Monday, March 16, 2015

বহুল প্রত্যাশিত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের বিধিমালা পাসে অভিনন্দন


বহুল প্রত্যাশিত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের অধীন বিধিমালা পাস হয়েছে। ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০০৫ (সংশোধিত ২৯ এপ্রিল ২০১৩) এর অধীনে এই বিধিমালা পাস করায় সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট। আজ সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক অবস্থান কর্মসূচির মাধ্যমে অভিনন্দন জানানো হয়। 

প্রত্যাশা মাদক বিরোধী সংগঠন এর জেনারেল সেক্রেটারি হেলাল আহমেদ-এর সভাপতিত্বে জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে আন্তর্জাতিক সংগঠন দি ইউনিয়ন-এর কারিগরি পরামর্শক এডভোকেট সৈয়দ মাহবুবুল আলম, মানবিক এর উপদেষ্টা রফিকুল ইসলাম মিলন, নিরাপদ ডেভলেপমেন্ট ফাউন্ডেশন এর চেয়ারম্যান ইবনুল সাইদ রানা, জালালাবাদ ফাউন্ডেশন এর নির্বাহী প্রধান আনাম আহমেদ, নাটাব এর কর্মসূচি ব্যবস্থাপক এ কে এম খলিল উল্লাহ, টোব্যাকো কন্ট্রোল রিসার্চ সেল (টিসিআরসি) এর সদস্য সচিব ও ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সহযোগী অধ্যাপক মো. বজলুর রহমান, ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের সমন্বয়কারী আমিনুল ইসলাম সুজন, একলাব এর সমন্বয়কারী মো. মাকছুদউল্লাহ প্রমুখ। অবস্থান কর্মসূচি পরিচালনা করেন ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট এর প্রকল্প কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান লিটু। 

তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের বিধিমালা পাস করায় হেলাল আহমেদ সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এখন তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের কার্যকর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে। রফিকুল ইসলাম মিলন বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন লঙ্ঘণের দায়ে কোম্পানিগুলোকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। ইবনুল সাঈদ রানা বলেন, মানুষ যেন আইন সম্পর্কে জানতে পারে, সেজন্য আইনের কার্যকর প্রচারের জন্য গণমাধ্যমকে এগিয়ে আসতে হবে। 

এডভোকেট সৈয়দ মাহবুবুল আলম বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণে বর্তমান সরকার রাজনৈতিকভাবে অঙ্গীকারাবদ্ধ। তার প্রতিফলন হিসাবে বিধিমালা পাস হয়েছে। এখন তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের কার্যকর বাস্তবায়নের মাধ্যমে সরকারের অঙ্গীকারকে তুলে ধরতে হবে। পাশাপাশি আগামী বছরের মধ্যে যাতে তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে সতর্কবাণী ৯০ শতাংশ করা যায় সেই লক্ষ্যে এখন হতে উদ্যোগ নিতে হবে। 

বিধিমালাটি পাস হওয়ার মাধ্যমে তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে ছবিসহ স্বাস্থ্যসতর্কবানী প্রদানের সময়সীমা নিশ্চিত হল। এছাড়াও বিধিমালায় কর্তৃত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার পরিধি বৃদ্ধি, পাবলিক প্লেস ও পরিবহন ধূমপানমুক্ত করার লক্ষ্যে করনীয় ইত্যাদি বিষয়ে দিক নির্দেশনা রয়েছে। তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে ছবিসহ সতর্কবাণী প্রদানের বিষয়টি নিয়ে তামাক কোম্পানিগুলোর অপতৎপরচার কারণে দীর্ঘদিন বিধিমালাটি ঝুলে ছিল। দক্ষিন এশিয়ার অনেক দেশ ৯০ শতাংশ ছবিসহ স্বাস্থ্য সতর্কবাণী প্রদান করলেও, বাংলাদেশ এখনো ৫০% স্বাস্থ্য সতর্কবানী প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারেনি।   

তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের বিধিমালা পাসে অভিনন্দন জানিয়ে প্রত্যাশা মাদক বিরোধী সংগঠন, মানবিক, জাতীয় যক্ষা নিরোধ সমিতি (নাটাব), নিরাপদ ডেভলেপমেন্ট ফাউন্ডেশন, একলাব, ইকো সোসাইটি, জালালাবাদ ফাউন্ডেশন, অরুণোদয়ের তরুণ দল, আঁচল ট্রাস্ট, স্পন্দন, মাধবিকা, বিসিএইচআরডি, মাস্তুল ফাউন্ডেশন, হিমু পরিবহন, ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট, বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট যৌথভাবে আজ সকাল ১১.০০ টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে।

No comments:

Post a Comment