্দাকথা, বিদ্যমান আইনের দুর্বলতা চিহ্ণিত করে আইনকে কঠোর করতে হবে।

পাশাপাশি বিড়ি, সিগারেটসহ সকল প্রকার তামাকজাত দ্রব্যের মূল্য ও কর বৃদ্ধি করা এবং সকল প্রকার তামাককে করের আওতায় আনতে হবে। বিড়ি-সিগারেটসহ তামাকজাত দ্রব্যের উপর কর বৃদ্ধির একটি নীতিমালা প্রণয়ন করা, তামাকজাত দ্রব্যের উপর ৩% স্বাস্থ্যকর নির্ধারণ, যা তামাক নিয়ন্ত্রণ ও জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে ব্যয় করা হবে। পরিবেশের উপর তামাক চাষের ক্ষতিকর দিক নিয়ন্ত্রণে কমপক্ষে ৪% পরিবেশ কর আরোপ করা, যা পরিবেশ বিপর্যয় রোধে ব্যয় করা হবে।

পরোক্ষ ধূমপান থেকে নারীদের রক্ষায় কর্মক্ষেত্রে ধূমপান নিষিদ্ধ জরুরী



আমাদের দেশে নারীদের মাঝে এখনো ধূমপানের ব্যবহার কম। তবু ৩০% নারী কর্মস্থলে ও ২১% নারী পাবলিক প্লেসে পরোক্ষ ধূমপানের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। গৃহেও নারীরা পরোক্ষ ধূমপানের শিকার। নিজে ধূমপান না করলেও কর্মস্থলে পরোক্ষ ধূমপানের কারণে নারীরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের পাবলিক প্লেস সংজ্ঞায় কর্মক্ষেত্র, বেসরকারী প্রতিষ্ঠান ও রেষ্টুরেন্টের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে পরোক্ষ ধূমপানের ক্ষতি হতে রক্ষায় পদক্ষেপ গ্রহণ প্রয়োজন।

 তামাকের কারণে বেশীরভাগ ক্ষেত্রে নারীসহ শিশুরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। নারীরা শুধূমাত্র পরোক্ষ ধূমপানের কারণেই নয়, তামাক উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাত করণসহ সকল কাজে নারীসহ শিশুদের সমৃক্ত করার কারণে তারা স্বাস্থ্যক্ষতিসহ বিভিন্ন ক্ষতির সম্মুক্ষীন হচ্ছে। তাই তামাকের ক্ষতিকর দিক থেকে নারীদের রক্ষায় প্রদক্ষেপ গ্রহণ প্রয়োজন। তবে এজন্য সরকার তামাক নিয়ন্ত্রণে যে আইন করেছেন তা বাস্তবায়নের পাশাপাশি সকলকে সচেতন হতে হবে। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের ফলে বেশ ইতিবাচক অনেক প্রভাব পড়েছে। যেমন পাবলিক প্লেস ও পরিবহনে ধূমপান হ্রাস পেয়েছে, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন আর দেখা যায় না। বর্তমানে সরকার তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়ন জোরদার করার লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। মোবাইল কোর্ট পরিচালনা, টাস্কফোর্স সক্রিয়করণসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ এ সকল কার্যক্রমের মধ্যে অন্যতম |

নারীদের তামাক ব্যবহারের সমস্যা অনেক ক্ষেত্রে উঠে আসে না। তামাক পিছনে অর্থ ব্যয় করার করার নারী ও শিশুদের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে। তাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও খাদ্য সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন প্রণয়ন করার পর দেশে প্রত্যক্ষ বিজ্ঞাপন বন্ধ হলেও দেশে এখন নাটক সিনেমাসহ বিভিন্নভাবে পরোক্ষ বিজ্ঞাপন প্রচলিত আছে, এগুলো বন্ধ করতে হবে। এছাড়া আমাদের দেশে নারীরা পরোক্ষ ধূমপানের সম্মুখিত হচ্ছে। তামাকের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে নারীদের রক্ষায় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

