Wednesday, May 6, 2015

রোগ প্রতিরোধে হেলথ প্রমোশন ফাউন্ডেশন গঠনের দাবী

অপরিকল্পিত নগরায়ন এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা, খাদ্যাভাস, শারীরিক পরিশ্রমের অভাব, অনিয়ন্ত্রিত মাদক সেবন এবং ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার, পরিবেশ দূষণের কারণে হৃদরোগ, ষ্ট্রোক, ক্যান্সার, ডায়বেটিসসহ বিভিন্ন অসংক্রামক রোগ ব্যাপকভাবে বাড়ছে। জাতীয় স্বাস্থ্যনীতি ২০১১ তে রোগ প্রতিরোধকে প্রাধান্য দেয়া হলেও বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা মূলত চিকিৎসা কেন্দ্রিক। যার ফলে দিন দিন মানুষের মাঝে রোগ বেড়ে যাচ্ছে।

 অথচ রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে গুরুত্ব দিয়ে বহুমুখী কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ করছে “হেলথ প্রমোশন ফাউন্ডেশন”, যা নেপাল, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন, সুইজারল্যান্ড, আফ্রিকা, থাইল্যান্ড, ব্র“নাই, কানাডা, ফিনল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়াসহ পৃথিবীর ২৩টি দেশে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে এবং আরও অনেক দেশে প্রক্রিয়াধীন।

রোগ প্রতিরোধে হেলথ প্রমোশন ফাউন্ডেশন গঠনের দাবীতে মানববন্ধন
বাংলাদেশে ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে মৃত্যুঘাতি তামাকজাত দ্রব্যের উপর ১% স্বাস্থ্য কর আরোপ করা হয়েছে। সেই অর্থে রোগ প্রতিরোধের জন্য সদ্ব্যবহারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ, পরিকল্পনা প্রণয়ন, তদারকি ও মূল্যায়নে একটি স্বতন্ত্র সংস্থা হিসেবে “হেলথ প্রমোশন ফাউন্ডেশন” গঠন সময়ের দাবি। আজ ৬ মে, ২০১৫; সকাল ১১টায়, জাতীয় প্রেসক্লাবের সম্মুখে ‘তামাকজাত দ্রব্য থেকে প্রাপ্ত সারচার্জের অর্থে রোগ প্রতিরোধে হেলথ প্রোমোশন ফাউন্ডেশন চাই’ শীর্ষক অবস্থান কর্মসূচীতে এ অভিমত ব্যক্ত করেন জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ উন্নয়নে কর্মরত ২০ টি সংগঠন।


কমর্সূচিতে বক্তব্য রাখেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রাক্তন আঞ্চলিক পরামর্শক ও পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) স্বাস্থ্য বিভাগের উপদেষ্টা  ড. মোজহারুল হক, জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান দি ইউনিয়ন এর কারিগরি পরামর্শক সৈয়দ মহবুবুল আলম,  বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) যুগ্ম সম্পাদক মিহির বিশ্বাস, বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট-এর অনুষ্ঠান বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম মিলন, পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) সম্পাদক, মঞ্জুর হাসান দিলু, একলাব-এর প্রকল্প সমন্বয়নকারী মাকসুদ উল্লাহ প্রমুখ। ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাষ্ট পরিচালক (প্রশাসন) গাউস পিয়ারি মুক্তি’র সভাপতিত্বে কর্মসূচী পরিচালনা করেন সংস্থার ন্যাশনাল এডভোকেসি অফিসার মারুফ হোসেন।


অধ্যাপক ড. মোজহারুল হক বলেন, জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে আমাদের রোগ প্রতিরোধে বিষয়টিকে প্রাধান্য দেওয়া প্রয়োজন। দেশে সকলের রোগ প্রতিরোধ নিশ্চিত করতে হেলথ প্রমোশন ফাউন্ডেশন গঠনের কোন বিকল্প নেই। তামাকজাত দ্রব্যের উপর ১% স্বাস্থ্য কর আরোপ করা হয়েছে। এতে করে বিপুল পরিমান অর্থ পাওয়া যাবে। যে অর্থ স্বতন্ত্র একটি ফাউন্ডেশনের অধিনে পরিকল্পিতভাবে ব্যয় করা হলে জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

এড. সৈয়দ মহবুবুল আলম বলেন, থাইল্যান্ডের হেলথ প্রমোশন ফাউন্ডেশন আমাদের জন্য একটি দৃষ্টান্ত। এর আলোকে বাংলাদেশেও হেলথ প্রমোশন ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করা দরকার। এ সংস্থা স্বাধীন ও স্বায়ত্বশাসিতভাবে প্রতিষ্ঠা হলে জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে কার্যকর উদ্যোগ নেয়া সম্ভব হবে। বাংলাদেশেও পিকেএসএফ, এসএমই ফাউন্ডেশনসহ বেশ কয়েকটি ফাউন্ডেশন সফলভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা আশা করি, সরকার জনহিতকর এ দাবি অবিলম্বে বাস্তবায়ন করবে।

মিহির বিশ্বাস ক্ষতিকর তামাকজাত দ্রব্যের উপর ১% স্বাস্থ্যকর আরোপ করায় সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এ অর্থের সঠিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে রোগ প্রতিরোধকে গুরুত্ব দিতে হবে। পাশাপাশি অন্যান্য ক্ষতিকর পণ্যের উপরও আলাদাভাবে স্বাস্থ্যকর আরোপ করা দরকার।  রফিকুল ইসলাম মিলন বলেন, বিদ্যমান স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা প্রাধান্য পাচ্ছে না। তাই রোগ প্রতিরোধে হেলথ প্রমোশন ফাউন্ডেশন গঠন করা জরুরি।

কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে আরও বক্তব্য রাখেন জালালাবাদ ফাউন্ডেশন-এর প্রধান নির্বাহী এনাম আহমেদ, মাধবিকা’র সংগঠক আব্দুল রাজ্জাক, ইউনাইটেট পিপলস ট্রাষ্ট-এর প্রধান নির্বাহী আলী হাজারী, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি’র তামাক নিয়ন্ত্রণ গবেষণা সেল (টিসিআরসি) এর গবেষক মো. মহিউদ্দিন, পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) এর কো- অডিনেটর আতিক মোর্শেদ, বি-স্ক্যান সদস্য কামরুজ্জামান, মানবিক এর তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা সুমন শেখ, প্রত্যাশা মাদক বিরোধী সংগঠন-এর সদস্য আকিব দিপু প্রমুখ।

 



 http://www.djanata.com/index.php?ref=MjBfMDVfMDNfMTVfMV8xN18xXzEwODUyNQ==




 


দৈনিক সংবাদ
 


দি নিউ নেশন

অনলাইন নিউজপেপার








  



 


Monday, April 20, 2015

তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন ভঙ্গের দায়ে জাপান টোব্যাকো ইন্টারন্যাশনাল এর শাস্তি দাবি

 ধূমপান ও তামাকজাত ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০০৫ (২০১৩ সালে সংশোধিত) ভঙ্গ করে সিগারেটের প্রচারণার প্রতিবাদে জাপান টোব্যাকো ইন্টারন্যাশনাল (জেটিআই), ঢাকা টোব্যাকো কোম্পানিসহ আইন লঙ্ঘণকারী সব তামাক কোম্পানিকে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট। আজ ২০ এপ্রিল ২০১৫ সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেসকাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচিতে এ দাবি জানানো হয়। অবস্থান কর্মসূচি শেষে প্রতিবাদী পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয় এবং জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল (এনটিসিসি) এর মাধ্যমে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের প্রতিনিধি আলমগীর সিকদার এবং নবীন ইকরাম স্মারকলিপি গ্রহণ করেন।

