Wednesday, August 28, 2013

তামাকের যে ভয়াবহতা


বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গবেষণায় বলা হয়েছে, বিড়ি-সিগারেটসহ তামাকজাত দ্রব্যে নিকোটিন, ডিডিটি, কার্বন মনোক্সাইড, টার বা আলকাত্রা, আর্সেনিক, মিথানল, ন্যাপথালিন, বেনজোপাইরিন, সায়ানাইড, এমোনিয়া, অক্সিডেন্টসহ ৪০০০এর বেশী ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ রয়েছে। যার মধ্যে ৬০টি সরাসরি ক্যান্সার সৃষ্টির সাথে জড়িত। তামাক সেবন ও ধূমপানে বিভিন্ন প্রকারের ক্ষতি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে ধূমপানসহ তামাকজাত দ্রব্যের নেতিবাচক দিক সম্পর্কে খুব সংক্ষেপে আলোকপাত করা হলো। নিম্নে তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কিছু আলোচিত হলো।

তামাকের ভয়াবহতা এবং বাংলাদেশ
২০০৯ সালে গ্লোবাল এডাল্ট টোব্যাকো সার্ভে (গ্যাটস) এর পরিসংখ্যান মতে, বাংলাদেশে ৪৩.৩% মানুষ (পুরুষ ও নারী) তামাক (বিড়ি-সিগারেট, জর্দা, গুল ইত্যাদি) ব্যবহার করে। এতে দেখা যায়, দরিদ্র (৫৫.৬%) ও নিরক্ষরদের (৬২.৯%) মধ্যে তামাক সেবনের হার হার বেশি। এ বিপুলসংখ্যক মানুষের ধূমপান ও তামাক সেবনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশের অর্থনীতি, পরিবেশ, জনস্বাস্থ্য ও উন্নয়নের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।

এছাড়া খাদ্যেও জমিতে তামাক চাষ খাদ্য নিরাপত্তা, পরিবেশ, জনস্বাস্থ্যকে মারাত্মক হুমকির মুখে ফেলছে। বিড়ি কারখানা নারী, শিশুসহ শ্রমিকদেও মারাত্মক রকম কম মজুরি দিয়ে কাজ করিয়ে নিচ্ছে। যে কারণে তাদের দরিদ্রতা দূর হচ্ছে না। বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলে এত তামাক চাষ হয়, অসংখ্য বিড়ি কারখানা রয়েছে তারপর সে এলাকার মানুষ ঠিকমত খেতে পায় না। মঙ্গার প্রভাব সেখানে ব্যাপক। এসব দিক বিবেচনা করে তামাকের ব্যবহার ও তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি।
তামাকের যে ভয়াবহতা বিদ্যমান তা খুব সংক্ষেপে এখানে তুলে ধরা হল। যেমন:


  • ২০০৪ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক গবেষণায় বলা হয়, তামাক সেবন ও ধূমপানের কারণে দেশে ১২ লক্ষ মানুষ ৮টি প্রধান রোগে (ক্যান্সার, যক্ষা, ডায়াবেটিস, হাঁপানি, হৃদরোগ, বার্জাজ ডিজিজ ইত্যাদি) আক্রান্ত হচ্ছে। যার মধ্যে বছরে ৫৭,০০০ হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করছে এবং ৩,৮২,০০০ মানুষ পঙ্গত্ব বরণ করছে। যদিও সে সময়ে তামাক ব্যবহারকারীর হার ও সংখ্যা-দুটোই কম ছিল। তবু সে পরিসংখ্যান অনুযায়ীও বিপুল সংখ্যক মানুষের মধ্যে যদি ২৫ ভাগ মানুষও সরকারী স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে সেবা গ্রহণ করে তবে যে ব্যয় হয় তা তামাক খাত থেকে প্রাপ্ত রাজস্বেও চেয়ে অনেক অনেক বেশি। 

  • ২০০৪ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উপরিল্লিখিত গবেষণার আলোকে ২০০৭ সালে অধ্যাপক আবুল বারাকাত এর নেতৃত্বে এইচডিআরসি’র গবেষণায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশে সরকার সকল প্রকার তামাক থেকে রাজস্ব পায় ৫,০০০ কোটি টাকা। কিন্তু তামাকজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে শুধু ২৫ ভাগ রোগীর চিকিৎসাবাবদ সরকারী ব্যয় ১১,০০০ কোটি টাকা। যেখানে ঘাটতি ৬,০০০ কোটি টাকা। এছাড়া ধূমপান ও তামাকজনিত রোগে আক্রান্তদের ব্যক্তিগত আর্থিক ক্ষতিও অনেক।  