এতে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের পাবলিক প্লেস ও পরিবহনের সংজ্ঞায় কর্মক্ষেত্র; বেসরকারী প্রতিষ্ঠান ও রেষ্টুরেন্ট; অযান্ত্রিক যানের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সম্পৃক্ত, জর্দ্দা-গুল-সাদাপাতাসহ সকল তামাকজাত দ্র্রব্যকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা, তামাকজাত দ্রব্যের উপর কর বৃদ্ধি, তামাক বিরোধী সচেতনতা জোরদার করা প্রয়োজন।

Saturday, August 24, 2013

সিগারেটের প্যাকেটের মোড়কে ছবিসহ সতর্কবাণী ধূমপান রোধে সহায়ক হবে


সিগারেট-বিড়ির প্যাকেটের মোড়কে কিছুদিনের মধ্যেই আইনের মাধ্যমে ছবি সংবলিত সতর্কবাণী প্রবর্তন হতে যাচ্ছে। সিগারেটের মোড়কে ছবি থাকলে ধূমপান কমাতে সহায়ক হবে। কারণ যারা লিখতে পড়তে পারেন না, তারা ছবি দেখে ধূমপানের ক্ষতিকর দিকটি উপলব্ধি করতে পারবেন। কারণ কথায় বলে, হাজার শব্দের চেয়ে একটি ছবি অনেক শক্তিশালী। তবে ছবি হতে হবে স্পষ্ট ও স্বচ্ছ। ছবিকে অবশ্যই বক্তব্যধর্মী হতে হবে। বর্তমানে সিগারেট, বিড়ির প্যাকেটের মোড়কে শুধু সতর্কবাণী রয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতে যখন প্রথম পিকটোরিয়াল ওয়ার্নিংয়ের আইন হলো, তখন দেখা গেল, ছবিগুলো খুবই দুর্বল। তাই বাংলাদেশে তামাকের মোড়কে যে ছবি দেয়া হবে তা যেন স্পষ্ট হয়। ছবিগুলোতে খুব বোল্ডলি (শক্তিশালী) ধূমপানের ক্ষতিকারক ভূমিকার বর্ণনা না থাকলে এ উদ্যোগ ব্যর্থ হয়ে যাবে। তাই ছবিগুলোকে শক্তিশালী করতে হবে।

এ সম্পর্কে বেসরকারি সংগঠন ডাব্লিউবিবির মিডিয়া এডভোকেসি অফিসার সৈয়দ সাইফুল আলম বলেন, তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে সচিত্র সর্তকবাণী থাকলে সেবনকারীদের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে সচেতন করা সম্ভব। একটি ছবি হাজার শব্দের চেয়ে শক্তিশালী। গবেষণায় দেখা গেছে, তামাজাত দ্রব্যের মোড়কে স্বাস্থ্য ক্ষতির ছবি সেবনকারীকে তামাক ব্যবহার না করতে উদ্বুদ্ধ করে। তাছাড়া আমাদের দেশের নিরক্ষর মানুষ বেশি ধূমপান করে। তারা পড়তে জানে না। ছবি থাকলে তারা তামাকের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে ভালোভাবে বুঝতে পারবে।

বর্তমানে পৃথিবীতে প্রতি বছর ৬০ লাখ মানুষ তামাকজনিত কারণে মারা যাচ্ছে, যার মধ্যে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হয়ে মারা যায় ৬ লাখ ধূমপায়ী। এখনই তামাকজাত দ্রব্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে ২০৩০ সাল নাগাদ এ মৃত্যুর সংখ্যা ৮০ লাখে দাঁড়াবে।