বক্তারা বলেন, সম্প্রতি ডিটিআই কর্তৃক জেটিআই এর ডরহংঃড়হ ব্রান্ডের সিগারেট বিপণন কার্যক্রমে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের ধারা ৫ এর (১) এর (ক)(খ) ধারা ভঙ্গ করে ব্যাপকভাবে ধূমপানের বিজ্ঞাপন প্রচারের মাধ্যমে জনসাধারণকে সিগারেট ক্রয়ে উৎসাহিত করছে। উক্ত কোম্পানী নানা স্থানে ফ্রি সিগারেট বিতরণ করছে। পাশাপাশি জনসাধারণকে উৎসাহিত ও প্রলোভনের মাধ্যমে টি-শার্ট, মোবাইল ফোন, রাইস কুকার, সিলিং ফ্যান, ম্যাজিক বার্নার বিতরণ করছে এবং বিক্রয়কেন্দ্রে বড় বড় ছাতা ফ্রি বিতরণ করছে। এছাড়া বিভাগীয় শহরে বিভিন্ন দোকানদারকে তাদের ব্রান্ড পরিচিতির জন্য ডরহংঃড়হ সিগারেটের লোগো ও বিভ্রান্তিকর শব্দ সম্বলিত টং দোকান ফ্রি বিতরণ করছে। এ সকল দোকানে সিগারেটের ব্রান্ড ও লোগো সম্বলিত পোষ্টার প্রচার করছে যা তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন পরিপন্থী।
নাটাব এর সিনিয়র সহ-সভাপতি মোজাফফর আহমেদ পল্টু বলেন, উন্নত দেশগুলোতে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি এবং শক্তিশালী আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের ফলে ধূমপানের ব্যবহার ক্রমান্বয়ে কমছে। এজন্য ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো (বিএটি), ফিলিপ মরিস ইন্টারন্যাশনাল, জাপান টোব্যাকো ইন্টারন্যাশনাল (জেটিআই) সহ বহুজাতিক কোম্পানীগুলো প্রতারণা ও আইন লঙ্ঘণের মাধ্যমে মরণঘাতি পণ্য সিগারেটের বাজার বৃদ্ধি করতে অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এজন্য আইন লঙ্ঘণকারী সব কোম্পানিকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।


মানবিকের টেকনিক্যাল এডভাইজার রফিকুল ইসলাম মিলন বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের ১২ ধারায় বলা হয়েছে- “তামাকজাত দ্রব্য উৎপাদন ও উহার ব্যবহার ক্রমাগত নিরুৎসাহিত করিবার জন্য উদ্বুদ্ধ এবং তামাকজাত সামগ্রীর শিল্প স্থাপন, তামাক জাতীয় ফসল উৎপাদন ও চাষ নিরুৎসাহিত করিবার ল্েয সরকার প্রয়োজনীয় নীতিমালা প্রণয়ন করিতে পারিবে।” অর্থাৎ জনস্বাস্থ্য রার জন্য বর্তমান আইনে তামাকের উৎপাদন এবং শিল্প স্থাপন নিরুৎসাহিত করণে জাতীয় পলিসি প্রণয়নের কথা উল্লেখ রয়েছে।

নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ইবনুল সাঈদ রানা বলেন, আইন লঙ্ঘণ করে সিগারেটের প্রচারণা করলে তিনমাস কারাদণ্ড এবং ১ ল টাকা জরিমানা অথবা উভয় দন্ডে দন্ডনীয় হইবে এবং উক্ত ব্যক্তি দ্বিতীয়বার বা পুনঃ পুনঃ একই ধরনের অপরাধ সংঘটন করিলে তিনি পর্যায়ক্রমিকভাবে উক্ত দন্ডের দ্বিগুন হারে দন্ডনীয় হইবেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত তামাক কোম্পানিকে শাস্তি প্রদান করা হয়নি।

ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশের ন্যাশনাল এডভোকেসি অফিসার সৈয়দা অনন্যা রহমান বলেন, গত ১৯ মার্চ ২০১৫ তারিখ ঢাকার রেডিসন হোটেলের ব্লু-ওয়াটার গার্ডেনে ডিটিআই ও জেটিআই  যৌথভাবে এক অনুষ্ঠানের ব্যাকস্ক্রীনে ডরহংঃড়হ সিগারেটের প্যাকেট এবং লোগো প্রদর্শন করা হয়েছে। যা সম্পূর্ন তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন পরিপন্থী। এছাড়া প্রতি দোকানে একটি বড় আকৃতির স্টীকার সাটানো হয়েছে যাতে ২টি সিগারেটের প্যাকেট ও বিভিন্ন তথ্য জনসাধারনের জন্য প্রদর্শন করা হচ্ছে যা আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

বাদসার সভাপতি এডভোকেট মো. মাহবুব আলম বলেন, জনস্বাস্থ্য রায় সরকার কর্তৃক তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন প্রণয়ন করা হলেও ডিটিআই ও জেটিআই আইন অমান্য করে বিভিন্ন উপায়ে জনসাধারণকে ধূমপানে প্রলুব্ধ করার যে কার্যক্রম গ্রহণ করেছে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। মাঠপর্যায়ে এ ধরনের কার্যক্রম প্রতিহত করা না গেলে জনস্বাস্থ্য প্রচন্ডভাবে হুমকিতে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আইন মোতাবেক উক্ত কোম্পানীদ্বয়ের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলে ভবিষ্যতে কোম্পানীদ্বয় সতর্ক হবে এবং আইন মেনে চলতে বাধ্য হবে।

বক্তারা জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের কর্তৃত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কর্তৃক ডিটিআই ও জেটিআইসহ অন্যান্য সকল তামাক কোম্পানী কর্তৃক আইন ভঙ্গের অভিযোগ প্রস্তুত করে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী ঢাকা টোব্যাকো ইন্ডাষ্ট্রিজ ও জাপান টোব্যাকো ইন্ডাষ্ট্রিজ দ্বয়ের (আকিজ চেম্বার, ৭৩ দিলকুশা বা/এ, ঢাকা-১০০০) বিরুদ্ধে মামলা দায়ের ও অন্যান্য পদপে গ্রহণের আহ্বান জানান।

কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন স্পন্দন এর সিদ্দিক রহমান, সিরাক বাংলাদেশ এর প্রতিনিধি জিসান মাহমুদ, মাধবিকার নির্বাহী পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক, টিসিআরসি (ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি) প্রতিনিধি মো: মহিউদ্দিন, গ্রামীণ উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক নজরুল ইসলাম সরকার, নাটাব এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার খলিলউল্লাহ প্রমুখ।

দৈনিক সংবাদ

দৈনিক আমাদের সময়

দৈনিক ইনকিলাব



দৈনিক জনতা


The Daily Sun

Tuesday, April 7, 2015

DSCC to take steps to implement tobacco control law'





Staff Reporter :The Dhaka South City Corporation (DSCC) will take step to implement the tobacco control law aiming to reduce the tobacco use. Administrator of the DSCC Shawkat Mostafa said this at a seminar recently. Chief health officer of the DSCC Brig Gen Md Mahbubur Rahman presided over the function. Work for a Better Bangladesh (WBB) Trust and DSCC jointly arranged the seminar at the Nagar Bhaban marking the 'World Health Day'. DSCC's chief executive officer Md Ansar Ali Khan, coordinator of the National Tobacco Control Cell Amin Ul Ahsan and Advocate Syed Mahbubul Alam of WBB Trust addressed the programme, among others.  Before the seminar, a colourful rally was brought out from in front of the Nagar Bhaban. Members of different anti-tobacco organisations and students from different educational institutions also joined the rally. 










তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নের পদক্ষেপ গ্রহণ করবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন

তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নের পদক্ষেপ গ্রহণ করবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রশাসক শওকত মোস্তফা

তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নের পদক্ষেপ গ্রহণ করবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। আজ বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে নগর ভবনের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত ঘোষণা দেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এর প্রশাসক শওকত মোস্তফা। ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডাব্লিউবিবি) ট্রাস্ট ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এর যৌথ উদ্যোগে ‘স্বাস্থ্য রক্ষায় তামাকের বিপণন নিয়ন্ত্রণে লাইসেন্সের প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো: মাহবুবুর রহমান।

সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত সচিব) মো. আনসার আলী খান। সম্মানিত আলোচক হিসাবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল এর সমন্বয়কারী আমিন উল আহসান, জনস্বাস্থ্য বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংগঠন দি ইউনিয়ন এর টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট এডভোকেট সৈয়দ মাহবুবুল আলম। এতে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখবেন ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডাব্লিউবিবি) ট্রাস্ট গাউস পিয়ারী মুক্তি। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মীর মুস্তাফিজুর রহমান এর সঞ্চালনায় সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট ন্যাশনাল এডভোকেসি অফিসার সৈয়দা অনন্যা রহমান।


শওকত মোস্তফা আরও বলেন, সিটি করপোরেশন এর নিজস্ব ম্যাজিস্ট্রেট রয়েছে। এসব ম্যাজিস্ট্রেট ও স্যানেটারি ইনস্পেক্টর এর মাধ্যমে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় কেউ যেন আইন লঙ্গণ করতে না পারে, সেটা আমরা লক্ষ্য রাখব।

আনসার আলী খান বলেন, পশ্চিমা বিশ্ব থেকে ভাল বিষয়ের পাশাপাশি অনেক খারাপ জিনিস আমাদের মধ্যে চলে এসেছে। তামাক, ফাস্ট ফুড, জাঙ্ক ফুড, কোমল পানীয় এর মত স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর বিষয়গুলো উন্নত দেশগুলো থেকে এসেছে। উন্নত দেশগুলো এখন ক্ষতিকর এসব চর্চা থেকে সরে আসছে। আমাদেরও সরে আসতে হবে। পাশাপাশি জনগণের মধ্যেও ইতিবাচক মানসিকতা গড়ে তুলতে হবে। যত্রতত্র ময়লা ফেলার অভ্যাস পরিহার করতে হবে। সুস্থ্য থাকার জন্য প্রত্যেককেই ধূমপানসহ সব রকম নেশা থেকে সরে আসতে হবে।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, আমরা রাস্তায় তাজা শাকসব্জি/ফলমূল বিক্রেতাদের লাইসেন্স (স্ট্রিট ফুড কার্ড) প্রদান করব। প্রাথমিকভাবে ২০০জনকে প্রদান করা হবে। যেন তারা নিয়মতান্ত্রিকভাবে তাদের তাজা ফলমূল জনসাধারণের কাছে বিপণন করতে পারে। তাদের কাছে খাবার গরম করা, হাত ধোঁয়ার ব্যবস্থা থাকবে, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট থাকবে। ফলে ঢাকার জনসাধারণ খুব সহজে তাদের কাছ থেকে তাজা খাবার পাবে। এসব খাবার অবশ্যই স্বাস্থ্যসম্মত হবে। এ প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।

এডভোকেট সৈয়দ মাহবুবুল আলম বলেন, তামাক বিক্রি করতে লাইসেন্স প্রথা চালু করা দরকার। এতে একদিকে যত্রতত্র বিড়ি-সিগারেটের দোকান স্থাপন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। অন্যদিকে সিটি করপোরেশন লাইসেন্স ফি গ্রহণের মাধ্যমে আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারে। এছাড়া সিটি করপোরেশন এলাকায় মানুষের শরীর চর্চার জন্য পার্ক, খেলার মাঠ ও উন্মুক্ত স্থান সংরক্ষণ করতে হবে।

আমিন উল আহসান বলেন, তামাক জনস্বাস্থ্যের জন্য প্রধান হুমকি। তামাকজাত দ্রব্য সেবনে দেশে ক্যান্সার, হৃদরোগ, স্ট্রোক, উচ্চরক্তচাপ ইত্যাদি বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে লক্ষাধিক মানুষ মারা যায়। এছাড়া তামাকজনিত রোগে আক্রান্তদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে সরকারের হাজার হাজার কোটি টাকা অপচয় হয়। এসব বিবেচনায় সরকার জনস্বাস্থ্য উন্নয়ন ও সরকারের স্বাস্থ্য ব্যয় কমিয়ে আনতে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন করেছে। গাউস পিয়ারী বলেন, আইনে তামাকজাত দ্রব্যের সবরকম বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু তামাক কোম্পানিগুলো আইন লঙ্গণ করে বিজ্ঞাপন চালাচ্ছে। আইন বাস্তবায়নে সিটি করপোরেশন নিজস্ব ম্যাজিস্ট্রেট এর মাধ্যমে উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারে।

এর আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ও ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট এর উদ্যোগে নগর ভবনের সামনে থেকে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়। র‌্যালিতে প্রত্যাশা, অরুণোদয়ের তরুণ দল, জাতীয় যক্ষা নিরোধ সমিতি (নাটাব), সিরাক বাংলাদেশ, স্পন্দন, মাধবিকা, ইপসা, একলাব, মাস্তুল ফাউন্ডেশন, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন, গ্রীণ মাইন্ড সোসাইটি, উবিনীগ, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি অংশ নেন।


ইনকিলাব
তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নের পদক্ষেপ গ্রহণ করবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন    


বাংলামেইল২৪.কম
তামাক নয়িন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে সটিি করপোরশেন 


যায়যায়দিন
 বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে র্বণাঢ্য র‌্যালি 


বিশ্বস্বাস্থ্য দিবসে র‌্যালি ও সেমিনার


রাইজিংনিউজ২৪.কম
বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে র্বণাঢ্য র‌্যালি 

 প্রথমবার্তা২৪.কম
 তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নের পদক্ষেপ গ্রহণ করবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন


দৈনিক সংবাদ
 তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নের পদক্ষেপ গ্রহণ করবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন 



দৈনিক জনতা


দেশবার্তা
 তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নের পদক্ষেপ গ্রহণ করবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন 



Daily New Nation

'DSCC to take steps to implement tobacco control law'















    



  

তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নের পদক্ষেপ গ্রহণ করবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। - See more at: http://www.dailyinqilab.com/details/3601/%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%95-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A3-%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%A8-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A6%A8%E0%A7%87--%E0%A6%AA%E0%A6%A6%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%87%E0%A6%AA-%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%AC%E0%A7%87-%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A6%8F%E0%A6%B8%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A6%BF#sthash.evasAZ1H.dpuf

Read more at: http://www.dailyinqilab.com/details/3601/%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%95-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A3-%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%A8-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A6%A8%E0%A7%87--%E0%A6%AA%E0%A6%A6%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%87%E0%A6%AA-%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%AC%E0%A7%87-%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A6%8F%E0%A6%B8%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A6%BF
Copyright Daily Inqilab
তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নের পদক্ষেপ গ্রহণ করবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। - See more at: http://www.dailyinqilab.com/details/3601/%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%95-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A3-%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%A8-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A6%A8%E0%A7%87--%E0%A6%AA%E0%A6%A6%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%87%E0%A6%AA-%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%AC%E0%A7%87-%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A6%8F%E0%A6%B8%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A6%BF#sthash.evasAZ1H.dpuf

Read more at: http://www.dailyinqilab.com/details/3601/%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%95-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A3-%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%A8-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A6%A8%E0%A7%87--%E0%A6%AA%E0%A6%A6%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A7%87%E0%A6%AA-%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%AC%E0%A7%87-%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A6%8F%E0%A6%B8%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A6%BF
Copyright Daily Inqilab

Monday, April 6, 2015

“স্বাস্থ্য রক্ষায় তামাকের বিপণন নিয়ন্ত্রণে লাইসেন্স এর প্রয়োজনীয়তা”

“স্বাস্থ্য রক্ষায় তামাকের বিপণন নিয়ন্ত্রণে লাইসেন্স এর প্রয়োজনীয়তা”


