Sunday, May 23, 2010

ধূমপানের কারণে ১ কোটি ৫ লাখ নারী স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকিতে

ডব্লিউবিবি ট্রাস্টের সেমিনার
স্টাফ রিপোর্টার : ডব্লিউবিবি ট্রাস্ট ও জাতীয় কন্যাশিশু এডভোকেসী ফোরামের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক সেমিনারে বক্তারা বলেছেন, দেশের ১ কোটি ৫ লাখ নারী তামাক তথা ধূমপানে আসক্ত। এর মধ্যে শুধু ৭ লাখ ৪৯ হাজার নারী ধূমপান করে। ফলে নারীরা স্তন ক্যান্সারসহ কঠিন রোগে আক্রান্ত হয়। গতকাল শনিবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে নারীদের ওপর তামাকজাত দ্রব্যের ক্ষতিকর প্রভাব হ্রাসে করণীয় শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।

জাতীয় কন্যা শিশু এডভোকেসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক নাছিমা আক্তার জলির সভাপতিত্বে সেমিনারে বক্তব্য রাখেন মানসের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ডাঃ অরূপ রতন চৌধুরী, অধ্যাপক লতিফা আকন্দ, তাজিয়া আজিম মজুমদার, বিধান চন্দ্র পাল, আমিনুল ইসলাম সুজন, নাসরিন মুক্তি, সৈয়দ সাইফুল আলম প্রমুখ।

ডাঃ অরূপ রতন চৌধুরী বলেন, ধূমপানের কারণে নারীদের স্তন ক্যান্সার হয়। ফলে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত নারীদের স্তন কেটে ফেলতে হয়। গত ৬ মাস ধরে তামাক নিয়ন্ত্রণ টাস্কফোর্স বৈঠক হয় না। তামাক বিরোধী অভিযান আরও জোরদার করা উচিত। তামাকের কারণে দেশের ৪ লাখ মানুষ পঙ্গুত্ব বরণ করেছে। দিন দিন এ সংখ্যা বাড়ছে। দেশের ৩ কোটি ২৩ লাখ মানুষ তামাক ব্যবহার করে। এর মধ্যে নারীর সংখ্যা ১ কোটি ৫ লাখ। নারীরা তামাক ব্যবহারের ফলে স্তন ক্যান্সার, হার্টএ্যাটাক, ফুসফুসে যক্ষ্মা, হাঁপানি, মুখে, ক্যান্সার ও শ্বাসনালী ও খাদ্যনালীতে ক্যান্সার হয়। নারী তামাক গ্রহণের কারণে তাঁর গর্ভের সন্তানও ঝুঁকির মধ্যে থাকে। নতুন প্রজন্মকে নিরাপদ করতে অবশ্যই নারীকে তামাক মুক্ত রাখতে হবে। ধূমপানের কারণে দেশের ১ কোটি ৫ লাখ নারী স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকিতে। সেমিনারে বক্তারা বলেন, দেশে দিন দিন শিক্ষিত নারীদের মাঝেও তামাক তথা ধূমপানের ব্যবহার বাড়ছে। দেশের মা ও শিশুকে নিরাপদ করতে তামাক নিষিদ্ধ করতে হবে। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন কার্যকর করতে হবে।