কানাডা, ব্রাজিল, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, থাইল্যান্ড সিগারেটের প্যাকেটে ১০০% সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কীকরণ বাণীর ব্যবস্থা করেছে। বাংলাদেশে সিগারেটের প্যাকেটে ও বিজ্ঞাপনে ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকরÑ এ সর্তকবাণী প্রদান করা হয়। এ সর্তকবাণী মানুষের কোনো কাজে আসে না। কারণ বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, বেশির ভাগ ধূমপায়ী তামাকের কারণে কোন কোন রোগ হয় তা জানে না। তাই প্যাকেটে কোন কোন রোগ হয় তাও লেখা দরকার। এমনকি তামাকজাত সামগ্রীর গায়ে কি ধরনের রোগের ছবি ও লেখা যাবে তা আইনে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকবে। তামাকজাত সামগ্রীর গায়ের সতর্কবাণী থেকে তামাকজনিত রোগ সম্পর্কে যাতে সুস্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়, সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

সিগারেটের প্যাকেটসহ অন্যান্য তামাকজাত সামগ্রীর প্যাকেট/কৌটার ৫০ ভাগ স্থানজুড়ে ছবিসহ সতর্কীকরণ বাণী প্রদানের ব্যবস্থা প্রচলন করতে হবে। এতে একদিকে ধূমপায়ীদের ধূমপান ত্যাগে উৎসাহিত এবং অধূমপায়ীদের ধূমপানে নিরুৎসাহিত করা সম্ভব হবে।

তামাকজাত সামগ্রীর এসব সতর্কবাণী যাতে সময়ানুযায়ী পরিবর্তন করা যায় সে ব্যবস্থাও করতে হবে। অর্থাৎ বার্ষিক তামাকজাত সামগ্রী উৎপাদনের ওপর ভিত্তি করে সতর্কবাণী পরিবর্তনের ব্যবস্থা করা। তামাকজাত সামগ্রীর গায়ে স্বাস্থ্যবাণী প্রদানের ও পরিবর্তনের ক্ষমতা সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কাছে প্রদান করতে হবে। প্যাকেটের গায়ে ‘লাইট’, ‘মাইল্ড’, ‘লো-টার’, ‘রেগুলার’ জাতীয় বিভ্রান্তিকর শব্দ নিষিদ্ধ করতে হবে।

বহুজাতিক তামাক কোম্পানিগুলো আমাদের দেশে যে ধরনের সিগারেটের প্যাকেট ব্যবহার করতে পারে, তা পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশে ব্যবহার করতে পারে না। একই ব্র্যান্ডের সিগারেটের প্যাকেটে অনেক উন্নত দেশে ছবিসহ সতর্কবাণী প্রদান করতে হয়। উন্নত দেশ অপেক্ষা আমাদের শিক্ষার হার কম থাকা সত্ত্বেও আমাদের দেশে তাদের স্বাস্থ্য সতর্কবাণী খুবই দুর্বলভাবে উপস্থাপন করে।

আমাদের দেশের লোকজনের জন্য দেশের উপযোগী স্বাস্থ্য সতর্কবাণী ব্যবহার করা উচিত। তবে এ দায়িত্ব অবশ্যই তামাক কোম্পানিকে প্রদান করা যাবে না। আইনে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কঠোর মনিটরিংয়ের মাধ্যমে এ বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।

তামাকের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এ ধরনের সতর্কবাণী একটি কার্যকর উপায়। তাই পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সরকার এ ব্যবস্থা প্রবর্তন করেছে কিংবা করতে যাচ্ছে।

http://www.alokitobangladesh.com/development-possibility/2013/08/25/18349/print

Wednesday, July 24, 2013

Every year 57,000 people die and 3, 82,000 people become disabled for tobacco consumption.


Every year 57,000 people die and 3, 82,000 people become disabled for tobacco consumption. Saving 57,000 lives and active & healthy life of 4, 00000 people or Revenue; what is crucial?