শীর্ষক সেমিনারের মূল প্রবন্ধ।

৭ এপ্রিল ২০১৫, ঢাকা দক্ষিন সিটি কর্পোরেশন অডিটরিয়াম
আয়োজনেঃ-ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এবং ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট, 

আজ বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস। প্রতিবছর ৭ এপ্রিল সারা বিশ্বে যথাযথ মর্যাদার সাথে এ দিবসটি পালিত হয়। এদিনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল । প্রতিবছর সংস্থাটি এমন একটি ইস্যু বেছে নেয় যা বিশেষ করে সারা পৃথিবীর জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। এবছর বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে
Ò Safe food, Healthy life বাংলায় “নিরাপদ পুষ্টিকর খাবার, সুস্থ্য জীবনের অঙ্গিকার”

বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আজকের এই দিনে একটি বিশেষ বিষয়কে সেমিনারের মাধ্যমে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। স্বাস্থ্য রক্ষায় নিরাপদ খাদ্য যেমন জরুরি, তেমনি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর পণ্যগুলো বর্জন করাও প্রয়োজন। অস্বাস্থ্যকর খাবার যেমন- কোমলপানীয়, ফাস্টফুড, জাঙ্কফুড এবং তামাকজাত দ্রব্য বর্তমান বিশ্বে অসংক্রামক রোগ যেমন হৃদরোগ, স্ট্রোক, ক্যান্সার, ডায়াবেটিস সৃষ্টির অন্যতম কারণ। আর এ রোগগুলো হতে রক্ষায় আমাদের অস্বাস্থ্যকর খাদ্য ও তামাকজাত দ্রব্য বর্জন এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহনের অভ্যাস করতে হবে।
তামাক ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার বিশ্বব্যাপী প্রতিরোধযোগ্য মৃত্যূর অন্যতম প্রধান কারণ। তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারের কারণে প্রতিবছর ৫৭,০০০ হাজার মানুষ মারা যায় এবং ৩,৮২,০০০ মানুষ পঙ্গুত্ব বরণ করে। সরকারের চিকিৎসাখাতে ব্যয় করতে হয় ১১,০০০ কোটি টাকা। এই বিশাল মানব সম্পদ ও আর্থিক তিকে কোনভাবেই অবহেলা করা সম্ভব নয়। নানা দোহাই দিয়ে কোম্পানিগুলো লাভের পাহাড় গড়লেও মানুষের ভাগ্যে আসছে রোগ ও মৃত্যু । দরিদ্র মানুষদের বিনোদনের নামে এমন কোন সুযোগ দেওয়া বিবেকবান মানুষের কর্তব্য নয়, যা তাদের রোগ ও মৃত্যুর কারণ। আমরা এমন অবস্থা চাই না, যাতে মানুষ খাদ্য না কিনে তামাক কিনবে। সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতকরণে এমন পরিবেশ আমাদের কাম্য যেখানে মানুষ তামাকজাত দ্রব্য, কোমলপানীয়, ফাষ্টফুডসহ অস্বাস্থ্যকর খাবারের পরিবর্তে অধিকহারে শাক-সব্জি, ফলমূল খাবে। মৃত্যু, অপুষ্টি, রোগ ও দরিদ্রতা, থেকে মানুষকে দূরে রাখতে হলে অস্বাস্থ্যকর খাবার এবং সকল ধরনের তামাক থেকে তাদের দূরে রাখতে হবে। বিশ্বব্যাপী তামাকের ভয়াবহতার দিকে নজর দিলে দেখা যায়-
    তামাকের কারণে প্রতি ৮ সেকেন্ডে ১ জন করে মানুষ মারা যায়।
     ২০৩০ সাল নাগাদ প্রতি বছর তামাকের কারণে ১ কোটি লোক মারা যাবে।  যার ৭০ লই আমাদের মতো দরিদ্র দেশগুলোতে।
     তামাকের কারণে প্রতি বছর পৃথিবীতে ২ ল হেক্টর বন উজাড় হয়ে  যাচ্ছে।
     পৃথিবীতে প্রতিদিন ৮০ হাজার থেকে ১ ল কিশোর/তরুণ তামাক সেবন শুরু করে।
     পরো ধূমপানের কারণে বছরে পৃথিবীতে ১ ল ৬ হাজার শিশুর মৃত্যু হয়

আমাদের আবাদী ভুমির পরিমান সীমিত। তামাকের মতো ক্ষতিকর দ্রব্য চাষের কারণে ধ্বংশ হচ্ছে আমাদের খাদ্যের জমি। তামাক চাষের এলাকায় দেখা দিচ্ছে খাদ্যের ঘাটতি। জমিতে দীর্ঘদিন তামাক চাষের ফলে জমির উর্বরতা কমে যাচ্ছে। এ অবস্থার উত্তোরণ না হলে অদুর ভবিষৎতে এ সংকট আরো প্রকট আকার ধারণ করবে।  খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত ও সুস্থ্য জীবনের জন্য তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণ অত্যান্ত জরুরী।
তামাক উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও ব্যবহার সকল পর্যায়ই জনস্বাস্থ্য, অর্থনীতি এবং পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। তামাকের বহুমাত্রিক ক্ষতি, তামাকজনিত কারণে মানুষের মৃত্যু ও পঙ্গুত্ব রোধে তামাক নিয়ন্ত্রণের কোন বিকল্প নেই। বিশ্বব্যাপী তামাকের ভয়াবহতা লক্ষ্য করে সরকার ২০০৫ সালে ধূমপান ও তামাকজাতদ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন এবং ২০১৩ সালে আইনটি সংশোধন এর মাধ্যমে শক্তিশালী করেছেন। আইনের কার্যক্রম বেগবানকরণে ২০১৫ সালে ধূমপান ও তামাকজাতদ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা প্রণয়ন করেছেন। জনস্বার্থে প্রণীত এ আইনটি বাস্তবায়নে আমাদের সকলের এগিয়ে আসা প্রয়োজন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ইতোমধ্যেই নিজ কার্যালয় ধূমপানমুক্তসহ বিভিন্ন বেসরকারী সংস্থার সাথে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ইতিমধ্যেই আইসিডিসিআরবি এবং ফুড এন্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশন অফ দ্যা ইউনাইটেড ন্যাশনস্ এর সহায়তায় পথে খাবার বিক্রয়কারী ২০০ হকারকে লাইসেন্স এর আওতায় এনেছে এবং আরো ১০০ হকারকে লাইসেন্স এর আওতায় আনার পরিকল্পনা ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এর রয়েছে। এছাড়াও খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধে সেনেটারী ইন্সপেক্টরের মাধ্যমে নিয়মিত পরিদর্শন করা হচ্ছে। নিরাপদ খাবার ও সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতে আমাদের প্রত্যাশা:
ক্স    সিগারেটসহ সকল ধরনের তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয়ে লাইসেন্স গ্রহণ বাধ্যতামূলক করা
ক্স    তামাক নিয়ন্ত্রণে সিটি কর্পোরেশনের আলাদা বাজেট বরাদ্দ করা
ক্স    তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে
ক্স    যত্র-তত্র সিগারেট বিক্রয় নিষিদ্ধ
ক্স    খোলা ও খূচরা সিগারেট বিক্রয় নিষিদ্ধ
ক্স    স্কুলের আশেপাশের ২০০ মিটারের মধ্যে সিগারেটসহ সকল ধরনের তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয় বন্ধ
ক্স    আইন অনুসারে সকল প্রতিষ্ঠানে ধূমপানমুক্ত সাইন স্থাপন নিশ্চিতকরণ
ক্স    বিক্রয়স্থলে (চড়রহঃ ড়ভ ংধষব) হতে সকল ধরনের তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন অপসারণ করা
ক্স    একজন মানুষের সুস্থ্য ও কর্মঠ থাকার জন্য অধিকহারে মাঠ, পার্ক এবং হাটাঁর পরিবেশ সৃষ্টি
ক্স    স্বাস্থ্য রক্ষায় তামাকজাত দ্রব্যের ন্যায় অস্বাস্থ্যকর খাবার যেমন- কোমলপানীয়, ফাস্টফুড, জাঙ্কফুডসহ স্বাস্থ্যহানীকর পন্যের বিজ্ঞাপন বন্ধে উদ্যেগ গ্রহণ করা