  • তামাক সেবীদের তামাকের জন্য ব্যয় করা অর্থের ৬৯ভাগ যদি খাদ্যের পেছনে ব্যয় করা হয় তবে অপুষ্টির কারণে যেসব শিশু অকালে মারা যায় তার ৫০ভাগ শিশুকে বাঁচানো সম্ভব। 

  • ২০০৯ সালে ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট এর এক গবেষণায় বলা হয়েছে, দরিদ্র বিড়ি সেবনকারীরা প্রতিদিন গড়ে ৮ কোটি টাকা এবং প্রতিবছর প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে। এ বিপুল পরিমাণ অর্থ দিয়ে দেশে ৭২ লাখ অপুষ্ট শিশুর প্রত্যেককে এক গ্লাস দুধ অথবা ৫৩ লাখ অপুষ্ট শিশুর প্রত্যেককে এক গ্লাস দুধ ও একটি ডিম দেয়া সম্ভব, যা অপুষ্টিজনিত মৃত্যু নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখবে।

  • তামাক নিয়ন্ত্রণ করলে অনেক লোক চাকরি হারাবেÑতামাক কোম্পানিগুলোর এ বক্তব্য সঠিক নয়। কারণ কেউ যদি তামাক সেবন বন্ধ করে তবে ঐ অর্থ দিয়ে তিনি অন্য কোন পণ্য ক্রয় করবেন এবং ঐ পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি পাবে। চাহিদা বৃদ্ধি পেলে উৎপাদন বাড়াতে হবে, উৎপাদন বাড়াতে হলে অনেক শ্রমিক দরকার হবে। তাছাড়া বাজারজাত করণেও অনেক কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি পাবে। বিশ্ব ব্যাংক এর এক গবেষণায় বলা হয়, বাংলাদেশ যদি কার্যকরভাবে তামাক নিয়ন্ত্রণ করতে পারে তবে ১৮.৭ভাগ কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি পাবে। 

  • প্রতি কেজি তামাক শুকানোর জন্য ২৫কেজি কাঠ পোড়াতে হয়। এতে ধ্বংস হচ্ছে বনজ সম্পদ ফলে ভারসাম্য হারাচ্ছে পরিবেশ। 

  • তামাক পাতা একটি চুল্লির মধ্যে আগুনের তাপের সাহায্যে শুকানো হয়। এতে বাংলাদেশের বনজ সম্পদ ধবংশ হয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশে প্রতিবছর যত পরিমাণ বৃক্ষ নিধন হয়, তার ৩০ভাগ ব্যবহার শুধু তামাক পাতা শুকানোর কাজে। বিশেষ করে পার্বত্য অঞ্চলে ব্যাপক হারে বৃক্ষনিধন হচ্ছে। এভাবে বৃক্ষনিধন চলতে থাকলে আগামী ১০ বছর পর পার্বত্য অঞ্চলে কোন গাছ থাকবে না বলে পরিবেশবিদরা আশঙ্কা করছেন। 

  • তামাক চাষ আমাদের পরিবেশ এর জন্য ব্যাপক ক্ষতিকর। তামাক চাষ এর ফলে কৃষি জমি দখল হচ্ছে, সেখানে তামাক চাষ হচ্ছে। হুমকির মুখে পড়ছে খাদ্য নিরাপত্তা। খাদ্য নিরাপত্তার স্বার্থে আমাদের তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণ করা দরকার। সারাদেশে যে জমিতে তামাক চাষ হচ্ছে সে জমিতে তামাক চাষের পরিবর্তে খাদ্য চাষ করা হলে তবে দেশে কোন খাদ্য ঘাটতি থাকবে না। 
  • তামাক গাছ মাটি থেকে অধিক পরিমাণ পানি শোষন করে এতে জমির উর্বরতা শক্তি কমে যায়। যেজন্য তামাক উৎপাদিত জমিতে অন্য কোন শস্য উৎপাদিত হয়না। 

ক্স তামাকজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে অনেকে অকালে মৃত্যুবরণ করে। এতে করে ঐ পরিবার আর্থিক ক্ষতিসহ নানা সমস্যায় আক্রান্ত হয়।

স্বাস্থ্যগত ক্ষতি:
ধূমপানজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতি ৬.৪ সেকেন্ডে ১ জন এবং প্রতিবছর ৫৪ লক্ষ মানুষ মারা যাচ্ছে। উন্নয়নশীল দেশসমূহে যেভাবে ধূমপানের প্রবণতা ১.১হারে কমছে, সেখানে আমাদের মত উন্নয়নশীল দেশগুলোতে ধূমপানের প্রবণতা ২.১ হারে বাড়ছে।