Mobile courts: An innovative approach to implementing tobacco control law

Bangladesh passed a tobacco control law in 2005. One important initiative for implementation is mobile courts. Mobile courts operate by bringing the court (magistrate) to the offender, rather than vice versa. They involve legal action with limited power performed instantly and mobile; the law defines which acts it can address. While often used for violations involving food, mobile courts also play a vital role in implementing the tobacco control law.
Enforcement requires effective monitoring. In Bangladesh, NGOs monitor tobacco company activities and submit reports to government on law violation. Legal authority, with the help of a mobile court, can then remove illegal tobacco advertisements and charge companies for law violation, and fine those smoking in prohibited areas.
Mobile courts have played a significant role in removing illegal cigarette advertisements at retail shops. Mobile courts also contribute to creating mass awareness. Smoking has been banned in most public places and public transport but lack of awareness hampers implementation. Running mobile courts increases awareness of the law and encourages people to respect it, contributing to creation of more smoke free places.
Though framing law is the duty of government, it is the duty of all to help in implementation. It is difficult for government alone to ensure proper compliance and enforcement. Mobile courts, supported by monitoring by NGOs to identify violations, serve as a useful device for law implementation in Bangladesh. They also can raise awareness that will increase compliance and thus make law enforcement easier and more successful.

Sunday, June 30, 2013

গোয়ালন্দে বিশ্ব তামাক মুক্ত দিবসে অবস্থান কর্মসূচী ও লিফলেট ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত।।



তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন,প্রচারনা ও পৃষ্ঠপোষকতা নিষিদ্ধ আইন অমান্যে জরিমানা ১ লক্ষ টাকা এ প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে ৩১মে বিশ্ব তামাক মুক্ত দিবস উপলক্ষ্যে  রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ঘাটে বেসরকারী সংস্থা একলাব ও ডাস্ বাংলাদেশ, তামাক বিরোধী জোট  যৌথ উদ্যোগে অবস্থান কর্মসূচী ও লিফলেট ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে দৌলতদিয়া লঞ্চ ঘাটে সকাল ১০টা থেকে ১১টা এবং ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত দৌলতদিয়া বাস টার্মিনালে অবস্থান কর্মসূচী ও লিফলেট ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়। কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন ডাস্ বাংলাদেশের চেয়াম্যান অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম লিন্টু, প্রকল্প পরিচালক হেলাল মাহমুদ, অধ্যাপক আওয়াল আনোয়ার, একলাব প্রতিনিধি, উপজেলা ওয়ার্কাস পাটীর সম্পাদক শুকুমার মন্ডল, শ্রমিক নেতা শাজাহান শেখ সহ স্থানীয় জনতা। কর্মসূচীর সংবাদ সংগ্রহের জন্য দৈনিক ইত্তেফাক, যুগান্তর ,কালের কন্ঠ,প্রথম আলো, ভোরের কাগজ, রাজবাড়ীকন্ঠসহ সহ স্থানীয় পত্রিকার স্থানীয় প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন এবং এ সংক্রান্ত সংবাদ দৈনিক ভোরের কাগজ, দৈনিক রাজবাড়ীকন্ঠ,সাপ্তাহিক অনুসন্ধান সহ স্থানীয পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।


Tuesday, May 28, 2013

Polling centres free from smoking: CEC

Polling centres free from smoking: CEC

Chief Election Commissioner (CEC) Kazi Rakibuddin Ahmed has said that all the polling centers of the country are free from smoking according to the rule of the Election Commission (EC). Smoking is completely prohibited in the areas of polling centers, he added. 
He told this to a delegation of Bangladesh Anti-Tobacco Alliance (BATA) when it met him at his office in the city on Monday. On behalf of BATA, secretary general of Pratyasha Madok Birodhi Songothon Helal Ahmed, Sagufta Sulatana of NATAB, Syeda Ananya Rahman and Syed Mahbubul Alam Tahin of WBB Trust were in the delegation.

Vice chancellor of Bangabandhu Sheikh Mujib Medical University (BSMMU) Dr Pran Gopal Datta, EC secretary Dr Md Sadik and joint secretary Jesmin Tuli were also present at the meeting.
The representatives of the delegation requested CEC to take initiative to prohibit smoking and the use of tobacco-produced goods during the election campaign. Mentioning the negative impacts of tobacco, they also requested to declare all the offices under the EC as 'smoking free'.

The CEC assured them to consider the recommendations. He emphasised the need for creating awareness through media campaign about the negative impacts of tobacco.
Dr Pran Gopal Datta said the tobacco-produced goods are used during the election campaign, which encourage the people to use it. Mentioning that chewing tobacco is one of the reasons behind the deadly disease 'cancer', he said that the use of tobacco during election campaign hampers the anti-tobacco activities.   



http://thenewnationbd.com/newsdetails.aspx?newsid=75236

Sunday, March 31, 2013

খুলনায় বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস পালিত



“তামাকজাত দ্রব্যের সকল প্রকার বিজ্ঞাপন,প্রচারণা ও পৃষ্ঠপোষকতা নিষিদ্ধ” প্রতিপাদ্য বিষয়ের আলোকে খুলনাতে বিভাগীয় পর্যায়ে ৩১ মে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস পালিত হয়। খুলনা জেলা টাস্কফোর্স, এ্যাকশান ইন ডেভেলপমেন্ট-এইড, সিয়াম,টঋঅঞ, আলোর দিশারী,উইশ, সুবাস, তামাক বিরোধী জোট সহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন এর উদ্যোগে সকাল ১০.০০ টায় স্কুল হেলথ ক্লিনিক সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভা শেষে সকাল ১২.৩০ টায় এক বর্নাঢ্য শোভাযাত্রা শুরু হয়ে নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

খুলনা সিটি রেড ক্রিসেন্ট সাধারণ সম্পাদক মল্লিক আবিদ কবীর এর সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সহকারী জেলা শিক্ষা অফিসার দীপক রঞ্জন বিশ্বাস, এইড এর প্রকল্প সমন্বয়কারী মোঃ দোয়া বখ্শ শেখ, টঋঅঞ এর পতিনিধিও আলোর দিশারী’র নির্বাহী পরিচালক মোঃ ফারুক হোসেন, স্বাগত বক্তব্য রাখেন এইড’র সহকারী প্রকল্প সমন্বয়কারী তৌহিদুর রহমান ডিটো।
এছাড়াও বক্তব্যে রাখেন সিয়াম’র সভাপতি আকবর আলী, ধ্রুব’র পরিচালক এম এ এইচ আযম, সুবাস বি এল কলেজের সভাপতি ইয়াছির আরাফাত মিঠু, খূলনা বিশ্ববিদ্যালয় এর সভাপতি নুরুল আলম, রেড ক্রিসেন্ট সিটি ইউনিটের উপ যুব প্রধান সুমা রাণী মন্ডল, বক্তারা  বলেন তামাকের আগ্রাসন থেকে জন স্বাস্থ্য  রক্ষার্থে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে সচেতন করতে হবে। তামাক নিয়ন্ত্রন আইনের সংশোধনের মাধ্যমে তামাকজাত দ্রব্যের সকল প্রকার বিজ্ঞাপন,প্রচারণা ও পৃষ্ঠপোষকতা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অতিথিগণ তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের লক্ষে দ্রুত সংশোধিত আইনের বিধি প্রনয়নের এবং আসন্ন বাজেটে তামাকজাত দ্রব্য’র উপর কর বৃদ্ধি করার আহবান জানান। সাথে সাথে টাস্কফোর্স কমিটিকে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে আইনের বাস্তবায়নে আন্তরিক হওয়ার জন্য অনুরোধ করেন।

বিশ্ব তামাক মুক্ত দিবস কে সামনে রেখে এইড এর তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের উদ্যোগে খুলনা বিভাগের বিভিন্ন জেলায় ধূমপানমুক্ত প্রচারাভিযান পরিচালনা করা হয়। এছাড়াও খুলনা জেলার বিভিন্ন স্থানে লিফলেট ক্যাম্পেইন,স্টিকার ক্যাম্পেইন, পাবলিক প্লেসে ধূমপানমুক্ত সাইন বিতরণ, পোস্টার ক্যাম্পেইন,মোবাইল কোর্ট এর মধ্য দিয়ে সকল কর্মসূচি সম্পন্ন হয়। সমগ্র অনুষ্ঠানসমূহ সমন্বয় সাধন করেন তামাক বিরোধী জোটের নেতা শাহ-আরাফাত রাহিব,এইডের তামাক নিয়ন্ত্রন প্রকল্পের কর্মকর্তা তৌহিদ-উদ-দৌলা রেজা,সিয়ামের নির্বাহী পরিচালক মোঃ মাছুম বিল্লাহ।

Sunday, February 24, 2013

কৃষি জমিতে তামাক চাষ বন্ধে আইন হোক

দেশে খাদ্যের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে, এই বক্তব্যের সাথে একমত পোষণ করবে না এমন মানুষ পাওয়া দুষ্কর। কিন্ত চিন্তা আর কাজের পার্থক্যের ব্যাপকতার  বিষয়টি এক্ষেত্রেও বিদ্যমান। আর তাই দিন দিন কমে আসছে আমাদের কৃষি জমি যা দেশের খাদ্য সংকটকে প্রকট করবে। শিল্পায়ন, বাসস্থান তৈরি, নদীভাঙনের পাশাপাশি তামাক চাষের মতো ক্ষতিকর পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধি দেশের কৃষি জমিকে ধ্বংস করছে। দেশের অনেক অঞ্চল যেসব জমিতে খাদ্য উৎপাদন হতো, তা এখন দখল করে নিয়েছে তামাক চাষ।

বাংলাদেশে আবাদী জমির পরিমান খুবই সীমিত। তথাপি সড়ক নির্মাণ, শিল্পস্থাপন, ঘরবাড়ি নির্মাণ, নদী ভাঙনসহ বিভিন্ন কারণে প্রতিবছর দেশে কৃষি জমি ১ শতাংশ হারে হ্রাস পাচ্ছে। ১৯৭১ সালে আবাদী জমির পরিমাণ ২ কোটি ১৭ হেক্টর ছিল । ১৯৮৬ সালে কমে দাঁড়ায় ৮১ লাখ ৫৮ হাজার হেক্টর এবং ২০০৩ সালে কমে দাঁড়ায় ৭০ লাখ ৮৭ হাজার হেক্টরে। আর এ অবস্থার মধ্যে বিগত কয়েক বছরে বাংলাদেশে তামাক চাষ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণের দুর্বল নীতি বা অবস্থান দেশের কৃষি জমি ধ্বংস, খাদ্য সংকট, পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য সমস্যার মতো বিষয়গুলোকে প্রকট করে তুলবে।

ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ আইন ২০০৫ এ তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণে নীতিমালা প্রণয়ন এবং চাষীদের বিকল্প ফসল উৎপাদনে আর্থিক সহযোগিতার বিধান ছিল। ২০১০ সালে বিকল্প ফসল উৎপাদনে ঋণ সহায়তা দেয়ার মেয়াদ শেষ হয়েছে। কিন্তু বিগত সময়ে এই নীতি ও বিধান বাস্তবায়নে কোনো ধরনের উদ্যোগ পরিলক্ষিত হয়নি। ধূমপান ও তামাকের নেশা থেকে নিজেদের সন্তান আর পরিবারকে রক্ষা করার ইচ্ছে আমাদের সকলেরই আছে। অথচ তামাক চাষ, উৎপাদন নিয়ন্ত্রণের কোনো নীতি বা সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা রয়েই যাচ্ছে।

ভয়েজ অব ডিসকভারি সংক্রান্ত এক রিট মামলার রায়ে হাইকোর্ট তামাক নিয়ন্ত্রণে নির্দেশনা প্রদান করেন। পরবর্তী সময়ে বান্দরবান জেলা জজ কোর্টের একটি রায়ে ওই এলাকায় তামাক চাষ ১০০০ একরের মাঝে সীমাবদ্ধ রাখার নির্দেশনা প্রদান করেন। আদালতের এই সিদ্ধান্ত বিশ্বে তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে বিবেচিত। যদিও ওই দুটি মামলার রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হয়।

তামাক কোম্পানিগুলোর প্ররোচনায় তামাক চাষ আগ্রাসীভাবে বিভিন্ন খাদ্য ভাণ্ডারের জমি দখল করে নিচ্ছে। উবিনীগের তথ্যানুসারে, বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ৭৪ হাজার হেক্টর জমিতে তামাক হচ্ছে। বিগত ২ বছরে তামাক চাষ প্রায় ৬৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। উত্তরাঞ্চলের খাদ্যভাণ্ডার বলে পরিচিত চলনবিল এখন দখল করে নিচ্ছে তামাক চাষ। পাবর্ত্য এলাকায় এ বিষের ছোয়া রন্ধ্র্রে রন্ধ্রে।  তামাক চাষ শুধুমাত্র খাদ্য নিরাপত্তার জন্য হুমকি নয় এই বিষবৃক্ষ চাষ, উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং বিপণন সব ক্ষেত্রে মানুষকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।

গ্রামীণ কৃষক সমাজের দরিদ্রতাকে পুঁজি করে তামাক চাষ ভয়াবহভাবে বিস্তার লাভ করেছে। তামাক চাষ লাভজনক এ ধরনের ভ্রান্ত বাহারী বিজ্ঞাপন তামাক চাষে ধাবিত করার চক্রান্তের আড়ালে তামাক চাষের সমস্যাগুলো হারিয়ে যায়। প্রতিবছর তামাক কোম্পানির কাছ থেকে ঋণ নিয়ে তামাক চাষ করতে হয়। তামাক যদি লাভজনক হয় তবে চাষী কেন প্রতিবছর ঋণ নেবেন? এই প্রশ্নটি কেউই করে না। একজন চাষীর জন্য জমি মূল্যবান সম্পদ। কিন্ত প্রতিবছর প্রচুর রাসায়নিক ও কীটনাশক ব্যবহারে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে জমির উর্বরতা।  রাসায়নিক ও কীটনাশকের প্রভাবে জনস্বাস্থ্য, বনভূমি, পানি, জলজ প্রাণী, পরিবেশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

সম্প্রতি সরকার তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সংশোধিত আইনে পাবলিক প্লেস ও পরিবহনে ধূমপান নিষিদ্ধ, তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ, প্যাকেটে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী প্রদানের বিষয়ে আরো কঠোর বিধান করা হয়েছে। এ আইনে খাদ্যের জমিতে তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণে কঠোর বিধান বিধানযুক্ত হবে, এ আমাদের প্রত্যাশা।


লেখক: সৈয়দ সাইফুল আলম, পরিবেশ আন্দোলন কর্মী
shovan1209@gmail.com
http://www.banglamail24.com/index.php?ref=ZGV0YWlscy0yMDEzXzAyXzI0LTc0LTI0OTIw

Monday, January 14, 2013

Jatya Party Supports Tobacco Control Law Amendment

Smoking and tobacco use kills people; generates adverse impact on public health and economy. Jatya Party Chief and former President Hussain Muhammad Ershad expressed JP support to law amendment for death reduction and enhancement of public health.

At 1.00 PM former President Hussain Muhammad Ershad told Bangladesh Anti-Tobacco Alliance (BATA) team “We have strong support to law amendment in order to improve public health”. He also assures supporting law amendment in ensuing session of National Assembly.

Bangladesh Anti-Tobacco Alliance (BATA) team said that chewable tobacco is not included in the existing law for which it is not possible to control these products. In addition, the written messages are not viable for the illiterate. So, pictorial health warning needs to be given on packs of tobacco products. Jatya Party Chief and former President Hussain Muhammad Ershad was intently requested for his support to include these issues through law amendment. It is to mention that Jataya Party is one of the major members of the Mohajote government.

There is no confusion that tobacco harms public health, environment and economy. Bangladesh Anti-Tobacco Alliance (BATA) recommended law amendment for inclusion of all kinds of tobacco products in the law, extension of scope of authorized officer for law implementation, giving pictorial health warning on tobacco packs and stopping direct and indirect advertisements of tobacco products.  The recommendation was made while meeting Jatya Party Chief and former President Hussain Muhammad Ershad as part of the activities for creating support of Parliament Members for law amendment.

The Bangladesh Anti-Tobacco Alliance (BATA) team was composed of Ibnul Sayed Rana, Executive Director of Nirapad Development Foundation (NDF), and Gaus Piaree Mukti, Director (Admin), Sayeda Anonna Rahman, National Advocacy Officer as well as Media Advocacy Officer Syed Saiful Alam of WBB Trust.
It needs to mention that, Jatiya Party (JP) is 3rd populated political party in Bangladesh led by former Prisident of Bangladesh, Hussain Muhammad Ershad. JP also 3rd major political party at the current parliament and second biggest party of current 14 party coalition government. 

Tuesday, January 8, 2013

ফসলি জমিতে তামাক চাষ নয়

ফসলি জমিতে তামাক চাষ নয় 


দেশের খাদ্য উৎপাদন ব্যাহত করে ৭৪ হাজার হেক্টর জমিতে তামাক চাষ হচ্ছে। অবিলম্বে সরকারকে খাদ্যের জমিতে তামাক চাষ বন্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে।

বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বেসরকারী সংস্থা  উন্নয়ন বিকল্পের নীতি নির্ধারনী গবেষণা (উবিনীগ) ও ডব্লিউবিবি ট্রাস্ট আয়োজিত ‌‌'তামাক চাষ ও বিঁড়ি কারখানায় নিয়োজিত জনগোষ্ঠীর বিকল্প কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা ও করনীয়" শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এ দাবী করেন। উবিনীগ'র নির্বাহী পরিচালক ফরিদা আখতার সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন।

ফরিদা আখতার বলেন, তামাক সেবন ও তামাক চাষ স্বাস্থ্য এবং পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক হওয়া সত্ত্বেও দেশের বিস্তৃর্ন এলাকা জুড়ে তামাক চাষ হচ্ছে। ফসলি জমিতে এই তামাক চাষ অবিলম্বে বন্ধের পদক্ষেপ নিতে হবে। তিনি বলেন, তামাক উৎপাদন বন্ধ হলে ২৫ লাখ মানুষ বেকার হয়ে যাবে বলে তামাক উৎপাদনকারী দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো মিথ্যা প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। অথচ দেশে মাত্র দুই লাখ মানুষ তামাক উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত।

তিনি আরো বলেন, সরকারের উচিত তামাকজাত পন্যের উপর বাড়তি কর আরোপ করে এই করের টাকায় দুই লাখ তামাক শ্রমিকের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা।সেমিনারে মূল আলোচক ছিলেন, ডব্লিউবিবি ট্রাস্টের পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুল আলম। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর উপ-মহাপরিচালক এ কে এম মিজানুর রহমান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা'র টেকনিক্যাল অফিসার ডা. মাহফুজুল হক, পবিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (পবা) চেয়ারম্যান আবু নাসের খান প্রমুখ।