তামাক নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশের অর্জন অনেক। বাংলাদেশের এ সকল পদপে আন্তজার্তিকভাবেও অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। তামাক নিয়ন্ত্রণে বিদ্যমান  সীমাবদ্ধতাগুলো অতিক্রম করা সম্ভব হলে দেশের সম্মান ও ভাবমুর্তি আরো উজ্বল হবে। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে, আইন বাস্তবায়নে সকলের সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসা ছাড়া কোনভাবেই সীমাবদ্ধতাগুলো অতিক্রম করা সম্ভব নয়। আইন ও বিধিমালা প্রণয়নের দাবীতে বিগত দিনে বেসরকারী সংস্থাগুলো যেভাবে সরকারের সহায়ক শক্তি হিসাবে এগিয়ে এসেছে তা সত্যিই একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ। আগামী দিনে দেশে তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম বেগবানকরণের ক্ষেত্রেও প্রয়োজন সকলের সমন্বিত উদ্যোগ ।

তথ্য সুত্র:
১. Impact of tobacco related illnesses in Bangladesh, World Health Organization. .
২.    তামাক নিয়ন্ত্রন নির্দেশিকা- ডাবিউবিবি ট্রাস্ট
৩.    স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়
৪.    তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে করনীয়-ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট



Saturday, April 4, 2015

তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে ৯০% ছবিসহ স্বাস্থ্য সতর্কবানী নিশ্চিত জরুরী।

তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে ৯০% ছবিসহ স্বাস্থ্য সতর্কবানী নিশ্চিত জরুরী।



মৃত্যুঘাতী তামাক কোম্পানিগুলোর নানা অপতৎপরতার কারণে প্রায় ২ বছর বিলম্বের পর পাশ হয়েছে বহুল প্রত্যাশিত ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০০৫ সংশোধনীর পরবর্তী বিধিমালাটি। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন ও বিধিমালা বাস্তবায়নে সকল তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে ৯০% ছবিসহ স্বাস্থ্যসতর্কবানী নিশ্চিতের দাবিতে ০৪ এপ্রিল সকাল ১০টায়  পরিবেশবাদী সংগঠন গ্রীন মাইন্ড সোসাইটি, ফ্রেন্ডস ফোরাম বুড়িগঙ্গা ও  ডব্লিউবিবি ট্রাস্ট এর যৌথ উদ্যেগে জাতীয় প্রেস কাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচী থেকে উপরোক্ত দবি জাননো হয়।

পরিবেশ বাচাঁও আন্দোলনের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক হাফিজুর রহমান ময়না এর সভাপতিত্বে উক্ত কর্মসূচীতে বক্তব্য প্রদান করেন গ্রীন মাইন্ড সোসাইটির সভাপতি আমির হাসান মাসুদ, সাধারন সম্পাদক ফারুক হোসেন, ডাব্লিউবিবি ট্রাষ্ট এর প্রগ্রাম অফিসার সৈয়দা অনন্যা রহমান, ফ্রেন্ডস ফোরাম বুড়িগঙ্গার আসিক, নতুন ধারা বাংলাদেশের সভাপতি মোমিন মেহেদী, বিসিএইচআরডির প্রধান নির্বাহী মাহবুব উল করিম, পশ্চিম রসুলপুর ওয়েলফেয়ার সোসাইটির মাইন উদ্দিন প্রমূখ।

বক্তারা বলেন, বিদ্যমান সিগারেটের মোড়কে লিখিত স্বাস্থ্য বিষয়ক সতর্কবাণী নিরক্ষর জনগোষ্ঠীর কোন কাজে আসছে না। তাই দেশের বৃহৎ নিরক্ষর জনগোষ্ঠীকে তামাকজাত দ্রব্যের ভয়াবহতা সম্পর্কে সচেতন করতে সিগারেটের মোড়কে ছবিসহ সতর্কবানী দেওয়া খুব জরুরী।  বিধিমালায় ছবিসহ সতর্কবানী প্রদানে তামাক কোম্পানীগুলোকে অনেক বেশী (১২ মাস) সময় প্রদান করা হয়েছে। যাহা এই আইন বাস্তবায়নের জন্য গড়িমসি করার পায়তারা মাত্র।

বক্তারা বলেন বিশ্বব্যাপি প্রমানিত যে তামাকের তিকর বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি, তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার কমিয়ে আনাসহ তামাকজনিত মৃত্যু কমাতে ছবিসহ সতর্কবাণী সর্বাধিক কার্যকর। বিশ্বে তামাক নিয়ন্ত্রণে আমাদের সুনাম ধরে রাখতে এখনই সকল তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে ৯০% ছবিসহ স্বাস্থ্য সকর্তবাণী প্রদানের উদ্যোগ নিতে হবে। যাহা বিদ্যমান আইন অনুসারেই সম্ভব। ছবিসহ স্বাস্থ্য সতর্কবানী প্রদানে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ান দেশগুলোর মধ্যে পিছিয়ে পড়েছে। নেপাল, শ্রীলংকা, ভারত, পাকিস্তানসহ এ অঞ্চলের দেশগুলোতে বড় আকারের ছবিসহ সতর্কবাণী প্রদানের আইন পাস হয়েছে।

নেপাল ৯০% ছবিসহ স্বাস্থ্য সতর্কবানী প্রদান করেছে। জনস্বাস্থ্য রক্ষায় স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় সহ সংশিষ্ট সকল মহল অনতিবিলম্বে সিগারেটের মোড়কে ছবিসহ সতর্কবানী প্রদান  করবেন বলে বক্তারা অভিমত পোষন করেন।





Tuesday, March 24, 2015

তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে ৯০% ছবিসহ স্বাস্থ্য সতর্কবানী দেখতে চাই

ধূমপান তামাকজাতদ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন (সংশোধিত ২৯ এপ্রিল ২০১৩ ) এর অধীনে বিধিমাল পাস হয়েছে। এ জন্য এ আইনে সংশ্লিস্ট সকলকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন ও বিধিমালা বাস্তবায়নে সকল তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে ৯০% ছবিসহ স্বাস্থ্যসতর্কবানী দেখতে চাই দাবিতে ২৪ মার্চ সকাল ১০টায় নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন এবং ডব্লিউবিবি ট্রাস্ট যৌথভাবে জাতীয় প্রেস কাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচীর আয়োজন করে।
 
তামাক কোম্পানীগুলোর ভ্রান্ত প্রচারনার কারণে প্রায় ২ বছর বিলম্বের পর পাশ হয়েছে বহুল প্রত্যাশিত ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০০৫ সংশোধনীর পরবর্তী বিধিমালাটি। বিধিমালায় ছবিসহ সতর্কবানী প্রদানে তামাক কোম্পানীগুলোকে অনেক বেশী (১২ মাস) সময় প্রদান করা হয়েছে। যাহা এই আইন বাস্তবায়নের জন্য গড়িমসি করার পায়তারা মাত্র। মৃত্যুঘাতী তামাক কোম্পানিগুলোর নানা অপতৎপরতার কারনেই এ বিলম্ব। অনুষ্ঠানে সকল তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে আইন অনুসারে সকর্তবানী নিশ্চিতের দাবী জানানো হয়। আলোচনায় যে সকল দাবি উত্থাপন হয়েছে তার মধ্যে-
১। সকল তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে ছবিসহ সতর্কবাণী প্রদান করতে হবে।
২। সকল তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে মূল প্রদর্শনীর তলের ৯০% জুড়ে তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহারের কারণে সৃষ্ট তি সম্পর্কে রঙ্গিন ছবি ও লেখা সম্বলিত স্বাস্থ্য সতর্কবাণী প্রদান করতে হবে।