  • কার্বন মনোক্সাইড আমাদের দৃষ্টিশক্তি ও শ্রবণশক্তিকে অবদমিত করে এবং আমাদের মেধার পরিধি কমিয়ে দেয়।
  • নিকোটিন আসক্তি সৃষ্টিকারক উপাদান এবং আসক্তি সৃষ্টির দিক থেকে তা হিরোইন, কোকেন, মারিজুয়ানা, এলকোহল এর চাইতেও বেশী শক্তিশালী। এছাড়া নিকোটিন আমাদের দেহের রক্ত সংবহনতন্ত্রের মারত্মক ক্ষতি ডেকে আনতে পারে, ফলে হৃদরোগ, স্ট্রোক, ক্যান্সার, হাঁপানী, বার্জাজ ডিজিজ(পায়ের পচন রোগ)সহ নানাবিধ কঠিন রোগ হয়ে থাকে।   তামাকের মধ্যে থাকা বিষাক্ত অক্সিডেন্ট শরীরের বিভিন্ন জৈব অণুর(প্রোটিন, লিপিড, ডিএনএ) ক্ষতি(অক্সিডেটিভ ড্যামেজ) করছে। 
  • তামাক ব্যবহারের ফলে যেসব রোগ হয় তা হলো-ক্যান্সার (ব্ল¬াডার, মুখ গহ্বর, ল্যারিংস, ফুসফুস, ইউসোফেগাস, প্যানক্রিয়াস, রেনাল পেলভিস, পাকস্থলী এবং সারভিস), পেরিফেরাল ভাসকুলার রোগ, হৃদরোগ, স্ট্রোক, ক্রনিক অবসট্রাকটিভ ফুসফুসের রোগ, শ্বাসযন্ত্রের রোগ, পেপটিক আলসার ইত্যাদি।
  •  বিশ্বব্যাপী মোট ক্যান্সারের প্রায় ৫০ভাগের জন্য দায়ী ধূমপান ও তামাক সেবন এবং ৯৫% ফুসফুস ক্যান্সারের জন্য দায়ী ধূমপান। প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসা না করালে এ ক্যান্সার মানেই নিশ্চিত মৃত্যু। 
  • তামাক সেবনের ফলে মহিলাদের জরায়ুর ক্যান্সার, গর্ভবতীদের ক্ষেত্রে অকাল গর্ভপাত-কম ওজনের কিংবা মৃত শিশুর জন্ম ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে। 
  • এছাড়া পরোক্ষ ধূমপানের ফলে মহিলাদের উক্ত স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দেয়। 
  • শিশুদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম। পরোক্ষ ধূমপানের ফলে শিশুদের কানে পচা রোগ, চর্মরোগ, হাঁপানীর ঝুকি অনেকাংশে বেড়ে যায়। 
  • বিড়ি, সিগারেটের ধোঁয়াও মানুষের জন্য ক্ষতিকর। যা ধীরে ধীরে মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। 




৩১ মে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস ও আমাদের প্রত্যাশা
১৯৮৭ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ৩১ মে, বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস হিসাবে ঘোষণা করে। তারপর থেকে সারা পৃথিবীতে দিবসটি গুরুত্বসহকারে তামাক বিরোধী সচেতনতা সৃষ্টিতে সরকারী-বেসরকারি পর্যায়ে পালন হচ্চে। তামাকের ভয়াবহতা নিয়ন্ত্রণ করতে ২০০৩ সালে চুড়ান্ত হয় ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোল (এফসিটিসি)। এটি হচ্ছে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে প্রথম আন্তর্জাতিক চুক্তি, যে চুক্তিতে বাংলাদেশ প্রথম স্বাক্ষরকারী দেশ। বাংলাদেশ ২০০৪ সালে এটি র‌্যাটিফাই করে। এফসিটিসির কয়েকটি আর্টিকেল অনুসারে দেশে “ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০০৫” প্রণয়ন করা হয়। আইনের কয়েকটি ধারার ব্যাখ্যাসহ ২০০৬ সালে বিধিমালা, ২০০৭ সালে আইন বাস্তবায়ন প্রক্রিয়াকে জোরালো করতে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ের প্রতিষ্ঠানকে সম্পৃক্ত করে জাতীয়-জেলা ও উপজেলা পর্যাযের টাস্কফোর্স কমিটি গঠন করা হয়।

এ বছর বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে এফসিটিসিকে কেন্দ্র করে। যে কারণে এফসিটিসির আলোকে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন উন্নয়ন করাটা আমাদের দায়িত্ব হয়ে পড়েছে। কারণ আমরা এ আন্তর্জাতিক চুক্তিটির প্রথম স্বাক্ষরকারী দেশ। বিগত ৬ বছরে তামাক নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষেত্রে ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি দুর্বলতা চিহ্ণিত হয়েছে।

বিদ্যমান আইনের সাদাপাতা, জর্দা, গুলসহ চর্বনযোগ্য তামাককে অন্তর্ভূক্ত করা হয়নি। যে কারণে চর্বনযোগ্য তামাক সেবনের হার বেড়ে গেছে। এসব তামাকও মানুষের মৃত্যুর জন্য দায়ী। তাই চর্বনযোগ্য তামাককে আইন ও করের আওতায় আনা জরুরি।

গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশে দরিদ্র ও নিরক্ষর মানুষের মধ্যে তামাক সেবনের হার বেশি। তাই এসব নিরক্ষর মানুষকে তামাকের ক্ষতিকর বিষয়ে সচেতন করতে বিড়ি-সিগারেট-জর্দা-গুলসহ সব তামাককে মোড়কের আওতায় আনা এবং এসব মোড়কে ছবিসহ সতর্কবাণীর প্রচলন করতে হবে। এফসিটিসিতেও ছবিসহ সতর্কবাণীর পরামর্শ দেয়া হয়েছে। বর্তমানে পৃথিবীর ৪৩টি দেশে ছবিসহ সতর্কবাণী দেয়া হচ্ছে।

বিভিন্নভাবে আইন ভঙ্গ করলেও তামাক কোম্পানিগুলোকে শাস্তির আওতায় আনা হয়নি। তাছাড়া আইন ভঙ্গের জন্য তামাক কোম্পানির ক্ষেত্রে শাস্তির পরিমাণও খুব কম। তাই কোম্পানগুলোকে কঠোর শাস্তির আওতায় আনা ও জরিমানা লক্ষাধিক করতে হবে। কোন কোম্পানি একই অপরাধ দ্বিতীয়বার করলে শাস্তিও দ্বিগুণ হবে। তৃতীয়বার করলে শাস্তিও পর্যায়ক্রমে বাড়বে এবং চতুর্থবার অপরাধ করলে শাস্তিস্বরূপ কোম্পানির লাইসেন্স বাতিল করা যেতে পারে।
বিদ্যমান আইন বাস্তবায়ন খুব জটিল ও সময়সাপেক্ষ। স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আইন বাস্তবায়নকারী কর্মকর্তা হলেও তার মোবাইল কোর্ট পরিচালনা ও জরিমানা বা শাস্তি প্রদানের কোন ক্ষমতা নাই। আইন বাস্তবায়নকারী কর্মকর্তার পরিধি বৃদ্ধি করতে হবে। পাশাপাশি আইন ভঙ্গের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষ বা যে কাউকে মামলা করার অধিকার প্রদান করতে হবে।

পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহনগুলো শতভাগ ধূমপানমুক্ত করা এবং এগুলো ধূমপানমুক্ত করার জন্য স্ব স্ব পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহনের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে ক্ষমতা প্রদান করতে হবে। পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহনে ধূমপানমুক্ত সাইনবোর্ড স্থাপন বাধ্যতামূলক করাও দরকার।

খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও পরিবেশ রক্ষায় খাদ্যের জমি এবং বর্তমানে তামাক চাষ হয় না এমন কৃষি জমিতে তামাক চাষ নিষিদ্ধ করতে হবে। তামাক পাতা চুল্লীতে আগুনের তাপে শুকানোর জন্য গাছ কাটা নিষিদ্ধ এবং এজন্য শাস্তির ব্যবস্থা করা দরকার। তামাক চাষীদের অন্যান্য ফসল উৎপাদনে উৎসাহিত করতে প্রয়োজনীয় নীতি প্রণয়ন করতে হবে। মোদ্দাকথা, বিদ্যমান আইনের দুর্বলতা চিহ্ণিত করে আইনকে কঠোর করতে হবে।

পাশাপাশি বিড়ি, সিগারেটসহ সকল প্রকার তামাকজাত দ্রব্যের মূল্য ও কর বৃদ্ধি করা এবং সকল প্রকার তামাককে করের আওতায় আনতে হবে। বিড়ি-সিগারেটসহ তামাকজাত দ্রব্যের উপর কর বৃদ্ধির একটি নীতিমালা প্রণয়ন করা, তামাকজাত দ্রব্যের উপর ৩% স্বাস্থ্যকর নির্ধারণ, যা তামাক নিয়ন্ত্রণ ও জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে ব্যয় করা হবে। পরিবেশের উপর তামাক চাষের ক্ষতিকর দিক নিয়ন্ত্রণে কমপক্ষে ৪% পরিবেশ কর আরোপ করা, যা পরিবেশ বিপর্যয় রোধে ব্যয় করা হবে।

No comments:

Post a Comment