Showing posts with label tobacco control bangladesh. Show all posts
Showing posts with label tobacco control bangladesh. Show all posts

Tuesday, April 7, 2015

তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নের পদক্ষেপ গ্রহণ করবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন

তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নের পদক্ষেপ গ্রহণ করবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রশাসক শওকত মোস্তফা

তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নের পদক্ষেপ গ্রহণ করবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। আজ বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে নগর ভবনের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত ঘোষণা দেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এর প্রশাসক শওকত মোস্তফা। ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডাব্লিউবিবি) ট্রাস্ট ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এর যৌথ উদ্যোগে ‘স্বাস্থ্য রক্ষায় তামাকের বিপণন নিয়ন্ত্রণে লাইসেন্সের প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো: মাহবুবুর রহমান।

সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত সচিব) মো. আনসার আলী খান। সম্মানিত আলোচক হিসাবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল এর সমন্বয়কারী আমিন উল আহসান, জনস্বাস্থ্য বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংগঠন দি ইউনিয়ন এর টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট এডভোকেট সৈয়দ মাহবুবুল আলম। এতে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখবেন ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডাব্লিউবিবি) ট্রাস্ট গাউস পিয়ারী মুক্তি। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মীর মুস্তাফিজুর রহমান এর সঞ্চালনায় সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট ন্যাশনাল এডভোকেসি অফিসার সৈয়দা অনন্যা রহমান।


শওকত মোস্তফা আরও বলেন, সিটি করপোরেশন এর নিজস্ব ম্যাজিস্ট্রেট রয়েছে। এসব ম্যাজিস্ট্রেট ও স্যানেটারি ইনস্পেক্টর এর মাধ্যমে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় কেউ যেন আইন লঙ্গণ করতে না পারে, সেটা আমরা লক্ষ্য রাখব।

আনসার আলী খান বলেন, পশ্চিমা বিশ্ব থেকে ভাল বিষয়ের পাশাপাশি অনেক খারাপ জিনিস আমাদের মধ্যে চলে এসেছে। তামাক, ফাস্ট ফুড, জাঙ্ক ফুড, কোমল পানীয় এর মত স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর বিষয়গুলো উন্নত দেশগুলো থেকে এসেছে। উন্নত দেশগুলো এখন ক্ষতিকর এসব চর্চা থেকে সরে আসছে। আমাদেরও সরে আসতে হবে। পাশাপাশি জনগণের মধ্যেও ইতিবাচক মানসিকতা গড়ে তুলতে হবে। যত্রতত্র ময়লা ফেলার অভ্যাস পরিহার করতে হবে। সুস্থ্য থাকার জন্য প্রত্যেককেই ধূমপানসহ সব রকম নেশা থেকে সরে আসতে হবে।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, আমরা রাস্তায় তাজা শাকসব্জি/ফলমূল বিক্রেতাদের লাইসেন্স (স্ট্রিট ফুড কার্ড) প্রদান করব। প্রাথমিকভাবে ২০০জনকে প্রদান করা হবে। যেন তারা নিয়মতান্ত্রিকভাবে তাদের তাজা ফলমূল জনসাধারণের কাছে বিপণন করতে পারে। তাদের কাছে খাবার গরম করা, হাত ধোঁয়ার ব্যবস্থা থাকবে, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট থাকবে। ফলে ঢাকার জনসাধারণ খুব সহজে তাদের কাছ থেকে তাজা খাবার পাবে। এসব খাবার অবশ্যই স্বাস্থ্যসম্মত হবে। এ প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।

এডভোকেট সৈয়দ মাহবুবুল আলম বলেন, তামাক বিক্রি করতে লাইসেন্স প্রথা চালু করা দরকার। এতে একদিকে যত্রতত্র বিড়ি-সিগারেটের দোকান স্থাপন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। অন্যদিকে সিটি করপোরেশন লাইসেন্স ফি গ্রহণের মাধ্যমে আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারে। এছাড়া সিটি করপোরেশন এলাকায় মানুষের শরীর চর্চার জন্য পার্ক, খেলার মাঠ ও উন্মুক্ত স্থান সংরক্ষণ করতে হবে।

আমিন উল আহসান বলেন, তামাক জনস্বাস্থ্যের জন্য প্রধান হুমকি। তামাকজাত দ্রব্য সেবনে দেশে ক্যান্সার, হৃদরোগ, স্ট্রোক, উচ্চরক্তচাপ ইত্যাদি বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে লক্ষাধিক মানুষ মারা যায়। এছাড়া তামাকজনিত রোগে আক্রান্তদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে সরকারের হাজার হাজার কোটি টাকা অপচয় হয়। এসব বিবেচনায় সরকার জনস্বাস্থ্য উন্নয়ন ও সরকারের স্বাস্থ্য ব্যয় কমিয়ে আনতে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন করেছে। গাউস পিয়ারী বলেন, আইনে তামাকজাত দ্রব্যের সবরকম বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু তামাক কোম্পানিগুলো আইন লঙ্গণ করে বিজ্ঞাপন চালাচ্ছে। আইন বাস্তবায়নে সিটি করপোরেশন নিজস্ব ম্যাজিস্ট্রেট এর মাধ্যমে উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারে।

এর আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ও ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট এর উদ্যোগে নগর ভবনের সামনে থেকে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়। র‌্যালিতে প্রত্যাশা, অরুণোদয়ের তরুণ দল, জাতীয় যক্ষা নিরোধ সমিতি (নাটাব), সিরাক বাংলাদেশ, স্পন্দন, মাধবিকা, ইপসা, একলাব, মাস্তুল ফাউন্ডেশন, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন, গ্রীণ মাইন্ড সোসাইটি, উবিনীগ, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি অংশ নেন।


ইনকিলাব
তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নের পদক্ষেপ গ্রহণ করবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন    


বাংলামেইল২৪.কম
তামাক নয়িন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে সটিি করপোরশেন 


যায়যায়দিন
 বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে র্বণাঢ্য র‌্যালি 


বিশ্বস্বাস্থ্য দিবসে র‌্যালি ও সেমিনার


রাইজিংনিউজ২৪.কম
বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে র্বণাঢ্য র‌্যালি 

 প্রথমবার্তা২৪.কম
 তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নের পদক্ষেপ গ্রহণ করবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন


দৈনিক সংবাদ
 তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নের পদক্ষেপ গ্রহণ করবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন 



দৈনিক জনতা


দেশবার্তা
 তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নের পদক্ষেপ গ্রহণ করবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন 



Daily New Nation

'DSCC to take steps to implement tobacco control law'















    



  

তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নের পদক্ষেপ গ্রহণ করবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। - See more at: http://www.dailyinqilab.com/details/3601/%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%95-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A3-%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%A8-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A6%A8%E0%A7%87--%E0%A6%AA%E0%A6%A6%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%87%E0%A6%AA-%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%AC%E0%A7%87-%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A6%8F%E0%A6%B8%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A6%BF#sthash.evasAZ1H.dpuf

Read more at: http://www.dailyinqilab.com/details/3601/%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%95-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A3-%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%A8-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A6%A8%E0%A7%87--%E0%A6%AA%E0%A6%A6%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%87%E0%A6%AA-%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%AC%E0%A7%87-%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A6%8F%E0%A6%B8%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A6%BF
Copyright Daily Inqilab
তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নের পদক্ষেপ গ্রহণ করবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। - See more at: http://www.dailyinqilab.com/details/3601/%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%95-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A3-%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%A8-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A6%A8%E0%A7%87--%E0%A6%AA%E0%A6%A6%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%87%E0%A6%AA-%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%AC%E0%A7%87-%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A6%8F%E0%A6%B8%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A6%BF#sthash.evasAZ1H.dpuf

Read more at: http://www.dailyinqilab.com/details/3601/%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%95-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A3-%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%A8-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A6%A8%E0%A7%87--%E0%A6%AA%E0%A6%A6%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%87%E0%A6%AA-%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%AC%E0%A7%87-%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A6%8F%E0%A6%B8%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A6%BF
Copyright Daily Inqilab