বক্তারা বলেন বিশ্বব্যাপি প্রমানিত যে তামাকের তিকর বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি, তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার কমিয়ে আনাসহ তামাকজনিত মৃত্যু কমাতে ছবিসহ সতর্কবাণী সর্বাধিক কার্যকর। বিশ্বে তামাক নিয়ন্তণে আমাদের সুনাম ধরে রাখতে এখনই সকল তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে ৯০% ছবিসহ স্বাস্থ্য সকর্তবাণী প্রদানের উদ্যোগ নিতে হবে। যাহা বিদ্যমান আইন অনুসারেই সম্ভব। মানুষের কল্যানে অবশ্যই এ ধরনের উদ্যোগ স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় সহ সংশ্লিষ্ট সকলে গ্রহন করবেন বলে বক্তারা অভিমত পোষন করেন।

নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন এর ভাইস প্রেসিডেন্ট এ্যাডভোকেট সুলতান মাহমুদ বান্না‘র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন এনডিএফ এর চেয়ারম্যান ইবনুল সাঈদ রানা, ডব্লিউবিবি ট্রাস্ট এর ন্যাশনাল এ্যাডভোকেসি অফিসার সৈয়দা অনন্যা রহমান, গ্রীন মাইন্ড সোসাইটির নির্বাহী আমির হাসান, আর্থ ফোরাম এর আমিনা ইয়াসমিন ইতি, ডব্লিউবিবি ট্রাস্ট এর সহকারী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার, এসইএল ভলান্টিয়ার্স এর জাকির হোসেন, তাবাস্সুম, সালমা আক্তার, সানবিন, উচ্ছাস সহ অনেকে। অনুষ্ঠানটি সঞ্চলনা করেন শুভ কর্মকার, এ্যাডভোকেসী অফিসার ডব্লিউবিবি ট্রাস্ট। 

Monday, March 23, 2015

বিজ্ঞাপন সরিয়ে তামাক বিরোধী সতর্কবানী স্থাপন করল দোকানীরা


দোকানীরা বিজ্ঞাপন সরিয়ে দিয়ে তামাক বিরোধী সতর্কবাণী স্থাপন করার মাধ্যমে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন পালণের অঙ্গীকার করে। বিদ্যমান তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপনের বিধান সম্পর্কে ব্যবসায়ী ও সাধারণ জনগনের মাঝে স্বাস্থ্য সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে আজ ২৩ মার্চ ২০১৫ সকাল ১১টায় ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডাব্লিউবিবি) ট্রাস্ট এবং ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি- টোবাকো কন্ট্রোল রিসার্স সেল (টিসিআরসি) এর উদ্যোগে এবং অন্যান্য তামাক বিরোধী সংগঠনের সহযোগিতায় গ্রীন রোড মোড়ে একটি অবস্থান কর্মসূচিরআয়োজন করা হয়। অবস্থান কর্মসূচি শেষে গ্রীন রোড মোড় থেকে বসুন্ধরা সিটি মার্কেটের সম্মুখ পর্যন্ত রাস্তার দু-পাশে দোকান মালিকদের মাঝে বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন অনুসারে সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা হয়। এ প্রচারণা কার্যক্রমে উদ্ভুদ্ধ হয়ে ১৮ টি দোকানের মালিক স্ব-ইচ্ছায় সিগারেটের বিজ্ঞাপন অপসারণ করেন। এ কার্যক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও সাধারণ পথচারীরাও স্বতঃস্ফুর্তভাবে সমর্থন করেন।

কর্মসূচী চলাকালীন দি ইউনিয়নের প্রতিনিধি এ্যাডভোকেট সৈয়দ মাহবুবুল আলম বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন অনুসারে সকলধরণের তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ হওয়া স্বত্বেও কোম্পানিগুলো নানাভাবে আইনভঙ্গ করে বিজ্ঞাপন প্রচার করে আসছে। বর্তমান সময়ে বিক্রয়স্থলে বিজ্ঞাপন সিগারেটের প্রচারণার ক্ষেত্রে বড় একটি কৌশল। সরকার বিভিন্ন সময়ে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে এ সকল বিজ্ঞাপন অপসারণ করলেও, কোম্পানিগুলো দোকানীদের নানাভাবে প্রলুব্ধ করে বিক্রয়স্থলে বিজ্ঞাপন প্রদান  করছে।

ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট এর ন্যাশনাল এডভোকেসী অফিসার সৈয়দা অনন্যা রহমান, বলেন, কোম্পানী কর্তৃক প্রচারিত তামাকজাত দ্রব্যের অবৈধ বিজ্ঞাপন তরুণ প্রজন্মকে ধূমপানে উৎসাহিত করছে। ধূমপানের নেশায় তরুণ প্রজন্ম ক্রমশ বিপথগামী হচ্ছে। আইন অনুযায়ী তামাকজাত দ্রব্যের এসব অবৈধ বিজ্ঞাপন প্রচার দন্ডনীয় অপরাধ। আইনে অনুসারে তামাকজাতদ্রব্যের বিজ্ঞাপন প্রচারণা এবং পৃষ্ঠপোষকতা নিষিদ্ধ। আইন অমান্যে জরিমানা ১ লক্ষ টাকা এবং অনাদায়ে অনুর্ধ্ব তিনমাস বিনাশ্রম কারাদন্ডর বিধান রয়েছে।

কর্মসূচীতে আরো উপস্থিত ছিলেন টিসিআরসি’র গবেষণা কর্মকর্তা মহিউদ্দিন আলমগীর, ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট-র সিনিয়র প্রকল্প কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান লিটু, গ্রীন ভয়েসের প্রতিনিধি হীরণ সরকার প্রমুখ।

কর্মসূচীতে বক্তারা বলেন, পরোক্ষ ধূমপানের কারনে প্রতিনিয়ত নারী শিশুসহ অধূমপায়ী জনগোষ্ঠী ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তারা ক্যান্সার, হৃদরোগ, ষ্ট্রোকসহ নানা মরণব্যাধীতে আক্রান্ত হচ্ছে। বক্তারা আরও বলেন, বিড়ি-সিগারেটের ধোঁয়ায় ৭০০০ এর বেশি ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ রয়েছে। যা ধূমপায়ীকে ক্রমশ মৃত্যু মুখে পতিত করছে। এসব রাসায়নিক পদার্থের ক্ষতিকর দিকগুলো তুলে ধরে তামাক বিরোধী সংস্থার স্বেচ্ছাসেবকরা, উক্ত কর্মসূচীতে দোকানী ও জনগণের মাঝে অবৈধ বিজ্ঞাপন বন্ধের দাবীতে জনসচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করেন।

Saturday, March 21, 2015

তামাক বিরোধী সার্ক সম্মাননা পেলেন সাইফুদ্দিন আহমেদ

বৈশ্বিক তামাক নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় অবদান এর স্বীকৃতি হিসাবে তামাক বিরোধী সার্ক সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট এর সমন্বয়কারী সাইফুদ্দিন আহমেদ। আবু ধাবীতে চলমান (১৭-২১ মার্চ) ১৬তম তামাক অথবা বিশ্ব স্বাস্থ্য সম্মেলনে এ সম্মাননা প্রদান করা হয়। ভারতের ক্যান্সার এইড সোসাইটি কর্তৃক প্রবর্তিত এ সম্মাননা দক্ষিণ এশিয়ান ৮টি দেশের মধ্যে একজনকে প্রদান করা হয়। বিরল এ সম্মাননা আবু ধাবীর যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন সার্জন জেনারেল এর নামাঙ্কৃত ‘লুথার জে টেরি এওয়ার্ড’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রদান করা হয়।  সার্কভূক্ত সবগুলো দেশের মধ্যে তামাক নিয়ন্ত্রণে একমাত্র ব্যক্তি হিসাবে সাইফুদ্দিন আহমেদকে নির্বাচিত করা হয়, যা বাংলাদেশের তামাক নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ এক অর্জন।

ইতোপূর্বে সাইফুদ্দিন আহমেদ ২০০৬ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক প্রদত্ত ‘ওয়াল্ড নো টোব্যাকো ডে এওয়ার্ড ২০০৬’ লাভ করেন। এছাড়া তাঁর প্রতিষ্ঠিত স্বেচ্ছাসেবী নাগরিক সংগঠন বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট ২০০১ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একই সম্মাননা অর্জন করে। বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট এর কার্যক্রম সমগ্র পৃথিবীতে বেসরকারি/স্বেচ্ছাসেবী পর্যায়ের তামাক বিরোধী কার্যক্রমে একটি মডেল হিসাবে পরিগণিত। বিশ্বব্যাংক ও রিচার্স ফর ইন্টারন্যাশনাল টোব্যাকো কন্ট্রোল (রিটস/আরআইটিসি) এর ২০০৩ সালে প্রকাশিত ‘টোব্যাকো কন্ট্রোল পলিসি: স্ট্রাটেজি, সাকসেস ও সেটব্যাকস” শিরোনামের যৌথ প্রকাশনায় বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের সামাজিক আন্দোলনকে অন্যান্য দেশের জন্য নমুনা হিসাবে উপস্থাপন করে।

তামাক নিয়ন্ত্রণে অন্যান্য গবেষকদের সঙ্গে তাঁর যৌথ গবেষণা নিবন্ধ বিভিন্ন জার্নালে প্রকাশিত ও সম্মেলনের প্রকাশনায় অন্তর্ভূক্ত রয়েছে। এর মধ্যে ২০০০ সালে পরিচালিত ‘তামাক ও দরিদ্রতা’ (হাংরি ফর টোব্যাকো) সমগ্র পৃথিবীতে একটি আলোচিত গবেষণা, যা ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নাল ‘টোব্যাকো কন্ট্রোল’ এ প্রকাশিত হয়। এ গবেষণার উপর ভিত্তি করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ২০০৪ সালের বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস এর প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করেছিল। এছাড়া ২০০৯ সালে ‘টোব্যাকো এন্ড পোভার্টি’ নামে অপর একটি গবেষণা প্রতিবেদন একই জার্নালে প্রকাশিত হয়েছিল। 

সাইফুদ্দিন আহমেদ ১৯৯৯ সাল থেকে বৈশ্বিক তামাক নিয়ন্ত্রণের বিভিন্ন সম্মেলনে বাংলাদেশের বেসরকারি পর্যায়ের প্রতিনিধিত্ব করছেন। যথা: ১৯৯৮ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত প্রতি ৩ বছর পরপর অনুষ্ঠিত ৫ম থেকে ১০ম এশিয়া-প্যাসিফিক কনফারেন্স অন টোব্যাকো অর হেলথ (এপ্যাক্ট), ২০০০ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত প্রতি ৩ বছর পরপর পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অনুষ্ঠিত ১১তম থেকে ১৫তমওয়ার্ল্ড কনফারেন্স অন টোব্যাকো অর হেলথ (ডব্লিউসিটিওএইচ), আন্তর্জাতিক তামাক নিয়ন্ত্রণ চুক্তি এফসিটিসি বিষয়ক সম্মেলন ইন্টারগভর্ণমেন্টাল নেগোশিয়েন বডি (আইএনবি) ও কনফারেন্স অব পার্টি (সিওপি) ইত্যাদি সম্মেলনে অতিথি প্রতিনিধি হিসাবে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্যোগে বিভিন্ন বিশ্ব স্বাস্থ্য সম্মেলনে, ওয়ার্ল্ড ক্যান্সার কনগ্রেস, ওয়ার্ল্ড লাং কনফারেন্স, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিভিন্ন আঞ্চলিক, মহাদেশীয় ও বৈশ্বিক সম্মেলনে তিনি অতিথি হিসাবে অংশগ্রহণ করেন।

উল্লেখ্য, ভিসা প্রাপ্তিতে বিলম্ব হওয়ায় সম্মাননা গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি সাইফুদ্দিন আহমেদ। তাঁর পক্ষে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট এর আন্তর্জাতিক উপদেষ্টা ও হেলথব্রিজ এর আঞ্চলিক পরিচালক দেবরা ইফরমসন এ সম্মাননা গ্রহণ করেন। আমেরিকান ক্যানাসার সোসাইটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. জন শেরিফিন ও সিনিয়র সহ-সভাপতি শেলি কাউয়েল এ সম্মাননা তুলে দেন। এ সময় ক্যান্সার এইড সোসাইটি-ইন্ডিয়ার মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা পিযুশ গুপ্ত ও পরিচালক নেহা ত্রেপাতি উপস্থিত ছিলেন।

পেশাগত প্রয়োজনে তিনি গত ১৮ বছরে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, মেক্সিকো, উরুগুয়ে, ব্রাজিল, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড, হাঙ্গেরি, নেদারল্যান্ড, ফিনল্যান্ড, জার্মানি, নরওয়ে, দক্ষিণ আফ্রিকা, কেনিয়া, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, চীন, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন, মায়ানমার, ভারত, নেপাল, শ্রীলংকা, ভুটান, মালদ্বীপ, লাওস, সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, তাইওয়ান, হংকং, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ ৪০টির অধিক দেশে ভ্রমণ করেছেন।

Friday, March 20, 2015

Saifuddin Ahmed is awarded for SAARC Award on Tobcco Control


Saifuddin Ahmed, coordinator of The Bangladesh Anti Tobacco Alliance (BATA, Bangladesh Tamak Birodhi Jote) is awarded for "Tobacco Control Award for Excellence and Leadership in SAARC Countries". This award is handed-over in the ongoing (17th to 21st March 2015) 16th World Conference on Tobacco or Health (WCTOH) at Abu Dhabi yesterday evening during Luther J Terry award ceremony hosted by the American Cancer Society. Tobacco control award for the SAARC countries provided by Cancer Aid Society India. Saifuddin Ahmed is the only tobacco control leader among all SAARC countries for SAARC leadership and excellence.

However, he received many other prestigious awards/scholarships including ‘World No Tobacco Day Award 2006’ and BATA also received award ‘World No Tobacco Day Award 2001’ by World Health Organization (WHO). BATA also considered as model civil society movement against tobacco throughout the world and it is documented joint publication by the The World Bank and Research for International Tobacco Control (RITC). The story titled “Building Momentum for Tobacco Control: The Case of Bangladesh” and book titled Tobacco Control Policy: Strategies, Successes & Setbacks.

Saifuddin Ahmed is involved couple of research on tobacco control perspective. His research articles and abstracts were published peer reviewed journal and various international conferences publication. One of most reputed research on tobacco control, “Hungry for Tobacco: An analysis of the economic impact of tobacco consumption on the poor in Bangladesh is published in ‘Tobacco Control’ in 2001; it is an international peer-reviewed journal for health professionals and others in tobacco control. To consider this research, World Health Organization (WHO) selected theme (tobacco and poverty: a vicious circle) for World No Tobacco Day 2004. His another joint research “Gainfully Employed? an inquiry into Bidi-dependent livelihood in Bangladesh is published in ‘Tobacco Control’ in 2011. He is author/co-author of about 15 publications and editor/co-editor of other 20 publications on tobacco control.


Mr. Saifuddin Ahmed is represented civil society to the various conferences and events on global tobacco control since 1998. He attended 5 of Asia-Pacific Conference on Tobacco or Health (APACT), held every 3 years from 2001 to 2013 (from 6th to 10th) and 5 of World Conference on Tobacco or Health (WCTOH) held every 3 years from 2000 to 2012 (11th to 15th). He represented to the Inter-governmental Negotiating Body (INB) and Conference of the Party (COP) of the Framework Convention on Tobacco Control (FCTC). However, he also attended couple of World Health Assembly (WHA), World Lung Conference (WLC) and World Cancer Congress (WCC) with his presentations.