Monday, April 6, 2015

“স্বাস্থ্য রক্ষায় তামাকের বিপণন নিয়ন্ত্রণে লাইসেন্স এর প্রয়োজনীয়তা”

“স্বাস্থ্য রক্ষায় তামাকের বিপণন নিয়ন্ত্রণে লাইসেন্স এর প্রয়োজনীয়তা”


শীর্ষক সেমিনারের মূল প্রবন্ধ।

৭ এপ্রিল ২০১৫, ঢাকা দক্ষিন সিটি কর্পোরেশন অডিটরিয়াম
আয়োজনেঃ-ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এবং ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট, 

আজ বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস। প্রতিবছর ৭ এপ্রিল সারা বিশ্বে যথাযথ মর্যাদার সাথে এ দিবসটি পালিত হয়। এদিনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল । প্রতিবছর সংস্থাটি এমন একটি ইস্যু বেছে নেয় যা বিশেষ করে সারা পৃথিবীর জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। এবছর বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে
Ò Safe food, Healthy life বাংলায় “নিরাপদ পুষ্টিকর খাবার, সুস্থ্য জীবনের অঙ্গিকার”

বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আজকের এই দিনে একটি বিশেষ বিষয়কে সেমিনারের মাধ্যমে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। স্বাস্থ্য রক্ষায় নিরাপদ খাদ্য যেমন জরুরি, তেমনি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর পণ্যগুলো বর্জন করাও প্রয়োজন। অস্বাস্থ্যকর খাবার যেমন- কোমলপানীয়, ফাস্টফুড, জাঙ্কফুড এবং তামাকজাত দ্রব্য বর্তমান বিশ্বে অসংক্রামক রোগ যেমন হৃদরোগ, স্ট্রোক, ক্যান্সার, ডায়াবেটিস সৃষ্টির অন্যতম কারণ। আর এ রোগগুলো হতে রক্ষায় আমাদের অস্বাস্থ্যকর খাদ্য ও তামাকজাত দ্রব্য বর্জন এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহনের অভ্যাস করতে হবে।
তামাক ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার বিশ্বব্যাপী প্রতিরোধযোগ্য মৃত্যূর অন্যতম প্রধান কারণ। তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারের কারণে প্রতিবছর ৫৭,০০০ হাজার মানুষ মারা যায় এবং ৩,৮২,০০০ মানুষ পঙ্গুত্ব বরণ করে। সরকারের চিকিৎসাখাতে ব্যয় করতে হয় ১১,০০০ কোটি টাকা। এই বিশাল মানব সম্পদ ও আর্থিক তিকে কোনভাবেই অবহেলা করা সম্ভব নয়। নানা দোহাই দিয়ে কোম্পানিগুলো লাভের পাহাড় গড়লেও মানুষের ভাগ্যে আসছে রোগ ও মৃত্যু । দরিদ্র মানুষদের বিনোদনের নামে এমন কোন সুযোগ দেওয়া বিবেকবান মানুষের কর্তব্য নয়, যা তাদের রোগ ও মৃত্যুর কারণ। আমরা এমন অবস্থা চাই না, যাতে মানুষ খাদ্য না কিনে তামাক কিনবে। সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতকরণে এমন পরিবেশ আমাদের কাম্য যেখানে মানুষ তামাকজাত দ্রব্য, কোমলপানীয়, ফাষ্টফুডসহ অস্বাস্থ্যকর খাবারের পরিবর্তে অধিকহারে শাক-সব্জি, ফলমূল খাবে। মৃত্যু, অপুষ্টি, রোগ ও দরিদ্রতা, থেকে মানুষকে দূরে রাখতে হলে অস্বাস্থ্যকর খাবার এবং সকল ধরনের তামাক থেকে তাদের দূরে রাখতে হবে। বিশ্বব্যাপী তামাকের ভয়াবহতার দিকে নজর দিলে দেখা যায়-
    তামাকের কারণে প্রতি ৮ সেকেন্ডে ১ জন করে মানুষ মারা যায়।
     ২০৩০ সাল নাগাদ প্রতি বছর তামাকের কারণে ১ কোটি লোক মারা যাবে।  যার ৭০ লই আমাদের মতো দরিদ্র দেশগুলোতে।
     তামাকের কারণে প্রতি বছর পৃথিবীতে ২ ল হেক্টর বন উজাড় হয়ে  যাচ্ছে।
     পৃথিবীতে প্রতিদিন ৮০ হাজার থেকে ১ ল কিশোর/তরুণ তামাক সেবন শুরু করে।
     পরো ধূমপানের কারণে বছরে পৃথিবীতে ১ ল ৬ হাজার শিশুর মৃত্যু হয়

আমাদের আবাদী ভুমির পরিমান সীমিত। তামাকের মতো ক্ষতিকর দ্রব্য চাষের কারণে ধ্বংশ হচ্ছে আমাদের খাদ্যের জমি। তামাক চাষের এলাকায় দেখা দিচ্ছে খাদ্যের ঘাটতি। জমিতে দীর্ঘদিন তামাক চাষের ফলে জমির উর্বরতা কমে যাচ্ছে। এ অবস্থার উত্তোরণ না হলে অদুর ভবিষৎতে এ সংকট আরো প্রকট আকার ধারণ করবে।  খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত ও সুস্থ্য জীবনের জন্য তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণ অত্যান্ত জরুরী।
তামাক উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও ব্যবহার সকল পর্যায়ই জনস্বাস্থ্য, অর্থনীতি এবং পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। তামাকের বহুমাত্রিক ক্ষতি, তামাকজনিত কারণে মানুষের মৃত্যু ও পঙ্গুত্ব রোধে তামাক নিয়ন্ত্রণের কোন বিকল্প নেই। বিশ্বব্যাপী তামাকের ভয়াবহতা লক্ষ্য করে সরকার ২০০৫ সালে ধূমপান ও তামাকজাতদ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন এবং ২০১৩ সালে আইনটি সংশোধন এর মাধ্যমে শক্তিশালী করেছেন। আইনের কার্যক্রম বেগবানকরণে ২০১৫ সালে ধূমপান ও তামাকজাতদ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা প্রণয়ন করেছেন। জনস্বার্থে প্রণীত এ আইনটি বাস্তবায়নে আমাদের সকলের এগিয়ে আসা প্রয়োজন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ইতোমধ্যেই নিজ কার্যালয় ধূমপানমুক্তসহ বিভিন্ন বেসরকারী সংস্থার সাথে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ইতিমধ্যেই আইসিডিসিআরবি এবং ফুড এন্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশন অফ দ্যা ইউনাইটেড ন্যাশনস্ এর সহায়তায় পথে খাবার বিক্রয়কারী ২০০ হকারকে লাইসেন্স এর আওতায় এনেছে এবং আরো ১০০ হকারকে লাইসেন্স এর আওতায় আনার পরিকল্পনা ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এর রয়েছে। এছাড়াও খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধে সেনেটারী ইন্সপেক্টরের মাধ্যমে নিয়মিত পরিদর্শন করা হচ্ছে। নিরাপদ খাবার ও সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতে আমাদের প্রত্যাশা:
ক্স    সিগারেটসহ সকল ধরনের তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয়ে লাইসেন্স গ্রহণ বাধ্যতামূলক করা
ক্স    তামাক নিয়ন্ত্রণে সিটি কর্পোরেশনের আলাদা বাজেট বরাদ্দ করা
ক্স    তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে
ক্স    যত্র-তত্র সিগারেট বিক্রয় নিষিদ্ধ
ক্স    খোলা ও খূচরা সিগারেট বিক্রয় নিষিদ্ধ
ক্স    স্কুলের আশেপাশের ২০০ মিটারের মধ্যে সিগারেটসহ সকল ধরনের তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয় বন্ধ
ক্স    আইন অনুসারে সকল প্রতিষ্ঠানে ধূমপানমুক্ত সাইন স্থাপন নিশ্চিতকরণ
ক্স    বিক্রয়স্থলে (চড়রহঃ ড়ভ ংধষব) হতে সকল ধরনের তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন অপসারণ করা
ক্স    একজন মানুষের সুস্থ্য ও কর্মঠ থাকার জন্য অধিকহারে মাঠ, পার্ক এবং হাটাঁর পরিবেশ সৃষ্টি
ক্স    স্বাস্থ্য রক্ষায় তামাকজাত দ্রব্যের ন্যায় অস্বাস্থ্যকর খাবার যেমন- কোমলপানীয়, ফাস্টফুড, জাঙ্কফুডসহ স্বাস্থ্যহানীকর পন্যের বিজ্ঞাপন বন্ধে উদ্যেগ গ্রহণ করা

তামাক নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশের অর্জন অনেক। বাংলাদেশের এ সকল পদপে আন্তজার্তিকভাবেও অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। তামাক নিয়ন্ত্রণে বিদ্যমান  সীমাবদ্ধতাগুলো অতিক্রম করা সম্ভব হলে দেশের সম্মান ও ভাবমুর্তি আরো উজ্বল হবে। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে, আইন বাস্তবায়নে সকলের সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসা ছাড়া কোনভাবেই সীমাবদ্ধতাগুলো অতিক্রম করা সম্ভব নয়। আইন ও বিধিমালা প্রণয়নের দাবীতে বিগত দিনে বেসরকারী সংস্থাগুলো যেভাবে সরকারের সহায়ক শক্তি হিসাবে এগিয়ে এসেছে তা সত্যিই একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ। আগামী দিনে দেশে তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম বেগবানকরণের ক্ষেত্রেও প্রয়োজন সকলের সমন্বিত উদ্যোগ ।

তথ্য সুত্র:
১. Impact of tobacco related illnesses in Bangladesh, World Health Organization. .
২.    তামাক নিয়ন্ত্রন নির্দেশিকা- ডাবিউবিবি ট্রাস্ট
৩.    স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়
৪.    তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে করনীয়-ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট



Saturday, April 4, 2015

তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে ৯০% ছবিসহ স্বাস্থ্য সতর্কবানী নিশ্চিত জরুরী।

তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে ৯০% ছবিসহ স্বাস্থ্য সতর্কবানী নিশ্চিত জরুরী।



মৃত্যুঘাতী তামাক কোম্পানিগুলোর নানা অপতৎপরতার কারণে প্রায় ২ বছর বিলম্বের পর পাশ হয়েছে বহুল প্রত্যাশিত ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০০৫ সংশোধনীর পরবর্তী বিধিমালাটি। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন ও বিধিমালা বাস্তবায়নে সকল তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে ৯০% ছবিসহ স্বাস্থ্যসতর্কবানী নিশ্চিতের দাবিতে ০৪ এপ্রিল সকাল ১০টায়  পরিবেশবাদী সংগঠন গ্রীন মাইন্ড সোসাইটি, ফ্রেন্ডস ফোরাম বুড়িগঙ্গা ও  ডব্লিউবিবি ট্রাস্ট এর যৌথ উদ্যেগে জাতীয় প্রেস কাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচী থেকে উপরোক্ত দবি জাননো হয়।

পরিবেশ বাচাঁও আন্দোলনের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক হাফিজুর রহমান ময়না এর সভাপতিত্বে উক্ত কর্মসূচীতে বক্তব্য প্রদান করেন গ্রীন মাইন্ড সোসাইটির সভাপতি আমির হাসান মাসুদ, সাধারন সম্পাদক ফারুক হোসেন, ডাব্লিউবিবি ট্রাষ্ট এর প্রগ্রাম অফিসার সৈয়দা অনন্যা রহমান, ফ্রেন্ডস ফোরাম বুড়িগঙ্গার আসিক, নতুন ধারা বাংলাদেশের সভাপতি মোমিন মেহেদী, বিসিএইচআরডির প্রধান নির্বাহী মাহবুব উল করিম, পশ্চিম রসুলপুর ওয়েলফেয়ার সোসাইটির মাইন উদ্দিন প্রমূখ।

বক্তারা বলেন, বিদ্যমান সিগারেটের মোড়কে লিখিত স্বাস্থ্য বিষয়ক সতর্কবাণী নিরক্ষর জনগোষ্ঠীর কোন কাজে আসছে না। তাই দেশের বৃহৎ নিরক্ষর জনগোষ্ঠীকে তামাকজাত দ্রব্যের ভয়াবহতা সম্পর্কে সচেতন করতে সিগারেটের মোড়কে ছবিসহ সতর্কবানী দেওয়া খুব জরুরী।  বিধিমালায় ছবিসহ সতর্কবানী প্রদানে তামাক কোম্পানীগুলোকে অনেক বেশী (১২ মাস) সময় প্রদান করা হয়েছে। যাহা এই আইন বাস্তবায়নের জন্য গড়িমসি করার পায়তারা মাত্র।

বক্তারা বলেন বিশ্বব্যাপি প্রমানিত যে তামাকের তিকর বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি, তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার কমিয়ে আনাসহ তামাকজনিত মৃত্যু কমাতে ছবিসহ সতর্কবাণী সর্বাধিক কার্যকর। বিশ্বে তামাক নিয়ন্ত্রণে আমাদের সুনাম ধরে রাখতে এখনই সকল তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে ৯০% ছবিসহ স্বাস্থ্য সকর্তবাণী প্রদানের উদ্যোগ নিতে হবে। যাহা বিদ্যমান আইন অনুসারেই সম্ভব। ছবিসহ স্বাস্থ্য সতর্কবানী প্রদানে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ান দেশগুলোর মধ্যে পিছিয়ে পড়েছে। নেপাল, শ্রীলংকা, ভারত, পাকিস্তানসহ এ অঞ্চলের দেশগুলোতে বড় আকারের ছবিসহ সতর্কবাণী প্রদানের আইন পাস হয়েছে।

নেপাল ৯০% ছবিসহ স্বাস্থ্য সতর্কবানী প্রদান করেছে। জনস্বাস্থ্য রক্ষায় স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় সহ সংশিষ্ট সকল মহল অনতিবিলম্বে সিগারেটের মোড়কে ছবিসহ সতর্কবানী প্রদান  করবেন বলে বক্তারা অভিমত পোষন করেন।





Tuesday, March 24, 2015

তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে ৯০% ছবিসহ স্বাস্থ্য সতর্কবানী দেখতে চাই

ধূমপান তামাকজাতদ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন (সংশোধিত ২৯ এপ্রিল ২০১৩ ) এর অধীনে বিধিমাল পাস হয়েছে। এ জন্য এ আইনে সংশ্লিস্ট সকলকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন ও বিধিমালা বাস্তবায়নে সকল তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে ৯০% ছবিসহ স্বাস্থ্যসতর্কবানী দেখতে চাই দাবিতে ২৪ মার্চ সকাল ১০টায় নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন এবং ডব্লিউবিবি ট্রাস্ট যৌথভাবে জাতীয় প্রেস কাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচীর আয়োজন করে।
 
তামাক কোম্পানীগুলোর ভ্রান্ত প্রচারনার কারণে প্রায় ২ বছর বিলম্বের পর পাশ হয়েছে বহুল প্রত্যাশিত ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০০৫ সংশোধনীর পরবর্তী বিধিমালাটি। বিধিমালায় ছবিসহ সতর্কবানী প্রদানে তামাক কোম্পানীগুলোকে অনেক বেশী (১২ মাস) সময় প্রদান করা হয়েছে। যাহা এই আইন বাস্তবায়নের জন্য গড়িমসি করার পায়তারা মাত্র। মৃত্যুঘাতী তামাক কোম্পানিগুলোর নানা অপতৎপরতার কারনেই এ বিলম্ব। অনুষ্ঠানে সকল তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে আইন অনুসারে সকর্তবানী নিশ্চিতের দাবী জানানো হয়। আলোচনায় যে সকল দাবি উত্থাপন হয়েছে তার মধ্যে-
১। সকল তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে ছবিসহ সতর্কবাণী প্রদান করতে হবে।
২। সকল তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে মূল প্রদর্শনীর তলের ৯০% জুড়ে তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহারের কারণে সৃষ্ট তি সম্পর্কে রঙ্গিন ছবি ও লেখা সম্বলিত স্বাস্থ্য সতর্কবাণী প্রদান করতে হবে।

বক্তারা বলেন বিশ্বব্যাপি প্রমানিত যে তামাকের তিকর বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি, তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার কমিয়ে আনাসহ তামাকজনিত মৃত্যু কমাতে ছবিসহ সতর্কবাণী সর্বাধিক কার্যকর। বিশ্বে তামাক নিয়ন্তণে আমাদের সুনাম ধরে রাখতে এখনই সকল তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে ৯০% ছবিসহ স্বাস্থ্য সকর্তবাণী প্রদানের উদ্যোগ নিতে হবে। যাহা বিদ্যমান আইন অনুসারেই সম্ভব। মানুষের কল্যানে অবশ্যই এ ধরনের উদ্যোগ স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় সহ সংশ্লিষ্ট সকলে গ্রহন করবেন বলে বক্তারা অভিমত পোষন করেন।

নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন এর ভাইস প্রেসিডেন্ট এ্যাডভোকেট সুলতান মাহমুদ বান্না‘র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন এনডিএফ এর চেয়ারম্যান ইবনুল সাঈদ রানা, ডব্লিউবিবি ট্রাস্ট এর ন্যাশনাল এ্যাডভোকেসি অফিসার সৈয়দা অনন্যা রহমান, গ্রীন মাইন্ড সোসাইটির নির্বাহী আমির হাসান, আর্থ ফোরাম এর আমিনা ইয়াসমিন ইতি, ডব্লিউবিবি ট্রাস্ট এর সহকারী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার, এসইএল ভলান্টিয়ার্স এর জাকির হোসেন, তাবাস্সুম, সালমা আক্তার, সানবিন, উচ্ছাস সহ অনেকে। অনুষ্ঠানটি সঞ্চলনা করেন শুভ কর্মকার, এ্যাডভোকেসী অফিসার ডব্লিউবিবি ট্রাস্ট। 

Tuesday, February 25, 2014

Mobile Court Fined and arrested for tobacco control law violation

Mobile Court in Dhanmondi, Dhaka, Bangladesh
Fined and arrested for tobacco control law violation



Add caption


Add caption
Add caption

Add caption











Add caption




















Two shops in Dhanmondi were fined a total of 65,000 taka today for violating the tobacco control law by displaying cigarette ads. The manager of one shop was arrested due to his inability to pay the fine. All the advertising and promotional materials were removed from the shops and destroyed. The executive magistrate of Deputy Commissioner (DC) office of Dhaka, Md. Shawakat Ali runs this mobile court.

Zarurirah Shop on Satmasjid Road was fined 50,000 taka for violating the tobacco control law by displaying various ads for Marlboro cigarettes. The manager of Zarurirah Shop was arrested for two months or until he pays the fine. Later on, manager is released after provide fined amount to the government treasury.

In addition, Dynamic Food Corner at Dhanmondi Lake was fined 15,000 taka for displaying cigarette promotional material.

During mobile court operation, Nazmul Hossain Khan, Inspector of Narcotics Department of Dhanmondi area, Shamul Haque and Matiur Rahman, Sub Inspector of Dhanmondi Police Station, Syeda Anonna Rahman, National Advocacy Officer of Work for a Better Bangladesh (WBB) Trust and Mir Abdur Razzak, Executive Director of Social Advancement Forum (SAF) were present.

Wednesday, August 28, 2013

পরোক্ষ ধূমপান থেকে নারীদের রক্ষায় কর্মক্ষেত্রে ধূমপান নিষিদ্ধ জরুরী



আমাদের দেশে নারীদের মাঝে এখনো ধূমপানের ব্যবহার কম। তবু ৩০% নারী কর্মস্থলে ও ২১% নারী পাবলিক প্লেসে পরোক্ষ ধূমপানের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। গৃহেও নারীরা পরোক্ষ ধূমপানের শিকার। নিজে ধূমপান না করলেও কর্মস্থলে পরোক্ষ ধূমপানের কারণে নারীরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের পাবলিক প্লেস সংজ্ঞায় কর্মক্ষেত্র, বেসরকারী প্রতিষ্ঠান ও রেষ্টুরেন্টের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে পরোক্ষ ধূমপানের ক্ষতি হতে রক্ষায় পদক্ষেপ গ্রহণ প্রয়োজন।

 তামাকের কারণে বেশীরভাগ ক্ষেত্রে নারীসহ শিশুরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। নারীরা শুধূমাত্র পরোক্ষ ধূমপানের কারণেই নয়, তামাক উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাত করণসহ সকল কাজে নারীসহ শিশুদের সমৃক্ত করার কারণে তারা স্বাস্থ্যক্ষতিসহ বিভিন্ন ক্ষতির সম্মুক্ষীন হচ্ছে। তাই তামাকের ক্ষতিকর দিক থেকে নারীদের রক্ষায় প্রদক্ষেপ গ্রহণ প্রয়োজন। তবে এজন্য সরকার তামাক নিয়ন্ত্রণে যে আইন করেছেন তা বাস্তবায়নের পাশাপাশি সকলকে সচেতন হতে হবে। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের ফলে বেশ ইতিবাচক অনেক প্রভাব পড়েছে। যেমন পাবলিক প্লেস ও পরিবহনে ধূমপান হ্রাস পেয়েছে, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন আর দেখা যায় না। বর্তমানে সরকার তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়ন জোরদার করার লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। মোবাইল কোর্ট পরিচালনা, টাস্কফোর্স সক্রিয়করণসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ এ সকল কার্যক্রমের মধ্যে অন্যতম |

নারীদের তামাক ব্যবহারের সমস্যা অনেক ক্ষেত্রে উঠে আসে না। তামাক পিছনে অর্থ ব্যয় করার করার নারী ও শিশুদের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে। তাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও খাদ্য সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন প্রণয়ন করার পর দেশে প্রত্যক্ষ বিজ্ঞাপন বন্ধ হলেও দেশে এখন নাটক সিনেমাসহ বিভিন্নভাবে পরোক্ষ বিজ্ঞাপন প্রচলিত আছে, এগুলো বন্ধ করতে হবে। এছাড়া আমাদের দেশে নারীরা পরোক্ষ ধূমপানের সম্মুখিত হচ্ছে। তামাকের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে নারীদের রক্ষায় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

এতে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের পাবলিক প্লেস ও পরিবহনের সংজ্ঞায় কর্মক্ষেত্র; বেসরকারী প্রতিষ্ঠান ও রেষ্টুরেন্ট; অযান্ত্রিক যানের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সম্পৃক্ত, জর্দ্দা-গুল-সাদাপাতাসহ সকল তামাকজাত দ্র্রব্যকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা, তামাকজাত দ্রব্যের উপর কর বৃদ্ধি, তামাক বিরোধী সচেতনতা জোরদার করা প্রয়োজন।

Saturday, August 24, 2013

সিগারেটের প্যাকেটের মোড়কে ছবিসহ সতর্কবাণী ধূমপান রোধে সহায়ক হবে


সিগারেট-বিড়ির প্যাকেটের মোড়কে কিছুদিনের মধ্যেই আইনের মাধ্যমে ছবি সংবলিত সতর্কবাণী প্রবর্তন হতে যাচ্ছে। সিগারেটের মোড়কে ছবি থাকলে ধূমপান কমাতে সহায়ক হবে। কারণ যারা লিখতে পড়তে পারেন না, তারা ছবি দেখে ধূমপানের ক্ষতিকর দিকটি উপলব্ধি করতে পারবেন। কারণ কথায় বলে, হাজার শব্দের চেয়ে একটি ছবি অনেক শক্তিশালী। তবে ছবি হতে হবে স্পষ্ট ও স্বচ্ছ। ছবিকে অবশ্যই বক্তব্যধর্মী হতে হবে। বর্তমানে সিগারেট, বিড়ির প্যাকেটের মোড়কে শুধু সতর্কবাণী রয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতে যখন প্রথম পিকটোরিয়াল ওয়ার্নিংয়ের আইন হলো, তখন দেখা গেল, ছবিগুলো খুবই দুর্বল। তাই বাংলাদেশে তামাকের মোড়কে যে ছবি দেয়া হবে তা যেন স্পষ্ট হয়। ছবিগুলোতে খুব বোল্ডলি (শক্তিশালী) ধূমপানের ক্ষতিকারক ভূমিকার বর্ণনা না থাকলে এ উদ্যোগ ব্যর্থ হয়ে যাবে। তাই ছবিগুলোকে শক্তিশালী করতে হবে।

এ সম্পর্কে বেসরকারি সংগঠন ডাব্লিউবিবির মিডিয়া এডভোকেসি অফিসার সৈয়দ সাইফুল আলম বলেন, তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে সচিত্র সর্তকবাণী থাকলে সেবনকারীদের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে সচেতন করা সম্ভব। একটি ছবি হাজার শব্দের চেয়ে শক্তিশালী। গবেষণায় দেখা গেছে, তামাজাত দ্রব্যের মোড়কে স্বাস্থ্য ক্ষতির ছবি সেবনকারীকে তামাক ব্যবহার না করতে উদ্বুদ্ধ করে। তাছাড়া আমাদের দেশের নিরক্ষর মানুষ বেশি ধূমপান করে। তারা পড়তে জানে না। ছবি থাকলে তারা তামাকের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে ভালোভাবে বুঝতে পারবে।

বর্তমানে পৃথিবীতে প্রতি বছর ৬০ লাখ মানুষ তামাকজনিত কারণে মারা যাচ্ছে, যার মধ্যে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হয়ে মারা যায় ৬ লাখ ধূমপায়ী। এখনই তামাকজাত দ্রব্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে ২০৩০ সাল নাগাদ এ মৃত্যুর সংখ্যা ৮০ লাখে দাঁড়াবে।

কানাডা, ব্রাজিল, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, থাইল্যান্ড সিগারেটের প্যাকেটে ১০০% সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কীকরণ বাণীর ব্যবস্থা করেছে। বাংলাদেশে সিগারেটের প্যাকেটে ও বিজ্ঞাপনে ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকরÑ এ সর্তকবাণী প্রদান করা হয়। এ সর্তকবাণী মানুষের কোনো কাজে আসে না। কারণ বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, বেশির ভাগ ধূমপায়ী তামাকের কারণে কোন কোন রোগ হয় তা জানে না। তাই প্যাকেটে কোন কোন রোগ হয় তাও লেখা দরকার। এমনকি তামাকজাত সামগ্রীর গায়ে কি ধরনের রোগের ছবি ও লেখা যাবে তা আইনে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকবে। তামাকজাত সামগ্রীর গায়ের সতর্কবাণী থেকে তামাকজনিত রোগ সম্পর্কে যাতে সুস্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়, সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

সিগারেটের প্যাকেটসহ অন্যান্য তামাকজাত সামগ্রীর প্যাকেট/কৌটার ৫০ ভাগ স্থানজুড়ে ছবিসহ সতর্কীকরণ বাণী প্রদানের ব্যবস্থা প্রচলন করতে হবে। এতে একদিকে ধূমপায়ীদের ধূমপান ত্যাগে উৎসাহিত এবং অধূমপায়ীদের ধূমপানে নিরুৎসাহিত করা সম্ভব হবে।

তামাকজাত সামগ্রীর এসব সতর্কবাণী যাতে সময়ানুযায়ী পরিবর্তন করা যায় সে ব্যবস্থাও করতে হবে। অর্থাৎ বার্ষিক তামাকজাত সামগ্রী উৎপাদনের ওপর ভিত্তি করে সতর্কবাণী পরিবর্তনের ব্যবস্থা করা। তামাকজাত সামগ্রীর গায়ে স্বাস্থ্যবাণী প্রদানের ও পরিবর্তনের ক্ষমতা সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কাছে প্রদান করতে হবে। প্যাকেটের গায়ে ‘লাইট’, ‘মাইল্ড’, ‘লো-টার’, ‘রেগুলার’ জাতীয় বিভ্রান্তিকর শব্দ নিষিদ্ধ করতে হবে।

বহুজাতিক তামাক কোম্পানিগুলো আমাদের দেশে যে ধরনের সিগারেটের প্যাকেট ব্যবহার করতে পারে, তা পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশে ব্যবহার করতে পারে না। একই ব্র্যান্ডের সিগারেটের প্যাকেটে অনেক উন্নত দেশে ছবিসহ সতর্কবাণী প্রদান করতে হয়। উন্নত দেশ অপেক্ষা আমাদের শিক্ষার হার কম থাকা সত্ত্বেও আমাদের দেশে তাদের স্বাস্থ্য সতর্কবাণী খুবই দুর্বলভাবে উপস্থাপন করে।

আমাদের দেশের লোকজনের জন্য দেশের উপযোগী স্বাস্থ্য সতর্কবাণী ব্যবহার করা উচিত। তবে এ দায়িত্ব অবশ্যই তামাক কোম্পানিকে প্রদান করা যাবে না। আইনে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কঠোর মনিটরিংয়ের মাধ্যমে এ বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।

তামাকের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এ ধরনের সতর্কবাণী একটি কার্যকর উপায়। তাই পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সরকার এ ব্যবস্থা প্রবর্তন করেছে কিংবা করতে যাচ্ছে।

http://www.alokitobangladesh.com/development-possibility/2013/08/25/18349/print

Wednesday, July 24, 2013

Every year 57,000 people die and 3, 82,000 people become disabled for tobacco consumption.


Every year 57,000 people die and 3, 82,000 people become disabled for tobacco consumption. Saving 57,000 lives and active & healthy life of 4, 00000 people or Revenue; what is crucial?

Sunday, June 30, 2013

গোয়ালন্দে বিশ্ব তামাক মুক্ত দিবসে অবস্থান কর্মসূচী ও লিফলেট ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত।।



তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন,প্রচারনা ও পৃষ্ঠপোষকতা নিষিদ্ধ আইন অমান্যে জরিমানা ১ লক্ষ টাকা এ প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে ৩১মে বিশ্ব তামাক মুক্ত দিবস উপলক্ষ্যে  রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ঘাটে বেসরকারী সংস্থা একলাব ও ডাস্ বাংলাদেশ, তামাক বিরোধী জোট  যৌথ উদ্যোগে অবস্থান কর্মসূচী ও লিফলেট ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে দৌলতদিয়া লঞ্চ ঘাটে সকাল ১০টা থেকে ১১টা এবং ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত দৌলতদিয়া বাস টার্মিনালে অবস্থান কর্মসূচী ও লিফলেট ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়। কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন ডাস্ বাংলাদেশের চেয়াম্যান অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম লিন্টু, প্রকল্প পরিচালক হেলাল মাহমুদ, অধ্যাপক আওয়াল আনোয়ার, একলাব প্রতিনিধি, উপজেলা ওয়ার্কাস পাটীর সম্পাদক শুকুমার মন্ডল, শ্রমিক নেতা শাজাহান শেখ সহ স্থানীয় জনতা। কর্মসূচীর সংবাদ সংগ্রহের জন্য দৈনিক ইত্তেফাক, যুগান্তর ,কালের কন্ঠ,প্রথম আলো, ভোরের কাগজ, রাজবাড়ীকন্ঠসহ সহ স্থানীয় পত্রিকার স্থানীয় প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন এবং এ সংক্রান্ত সংবাদ দৈনিক ভোরের কাগজ, দৈনিক রাজবাড়ীকন্ঠ,সাপ্তাহিক অনুসন্ধান সহ স্থানীয পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।


Tuesday, May 28, 2013

Polling centres free from smoking: CEC

Polling centres free from smoking: CEC

Chief Election Commissioner (CEC) Kazi Rakibuddin Ahmed has said that all the polling centers of the country are free from smoking according to the rule of the Election Commission (EC). Smoking is completely prohibited in the areas of polling centers, he added. 
He told this to a delegation of Bangladesh Anti-Tobacco Alliance (BATA) when it met him at his office in the city on Monday. On behalf of BATA, secretary general of Pratyasha Madok Birodhi Songothon Helal Ahmed, Sagufta Sulatana of NATAB, Syeda Ananya Rahman and Syed Mahbubul Alam Tahin of WBB Trust were in the delegation.

Vice chancellor of Bangabandhu Sheikh Mujib Medical University (BSMMU) Dr Pran Gopal Datta, EC secretary Dr Md Sadik and joint secretary Jesmin Tuli were also present at the meeting.
The representatives of the delegation requested CEC to take initiative to prohibit smoking and the use of tobacco-produced goods during the election campaign. Mentioning the negative impacts of tobacco, they also requested to declare all the offices under the EC as 'smoking free'.

The CEC assured them to consider the recommendations. He emphasised the need for creating awareness through media campaign about the negative impacts of tobacco.
Dr Pran Gopal Datta said the tobacco-produced goods are used during the election campaign, which encourage the people to use it. Mentioning that chewing tobacco is one of the reasons behind the deadly disease 'cancer', he said that the use of tobacco during election campaign hampers the anti-tobacco activities.   



http://thenewnationbd.com/newsdetails.aspx?newsid=75236

Sunday, March 31, 2013

খুলনায় বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস পালিত



“তামাকজাত দ্রব্যের সকল প্রকার বিজ্ঞাপন,প্রচারণা ও পৃষ্ঠপোষকতা নিষিদ্ধ” প্রতিপাদ্য বিষয়ের আলোকে খুলনাতে বিভাগীয় পর্যায়ে ৩১ মে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস পালিত হয়। খুলনা জেলা টাস্কফোর্স, এ্যাকশান ইন ডেভেলপমেন্ট-এইড, সিয়াম,টঋঅঞ, আলোর দিশারী,উইশ, সুবাস, তামাক বিরোধী জোট সহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন এর উদ্যোগে সকাল ১০.০০ টায় স্কুল হেলথ ক্লিনিক সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভা শেষে সকাল ১২.৩০ টায় এক বর্নাঢ্য শোভাযাত্রা শুরু হয়ে নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

খুলনা সিটি রেড ক্রিসেন্ট সাধারণ সম্পাদক মল্লিক আবিদ কবীর এর সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সহকারী জেলা শিক্ষা অফিসার দীপক রঞ্জন বিশ্বাস, এইড এর প্রকল্প সমন্বয়কারী মোঃ দোয়া বখ্শ শেখ, টঋঅঞ এর পতিনিধিও আলোর দিশারী’র নির্বাহী পরিচালক মোঃ ফারুক হোসেন, স্বাগত বক্তব্য রাখেন এইড’র সহকারী প্রকল্প সমন্বয়কারী তৌহিদুর রহমান ডিটো।
এছাড়াও বক্তব্যে রাখেন সিয়াম’র সভাপতি আকবর আলী, ধ্রুব’র পরিচালক এম এ এইচ আযম, সুবাস বি এল কলেজের সভাপতি ইয়াছির আরাফাত মিঠু, খূলনা বিশ্ববিদ্যালয় এর সভাপতি নুরুল আলম, রেড ক্রিসেন্ট সিটি ইউনিটের উপ যুব প্রধান সুমা রাণী মন্ডল, বক্তারা  বলেন তামাকের আগ্রাসন থেকে জন স্বাস্থ্য  রক্ষার্থে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে সচেতন করতে হবে। তামাক নিয়ন্ত্রন আইনের সংশোধনের মাধ্যমে তামাকজাত দ্রব্যের সকল প্রকার বিজ্ঞাপন,প্রচারণা ও পৃষ্ঠপোষকতা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অতিথিগণ তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের লক্ষে দ্রুত সংশোধিত আইনের বিধি প্রনয়নের এবং আসন্ন বাজেটে তামাকজাত দ্রব্য’র উপর কর বৃদ্ধি করার আহবান জানান। সাথে সাথে টাস্কফোর্স কমিটিকে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে আইনের বাস্তবায়নে আন্তরিক হওয়ার জন্য অনুরোধ করেন।

বিশ্ব তামাক মুক্ত দিবস কে সামনে রেখে এইড এর তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের উদ্যোগে খুলনা বিভাগের বিভিন্ন জেলায় ধূমপানমুক্ত প্রচারাভিযান পরিচালনা করা হয়। এছাড়াও খুলনা জেলার বিভিন্ন স্থানে লিফলেট ক্যাম্পেইন,স্টিকার ক্যাম্পেইন, পাবলিক প্লেসে ধূমপানমুক্ত সাইন বিতরণ, পোস্টার ক্যাম্পেইন,মোবাইল কোর্ট এর মধ্য দিয়ে সকল কর্মসূচি সম্পন্ন হয়। সমগ্র অনুষ্ঠানসমূহ সমন্বয় সাধন করেন তামাক বিরোধী জোটের নেতা শাহ-আরাফাত রাহিব,এইডের তামাক নিয়ন্ত্রন প্রকল্পের কর্মকর্তা তৌহিদ-উদ-দৌলা রেজা,সিয়ামের নির্বাহী পরিচালক মোঃ মাছুম বিল্লাহ।

Sunday, February 24, 2013

কৃষি জমিতে তামাক চাষ বন্ধে আইন হোক

দেশে খাদ্যের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে, এই বক্তব্যের সাথে একমত পোষণ করবে না এমন মানুষ পাওয়া দুষ্কর। কিন্ত চিন্তা আর কাজের পার্থক্যের ব্যাপকতার  বিষয়টি এক্ষেত্রেও বিদ্যমান। আর তাই দিন দিন কমে আসছে আমাদের কৃষি জমি যা দেশের খাদ্য সংকটকে প্রকট করবে। শিল্পায়ন, বাসস্থান তৈরি, নদীভাঙনের পাশাপাশি তামাক চাষের মতো ক্ষতিকর পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধি দেশের কৃষি জমিকে ধ্বংস করছে। দেশের অনেক অঞ্চল যেসব জমিতে খাদ্য উৎপাদন হতো, তা এখন দখল করে নিয়েছে তামাক চাষ।

বাংলাদেশে আবাদী জমির পরিমান খুবই সীমিত। তথাপি সড়ক নির্মাণ, শিল্পস্থাপন, ঘরবাড়ি নির্মাণ, নদী ভাঙনসহ বিভিন্ন কারণে প্রতিবছর দেশে কৃষি জমি ১ শতাংশ হারে হ্রাস পাচ্ছে। ১৯৭১ সালে আবাদী জমির পরিমাণ ২ কোটি ১৭ হেক্টর ছিল । ১৯৮৬ সালে কমে দাঁড়ায় ৮১ লাখ ৫৮ হাজার হেক্টর এবং ২০০৩ সালে কমে দাঁড়ায় ৭০ লাখ ৮৭ হাজার হেক্টরে। আর এ অবস্থার মধ্যে বিগত কয়েক বছরে বাংলাদেশে তামাক চাষ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণের দুর্বল নীতি বা অবস্থান দেশের কৃষি জমি ধ্বংস, খাদ্য সংকট, পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য সমস্যার মতো বিষয়গুলোকে প্রকট করে তুলবে।

ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ আইন ২০০৫ এ তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণে নীতিমালা প্রণয়ন এবং চাষীদের বিকল্প ফসল উৎপাদনে আর্থিক সহযোগিতার বিধান ছিল। ২০১০ সালে বিকল্প ফসল উৎপাদনে ঋণ সহায়তা দেয়ার মেয়াদ শেষ হয়েছে। কিন্তু বিগত সময়ে এই নীতি ও বিধান বাস্তবায়নে কোনো ধরনের উদ্যোগ পরিলক্ষিত হয়নি। ধূমপান ও তামাকের নেশা থেকে নিজেদের সন্তান আর পরিবারকে রক্ষা করার ইচ্ছে আমাদের সকলেরই আছে। অথচ তামাক চাষ, উৎপাদন নিয়ন্ত্রণের কোনো নীতি বা সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা রয়েই যাচ্ছে।

ভয়েজ অব ডিসকভারি সংক্রান্ত এক রিট মামলার রায়ে হাইকোর্ট তামাক নিয়ন্ত্রণে নির্দেশনা প্রদান করেন। পরবর্তী সময়ে বান্দরবান জেলা জজ কোর্টের একটি রায়ে ওই এলাকায় তামাক চাষ ১০০০ একরের মাঝে সীমাবদ্ধ রাখার নির্দেশনা প্রদান করেন। আদালতের এই সিদ্ধান্ত বিশ্বে তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে বিবেচিত। যদিও ওই দুটি মামলার রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হয়।

তামাক কোম্পানিগুলোর প্ররোচনায় তামাক চাষ আগ্রাসীভাবে বিভিন্ন খাদ্য ভাণ্ডারের জমি দখল করে নিচ্ছে। উবিনীগের তথ্যানুসারে, বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ৭৪ হাজার হেক্টর জমিতে তামাক হচ্ছে। বিগত ২ বছরে তামাক চাষ প্রায় ৬৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। উত্তরাঞ্চলের খাদ্যভাণ্ডার বলে পরিচিত চলনবিল এখন দখল করে নিচ্ছে তামাক চাষ। পাবর্ত্য এলাকায় এ বিষের ছোয়া রন্ধ্র্রে রন্ধ্রে।  তামাক চাষ শুধুমাত্র খাদ্য নিরাপত্তার জন্য হুমকি নয় এই বিষবৃক্ষ চাষ, উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং বিপণন সব ক্ষেত্রে মানুষকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।

গ্রামীণ কৃষক সমাজের দরিদ্রতাকে পুঁজি করে তামাক চাষ ভয়াবহভাবে বিস্তার লাভ করেছে। তামাক চাষ লাভজনক এ ধরনের ভ্রান্ত বাহারী বিজ্ঞাপন তামাক চাষে ধাবিত করার চক্রান্তের আড়ালে তামাক চাষের সমস্যাগুলো হারিয়ে যায়। প্রতিবছর তামাক কোম্পানির কাছ থেকে ঋণ নিয়ে তামাক চাষ করতে হয়। তামাক যদি লাভজনক হয় তবে চাষী কেন প্রতিবছর ঋণ নেবেন? এই প্রশ্নটি কেউই করে না। একজন চাষীর জন্য জমি মূল্যবান সম্পদ। কিন্ত প্রতিবছর প্রচুর রাসায়নিক ও কীটনাশক ব্যবহারে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে জমির উর্বরতা।  রাসায়নিক ও কীটনাশকের প্রভাবে জনস্বাস্থ্য, বনভূমি, পানি, জলজ প্রাণী, পরিবেশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

সম্প্রতি সরকার তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সংশোধিত আইনে পাবলিক প্লেস ও পরিবহনে ধূমপান নিষিদ্ধ, তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ, প্যাকেটে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী প্রদানের বিষয়ে আরো কঠোর বিধান করা হয়েছে। এ আইনে খাদ্যের জমিতে তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণে কঠোর বিধান বিধানযুক্ত হবে, এ আমাদের প্রত্যাশা।


লেখক: সৈয়দ সাইফুল আলম, পরিবেশ আন্দোলন কর্মী
shovan1209@gmail.com
http://www.banglamail24.com/index.php?ref=ZGV0YWlscy0yMDEzXzAyXzI0LTc0LTI0OTIw

Monday, January 14, 2013

Jatya Party Supports Tobacco Control Law Amendment

Smoking and tobacco use kills people; generates adverse impact on public health and economy. Jatya Party Chief and former President Hussain Muhammad Ershad expressed JP support to law amendment for death reduction and enhancement of public health.

At 1.00 PM former President Hussain Muhammad Ershad told Bangladesh Anti-Tobacco Alliance (BATA) team “We have strong support to law amendment in order to improve public health”. He also assures supporting law amendment in ensuing session of National Assembly.

Bangladesh Anti-Tobacco Alliance (BATA) team said that chewable tobacco is not included in the existing law for which it is not possible to control these products. In addition, the written messages are not viable for the illiterate. So, pictorial health warning needs to be given on packs of tobacco products. Jatya Party Chief and former President Hussain Muhammad Ershad was intently requested for his support to include these issues through law amendment. It is to mention that Jataya Party is one of the major members of the Mohajote government.

There is no confusion that tobacco harms public health, environment and economy. Bangladesh Anti-Tobacco Alliance (BATA) recommended law amendment for inclusion of all kinds of tobacco products in the law, extension of scope of authorized officer for law implementation, giving pictorial health warning on tobacco packs and stopping direct and indirect advertisements of tobacco products.  The recommendation was made while meeting Jatya Party Chief and former President Hussain Muhammad Ershad as part of the activities for creating support of Parliament Members for law amendment.

The Bangladesh Anti-Tobacco Alliance (BATA) team was composed of Ibnul Sayed Rana, Executive Director of Nirapad Development Foundation (NDF), and Gaus Piaree Mukti, Director (Admin), Sayeda Anonna Rahman, National Advocacy Officer as well as Media Advocacy Officer Syed Saiful Alam of WBB Trust.
It needs to mention that, Jatiya Party (JP) is 3rd populated political party in Bangladesh led by former Prisident of Bangladesh, Hussain Muhammad Ershad. JP also 3rd major political party at the current parliament and second biggest party of current 14 party coalition government. 

Tuesday, January 8, 2013

ফসলি জমিতে তামাক চাষ নয়

ফসলি জমিতে তামাক চাষ নয় 


দেশের খাদ্য উৎপাদন ব্যাহত করে ৭৪ হাজার হেক্টর জমিতে তামাক চাষ হচ্ছে। অবিলম্বে সরকারকে খাদ্যের জমিতে তামাক চাষ বন্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে।

বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বেসরকারী সংস্থা  উন্নয়ন বিকল্পের নীতি নির্ধারনী গবেষণা (উবিনীগ) ও ডব্লিউবিবি ট্রাস্ট আয়োজিত ‌‌'তামাক চাষ ও বিঁড়ি কারখানায় নিয়োজিত জনগোষ্ঠীর বিকল্প কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা ও করনীয়" শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এ দাবী করেন। উবিনীগ'র নির্বাহী পরিচালক ফরিদা আখতার সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন।

ফরিদা আখতার বলেন, তামাক সেবন ও তামাক চাষ স্বাস্থ্য এবং পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক হওয়া সত্ত্বেও দেশের বিস্তৃর্ন এলাকা জুড়ে তামাক চাষ হচ্ছে। ফসলি জমিতে এই তামাক চাষ অবিলম্বে বন্ধের পদক্ষেপ নিতে হবে। তিনি বলেন, তামাক উৎপাদন বন্ধ হলে ২৫ লাখ মানুষ বেকার হয়ে যাবে বলে তামাক উৎপাদনকারী দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো মিথ্যা প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। অথচ দেশে মাত্র দুই লাখ মানুষ তামাক উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত।

তিনি আরো বলেন, সরকারের উচিত তামাকজাত পন্যের উপর বাড়তি কর আরোপ করে এই করের টাকায় দুই লাখ তামাক শ্রমিকের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা।সেমিনারে মূল আলোচক ছিলেন, ডব্লিউবিবি ট্রাস্টের পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুল আলম। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর উপ-মহাপরিচালক এ কে এম মিজানুর রহমান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা'র টেকনিক্যাল অফিসার ডা. মাহফুজুল হক, পবিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (পবা) চেয়ারম্যান আবু নাসের খান প্রমুখ।

Monday, November 12, 2012

দেশে অগ্নিকাণ্ডের অন্যতম কারণ হচ্ছে ধূমপান

দেশে অগ্নিকাণ্ডের অন্যতম কারণ হচ্ছে ধূমপান
 














ঢাকা, ২২ নভেম্বর, ২০১২ (বাসস) : দেশে প্রতি বছর প্রায় এক হাজার ৮শ’ অগ্নিকাণ্ডের অন্যতম কারণ হচ্ছে ধূমপান। অর্থাৎ ধূমপানের সময় বিড়ি ও সিগারেটের শেষাংশ থেকে বিপুল সংখ্যক অগ্নিকাণ্ড ঘটে থাকে। এজন্য বাজার, শপিং মলসহ সব জনসমাগম স্থল ধূমপানমুক্ত রাখা সম্ভব হলে ধূমপানজনিত অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধ অনেকাংশে সম্ভব। 

আজ সকালে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতর মিলনায়তনে ‘তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের করণীয়’ বিষয়ক এক সেমিনারে এ তথ্য জানান ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবু নাঈম মো. শাহিদউল্লাহ।

বাংলাদেশ তামাকবিরোধী জোট, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এবং ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডব্লিউবিবি ট্রাস্ট)-এর যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে সম্মানিত অতিথি হিসাবে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও হাসপাতালের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত। 

ডব্লিউবিবি ট্রাস্টের প্রকল্প সমন্বয়কারী আমিনুল ইসলাম সুজন। এতে বক্তৃতা করেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ন্যাশনাল প্রফেশনাল অফিসার ডা. মোস্তফা জামান এবং চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাবেক সভাপতি আহমেদ শরীফ প্রমুখ।
প্রত্যাশা মাদকবিরোধী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হেলাল আহমেদের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডব্লিউবিবি ট্রাস্টের পরিচালক এডভোকেট সৈয়দ মাহবুবুল আলম।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবু নাঈম মো. শাহিদউল্লাহ বলেন, ধূমপান অগ্নিকাণ্ডের অন্যতম প্রধান কারণ। ১২ ভাগ অগ্নিকাণ্ডের জন্য দায়ী ধূমপান। তই প্রতিষ্ঠা কাল থেকেই ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ধূমপানকে নিরুৎসাহ যুগিয়ে আসছে। সারাদেশে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ২৫৪টি ফায়ার স্টেশন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। আজ থেকে এসব প্রতিষ্ঠানে কেউ ধূমপান করতে পারবে না। এছাড়া এসব প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে স্ব-স্ব এলাকায় প্রতি মাসে কমপক্ষে ৪টি জনসংযোগ করা হয়। এসব জনসংযোগ কর্মসূচিতে ধূমপান ও তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনকে যুক্ত করা হবে।

অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত বলেন, পরোক্ষ ধূমপানের কারণে শিশু ও নারীদের ক্যান্সার, স্ট্রোক, হৃদরোগসহ নানা রকম রোগের প্রকোপ বেড়ে যায়। এজন্য উন্নত দেশগুলো পরোক্ষ ধূমপান থেকে শিশু-নারীদের রক্ষায় সব পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহন শতভাগ ধূমপানমুক্ত করেছে। আমাদেরও সব প্রতিষ্ঠান শতভাগ ধূমপানমুক্ত করতে হবে।
গবেষণার তথ্য উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, দীর্ঘস্থায়ী ধূমপান মানুষের গড় আয়ু ১০ বছর কমিয়ে দেয়। শুধু তাই নয়, ধূমপায়ীদের মৃত্যু হয়েছে নানা রকম ভয়াবহ অসুখে, দীর্ঘদিন রোগে ভুগে। সুস্থতা ও দীর্ঘায়ুর জন্য ধূমপান বর্জন করা উচিত। পাশাপাশি তামাক কোম্পানিগুলোর সব রকম প্রচারণা নিষিদ্ধ করার দাবি জানান।

ডা. মোস্তফা জামান ২০০৪ সালের গবেষণার তথ্য উল্লেখ করে বলেন, ধূমপানসহ তামাজজনিত কারণে বাংলাদেশে প্রতি বছর ৫৭ হাজার মানুষ মারা যায়। ধূমপান মানুষের আয়ু ক্রমশ: কমিয়ে ফেলে। তাই ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর অধূমপায়ী কর্মীদের স্বাস্থ্য রক্ষায় প্রতিষ্ঠানের সব কার্যালয় ধূমপানমুক্ত করা দরকার।
চলচ্চিত্রাভিনেতা আহমদ শরীফ ব্যক্তি জীবনের উদাহরণ দিয়ে বলেন, আমি গত ২২ বছর ধূমপান করি না। ধূমপান বন্ধ করায় আমার শারীরিক ও মানসিক মনোবল বৃদ্ধি পেয়েছে।

এডভোকেট সৈয়দ মাহবুবুল আলম বলেন, ধূমপায়ীর ধূমপানের ফলে অধূমপায়ীর অধিকার ক্ষুণœ হয়। বাংলাদেশ প্রায় এক কোটি নারী পাবলিক প্লেস ও পরিবহনে পরোক্ষ ধূমপানের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

Sunday, May 23, 2010

ধূমপানের কারণে ১ কোটি ৫ লাখ নারী স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকিতে

ডব্লিউবিবি ট্রাস্টের সেমিনার
স্টাফ রিপোর্টার : ডব্লিউবিবি ট্রাস্ট ও জাতীয় কন্যাশিশু এডভোকেসী ফোরামের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক সেমিনারে বক্তারা বলেছেন, দেশের ১ কোটি ৫ লাখ নারী তামাক তথা ধূমপানে আসক্ত। এর মধ্যে শুধু ৭ লাখ ৪৯ হাজার নারী ধূমপান করে। ফলে নারীরা স্তন ক্যান্সারসহ কঠিন রোগে আক্রান্ত হয়। গতকাল শনিবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে নারীদের ওপর তামাকজাত দ্রব্যের ক্ষতিকর প্রভাব হ্রাসে করণীয় শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।

জাতীয় কন্যা শিশু এডভোকেসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক নাছিমা আক্তার জলির সভাপতিত্বে সেমিনারে বক্তব্য রাখেন মানসের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ডাঃ অরূপ রতন চৌধুরী, অধ্যাপক লতিফা আকন্দ, তাজিয়া আজিম মজুমদার, বিধান চন্দ্র পাল, আমিনুল ইসলাম সুজন, নাসরিন মুক্তি, সৈয়দ সাইফুল আলম প্রমুখ।

ডাঃ অরূপ রতন চৌধুরী বলেন, ধূমপানের কারণে নারীদের স্তন ক্যান্সার হয়। ফলে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত নারীদের স্তন কেটে ফেলতে হয়। গত ৬ মাস ধরে তামাক নিয়ন্ত্রণ টাস্কফোর্স বৈঠক হয় না। তামাক বিরোধী অভিযান আরও জোরদার করা উচিত। তামাকের কারণে দেশের ৪ লাখ মানুষ পঙ্গুত্ব বরণ করেছে। দিন দিন এ সংখ্যা বাড়ছে। দেশের ৩ কোটি ২৩ লাখ মানুষ তামাক ব্যবহার করে। এর মধ্যে নারীর সংখ্যা ১ কোটি ৫ লাখ। নারীরা তামাক ব্যবহারের ফলে স্তন ক্যান্সার, হার্টএ্যাটাক, ফুসফুসে যক্ষ্মা, হাঁপানি, মুখে, ক্যান্সার ও শ্বাসনালী ও খাদ্যনালীতে ক্যান্সার হয়। নারী তামাক গ্রহণের কারণে তাঁর গর্ভের সন্তানও ঝুঁকির মধ্যে থাকে। নতুন প্রজন্মকে নিরাপদ করতে অবশ্যই নারীকে তামাক মুক্ত রাখতে হবে। ধূমপানের কারণে দেশের ১ কোটি ৫ লাখ নারী স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকিতে। সেমিনারে বক্তারা বলেন, দেশে দিন দিন শিক্ষিত নারীদের মাঝেও তামাক তথা ধূমপানের ব্যবহার বাড়ছে। দেশের মা ও শিশুকে নিরাপদ করতে তামাক নিষিদ্ধ করতে হবে। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন কার্যকর করতে হবে।