It needs to mention that, due to delay of visa process, Saifuddin Ahmed is not able to joint award reciving event at Abu Dhabi. On-be-half of Saifuddin Ahmed, Ms. Debra Efromson, the international advisor of BATA recived this award from Dr. John Seffrin, CEO of the American Cancer Society and Ms. Sally Cowal, Senior Vice President Global Program, American Cancer Society. Neha Tripathi Director of Cancer Aid Society India was present during this event.

Due to his professional career on last 18 years on global tobacco control, he traveled more than 40 countries including Australia, Brazil, Bhutan, Canada, China, Denmark, Finland, France, Germany, Hongkong, Hungary, India, Indonesia, Japan, Laos, Kenya, Myanmar, Maldwip, Malaysia, Mexico, Netherlands, Norway, Philippine, South Africa, South Korea, SriLanka, Singapore, Thailand, Taiwan, Uruguay, UAE, UK and USA.

সাইফুদ্দিন আহমেদ তামাক বিরোধী র্সাক সম্মাননা লাভ


সবুজপাতা
সাইফুদ্দনি আহমদেরে তামাক বরিোধী র্সাক সম্মাননা লাভ

বাংলামেইল২৪.কম
সাইফুদ্দনি আহমদেরে তামাক বরিোধী র্সাক সম্মাননা লাভ 

আগ্রি নিউজ
সাইফুদ্দনি আহমদেরে তামাক বরিোধী র্সাক সম্মাননা লাভ
তামাক বিরোধী সার্ক সম্মাননা পেলেন সাইফুদ্দিন আহমেদ

তামাক বিরোধী সার্ক সম্মাননা পেলেন সাইফুদ্দিন আহমেদ
 কৃষিখবর
তামাক বিরোধী সার্ক সম্মাননা পেলেন সাইফুদ্দিন আহমেদ
তামাক বিরোধী সার্ক সম্মাননা পেলেন সাইফুদ্দিন
তামাক বিরোধী সার্ক সম্মাননা পেলেন সাইফুদ্দিন আহমেদ
 দ্যা রিপোর্ট২৪.কম
সাইফুদ্দনি আহমদেরে তামাক বিরোধী র্সাক সম্মাননা লাভ
 
হলিডে টাইমস২৪.কম
সাইফুদ্দনি আহমদেরে তামাক বিরোধী র্সাক সম্মাননা লাভ

গ্রীণ ম্যাগাজিন
সাইফুদ্দনি আহমদেরে তামাক বিরোধী র্সাক সম্মাননা লাভ

নিউজ পেইজ২৪.কম
সাইফুদ্দনি আহমদেরে তামাক বিরোধী র্সাক সম্মাননা লাভ

দৈনিক জনতা
সাইফুদ্দনি আহমেদ তামাক বিরোধী র্সাক সম্মাননা লাভ

এসবিডি নিউজ.কম
সাইফুদ্দনি আহমেদ তামাক বিরোধী র্সাক সম্মাননা লাভ

 সকালের চট্টগ্রাম
সাইফুদ্দিন আহমেদ তামাক বিরোধী র্সাক সম্মাননা লাভ

Monday, March 16, 2015

বহুল প্রত্যাশিত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের বিধিমালা পাসে অভিনন্দন


বহুল প্রত্যাশিত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের অধীন বিধিমালা পাস হয়েছে। ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০০৫ (সংশোধিত ২৯ এপ্রিল ২০১৩) এর অধীনে এই বিধিমালা পাস করায় সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট। আজ সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক অবস্থান কর্মসূচির মাধ্যমে অভিনন্দন জানানো হয়। 

প্রত্যাশা মাদক বিরোধী সংগঠন এর জেনারেল সেক্রেটারি হেলাল আহমেদ-এর সভাপতিত্বে জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে আন্তর্জাতিক সংগঠন দি ইউনিয়ন-এর কারিগরি পরামর্শক এডভোকেট সৈয়দ মাহবুবুল আলম, মানবিক এর উপদেষ্টা রফিকুল ইসলাম মিলন, নিরাপদ ডেভলেপমেন্ট ফাউন্ডেশন এর চেয়ারম্যান ইবনুল সাইদ রানা, জালালাবাদ ফাউন্ডেশন এর নির্বাহী প্রধান আনাম আহমেদ, নাটাব এর কর্মসূচি ব্যবস্থাপক এ কে এম খলিল উল্লাহ, টোব্যাকো কন্ট্রোল রিসার্চ সেল (টিসিআরসি) এর সদস্য সচিব ও ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সহযোগী অধ্যাপক মো. বজলুর রহমান, ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের সমন্বয়কারী আমিনুল ইসলাম সুজন, একলাব এর সমন্বয়কারী মো. মাকছুদউল্লাহ প্রমুখ। অবস্থান কর্মসূচি পরিচালনা করেন ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট এর প্রকল্প কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান লিটু। 

তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের বিধিমালা পাস করায় হেলাল আহমেদ সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এখন তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের কার্যকর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে। রফিকুল ইসলাম মিলন বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন লঙ্ঘণের দায়ে কোম্পানিগুলোকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। ইবনুল সাঈদ রানা বলেন, মানুষ যেন আইন সম্পর্কে জানতে পারে, সেজন্য আইনের কার্যকর প্রচারের জন্য গণমাধ্যমকে এগিয়ে আসতে হবে। 

এডভোকেট সৈয়দ মাহবুবুল আলম বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণে বর্তমান সরকার রাজনৈতিকভাবে অঙ্গীকারাবদ্ধ। তার প্রতিফলন হিসাবে বিধিমালা পাস হয়েছে। এখন তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের কার্যকর বাস্তবায়নের মাধ্যমে সরকারের অঙ্গীকারকে তুলে ধরতে হবে। পাশাপাশি আগামী বছরের মধ্যে যাতে তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে সতর্কবাণী ৯০ শতাংশ করা যায় সেই লক্ষ্যে এখন হতে উদ্যোগ নিতে হবে। 

বিধিমালাটি পাস হওয়ার মাধ্যমে তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে ছবিসহ স্বাস্থ্যসতর্কবানী প্রদানের সময়সীমা নিশ্চিত হল। এছাড়াও বিধিমালায় কর্তৃত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার পরিধি বৃদ্ধি, পাবলিক প্লেস ও পরিবহন ধূমপানমুক্ত করার লক্ষ্যে করনীয় ইত্যাদি বিষয়ে দিক নির্দেশনা রয়েছে। তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে ছবিসহ সতর্কবাণী প্রদানের বিষয়টি নিয়ে তামাক কোম্পানিগুলোর অপতৎপরচার কারণে দীর্ঘদিন বিধিমালাটি ঝুলে ছিল। দক্ষিন এশিয়ার অনেক দেশ ৯০ শতাংশ ছবিসহ স্বাস্থ্য সতর্কবাণী প্রদান করলেও, বাংলাদেশ এখনো ৫০% স্বাস্থ্য সতর্কবানী প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারেনি।   

তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের বিধিমালা পাসে অভিনন্দন জানিয়ে প্রত্যাশা মাদক বিরোধী সংগঠন, মানবিক, জাতীয় যক্ষা নিরোধ সমিতি (নাটাব), নিরাপদ ডেভলেপমেন্ট ফাউন্ডেশন, একলাব, ইকো সোসাইটি, জালালাবাদ ফাউন্ডেশন, অরুণোদয়ের তরুণ দল, আঁচল ট্রাস্ট, স্পন্দন, মাধবিকা, বিসিএইচআরডি, মাস্তুল ফাউন্ডেশন, হিমু পরিবহন, ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট, বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট যৌথভাবে আজ সকাল ১১.০০ টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে।